|
|
|
|
পুরভোটের পর্যালোচনা রায়গঞ্জে |
৪টি ওয়ার্ডে জব্দ বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
পুরসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ শহরের ৪টি ওয়ার্ডে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বামেদের। সোমবার রায়গঞ্জ মহকুমা প্রশাসনের তরফে বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে সরকারি ভাবে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। একে শোচনীয় পরাজয়। তার উপরে চার প্রার্থীর জামানত। কেমন করে এত বড় বিপর্যয় সামাল দেওয়া সম্ভব সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন বাম নেতৃত্ব। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে সিপিএমের ২ জন, আরএসপির ১ জন এবং অন্যটি বাম সমর্থিত নির্দল। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদত্ত ভোটের ছয় ভাগের এক ভাগের কম অথবা সাড়ে ১৬ শতাংশের কম ভোট কোনও প্রার্থীর ঝুলিতে গেলে তবে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত ধরা হয়। পুরসভার চারটি আসনে বামপ্রার্থীদের ওই পরিণতি হয়েছে। মনোনয়নপত্র পেশ করার সময় তফসিলি জাতি, উপজাতি ও মহিলা প্রার্থীদের আড়াইশো টাকা এবং সাধারণ প্রার্থীদের পাঁচশো টাকা মহকুমা প্রশাসনের কাছে জমা রাখতে হয়। বাম প্রার্থীদেরও ওই টাকা জমা রাখতে হয়। কিন্তু জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ায় সেটা তাঁরা ফেরত পাবেন না। ভোটে ভরাডুবি নিয়ে বাম নেতৃত্ব অবশ্য খোলাখুলি কিছু জানাতে চাননি। রায়গঞ্জ শহরের বামফ্রন্ট আহ্বায়ক নীলকমল সাহা বলেন, “পুরভোটের ফলাফল কেন খারাপ হল সেটা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।” যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি সাধারণ মানুষের পাশে না থাকার জন্য বামফ্রন্টের ওই বিপর্যয় হয়েছে। দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “বামফ্রন্টের সঙ্গে শহরের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ নেই এটা আবারও প্রমাণি হল।” গত ১০ জুলাই রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচন হয়। গত ১২ জুলাই ফলাফল প্রকাশিত হয়। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস জোট করে এ বার নির্বাচনে লড়েছিল। পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস ১৭টি আসন দিয়ে প্রতিটিতে জয়লাভ করে। তৃণমূল কংগ্রেস ৮টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫টি দখল করে। মোট ২২টি আসন জিতে পুরসভার দখল নেয় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। অন্যদিকে বামফ্রন্টের ঝুলিতে যায় মাত্র ২টি আসন। তার একটি সিপিএমের এবং অন্যটি সোস্যালিস্ট পার্টির। নির্দল পেয়েছে ১টি আসন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬৭৭ ভোট পড়ে। সেখানে আরএসপি প্রার্থী আলোলিকা সিংহ পেয়েছেন ১০৭ ভোট। তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬৭৮ ভোট পড়েছে। এখানে সিপিএমের বিপুল বিশ্বাস মাত্র ৩৭ ভোট পেয়ে বাজেয়াপ্তের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬৮৬ ভোট পড়েছে। এখানে বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী তৃপ্তি পাল ২২৬ ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী কৃশানু কুণ্ডুর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২ হাজার ১২ ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ১৫৬ ভোট। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী পলাশ সরকার পেয়েছেন ৩০২ ভোট। তাঁরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। পুর নির্বাচনে সিপিএম আসন না-ছাড়ায় শহরের ৫ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের বিরুদ্ধে সিপিআই প্রার্থী দেয়। দুটি ওয়ার্ডেই সিপিআই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ৮৬৯ ভোট পড়েছে। এখানে সিপিআই প্রার্থী কণা নন্দী পেয়েছেন ৯২ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৫ ভোট পেয়েছেন সিপিআই প্রার্থী মিলন চৌধুরী। |
|
|
|
|
|