|
|
|
|
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ |
স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষকে হেনস্থার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
চাকরির টোপ দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হাসানের উপরে চড়াও হল একদল যুবক। অরণ্য সপ্তাহের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার দুপুরে সুতাহাটার বাজিতপুরের একটি স্কুলে আসছিলেন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। শ্রীকৃষ্ণপুরের কাছে গাড়ি আটকে তাঁর উপরে চড়াও হয় একদল যুবক। বিক্ষুব্ধেরা তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধরও করে বলে অভিযোগ। অনুষ্ঠানের জন্য ওই স্কুলে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। খবর পেয়ে তিনি সুতাহাটা থানায় জানান। পরে পুলিশ এসে রফিকুলকে উদ্ধার করে। এর আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভুয়ো চিকিৎসক নিয়োগের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের। এ বার তাঁর নিজের এলাকা গুয়াবেড়্যা পঞ্চায়তের কৃষ্ণনগর থেকে ‘ঘুষ’ নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মামুদ হোসেন বলেন, “দু’পক্ষের বক্তব্যই শুনেছি। বিস্তর ফাঁক রয়েছে। বিষয়টি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে তুলব আমরা।”
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কৃষ্ণনগরের তিন বেকার যুবকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করার পরেও চাকরি না মেলায় ক্ষুব্ধ তিন যুবক রবিবার রফিকুলের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। এরপরেই সোমবার সঙ্গীসাথীদের নিয়ে রফিকুলের উপরে চড়াও হয় ওই যুবকেরা। রফিকুলের বক্তব্য, “টাকা নেওয়ার কথা মিথ্যা। তবে, ওরা চাকরি চেয়েছিল। দিতে পারিনি বলে হয়তো ক্ষোভ আছে। তবে, সিপিএমই ওদের লাগিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়েছে।” সুতাহাটা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন রফিকুল।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন আগে মহিষাদলের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভুয়ো চিকিৎসক নিয়োগের ঘটনায় রফিকুলের নাম জড়িয়েছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। এ দিনের ঘটনার পিছনেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখছে রাজনৈতিক মহল।
পাট্টা বিলি। গরিব ভূমিহীনদের মধ্যে সম্প্রতি পাট্টা বিলি হল এগরা-১ ব্লকের বরিদা, পাঁচরোল, ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র, জুমকি ও জেড়থান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মোট ৭ একর জমি ৭৯ জনের মধ্যে বিলি করা হয়। উপস্থিত ছিলেন এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেখা প্রধান, বিডিও উজ্জ্বল মণ্ডল, জেলা পরিষদ সদস্য রাধানাথ মিশ্র। |
|
|
|
|
|