|
|
|
|
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ |
শর্টসার্কিট থেকে আগুন হাসপাতালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
শর্টসার্কিট থেকে আগুন ছড়াল রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের ইনফেকশন ওয়ার্ডে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তবে রোগীর আত্মীয়রা জল দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেন। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “বড় কিছু ঘটেনি। শুনেছি আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর বাড়ির লোকেরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে জল ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে দেন।” হাসপাতাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ত দফতরের (বিদ্যুৎ) সহকারী বাস্তুকারকে জনানো হলেও বিকেল চারটে পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকে। প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে বর্ধমান মেডিক্যালের শিশু বিভাগে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল।
দমকল আসার আগেই আগুন নেভানো গেলও হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ইনফেকশন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্স রীনা মুখোপাধ্যায় জানান, ওয়ার্ডের যে ঘরে আগুন লেগেছিল, সেখানে দু’জন শিশু-সহ ছ’জন রোগী ছিলেন। তিনি বলেন, “হঠাৎ ঘরের দেওয়ালে বিদ্যুতের তারে আগুন লাগে। সঙ্গে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের কাছে পাঠাই।”
কিন্তু কেন আগুন লাগল? সুদীপ্তবাবু বলেন, “ইনফেকশন ওয়ার্ডে সদ্যোজাত শিশুদের জন্য একটি ঘর নির্মাণের কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এর ফলে বর্ষার সময়ে ছাদে জল জমে যাচ্ছে। জল চুঁইয়ে ঘরে ঢোকায় শর্টসার্কিট হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পরে পূর্ত দফতরের অফিসে খোঁজ করা হয়। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি।”
হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের (বিদ্যুৎ) সহকারী বাস্তুকার নয়ন গড়াই বিকেলে ফোনে বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ আমাকে জানাননি। খোঁজ নিয়ে দেখেছি।” এ দিকে, ওই ওয়ার্ডে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থকায় রোগীর আত্মীয়রা সমস্যায় পড়েন। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। |
|
|
|
|
|