মমতা মনে থাকবেন যুবরাজ, মীনাক্ষীদের
কারও রোজগারের একটা উপায় দরকার! কেউ চাকরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে ঘুরেও সুযোগ পাচ্ছেন না! আবার কেউ কোলের বাচ্চাকে নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে। বিভিন্ন প্রত্যাশা নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা ওই বাসিন্দাদের নিরাশ করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুকে কোলে নিয়ে ছবি তুললেন। প্রতিবন্ধী এক যুবকের রোজগারের বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করলেন। সোমবার সুকনা বনবাংলোয় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই বাসিন্দারা। সকাল থেকে অপেক্ষা করার পরে দুপুর ২ টা নাগাদ ত্রিপাক্ষিক চুক্তির অনুষ্ঠানে যেতে বনবাংলো থেকে বার হন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তাঁদের সকলের সঙ্গেই খোলামেলা কথা বলেন। বনবাংলো থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার সুকনা মোড় পর্যন্ত হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রেলমন্ত্রী দীনেশ দ্বিবেদী এবং মুকুল রায়। মুখ্যমন্ত্রীকে হাঁটতে দেখে ভিড় করেন এলাকার বাসিন্দারাও। খাদা, মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান তাঁরা। সকাল ৯ টা থেকেই এ দিন সুকনা বনবাংলোর গেটের সামনে স্ত্রীকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন যোগমায়া চা বাগানের যুবরাজ শঙ্কর। বছর তিনেক আগে পথ দুর্ঘটনায় হাঁটুর নিচ থেকে বাঁ পা হারিয়েছেন। স্ত্রী নওচেলি দেবী বাগানে চা পাতা তোলার কাজ করেন। ১৫, ১৬ বছরের দুই ছেলেমেয়ে আছে।
সোমবার সুকনায় তাঁর কাছে সাহায্যের জন্য আসা প্রতিবন্ধী যুবক যোগমায়া চা বাগানের
বাসিন্দা যুবরাজ শঙ্করের সঙ্গে কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
দুর্ঘটনার পর কর্মক্ষমতা হারিয়ে সংসার চালাতে বিপাকে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কিছু ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানান। যুবরাজ বলেন, “দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হল বটে। তবে মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলায় মনে হচ্ছে, কিছু একটা হবে।” সুভাষপল্লির বাসিন্দা সুমিত্রা ছেত্রী বেকার। বাবা ভীমবাহাদুর ছেত্রী রেলে গ্যাংম্যানের চাকরি করতেন। চাকরিতে থাকাকালীন তিনি মারা যান। পোষ্যের চাকরির জন্য সুমিত্রা দেবী দীর্ঘদিন ধরেই ঘুরছেন। রেলের দফতরেও গিয়েছেন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত জানাতে আসেন। মঙ্গলবার তাঁকে সুকনা বনবাংলোয় দেখা করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক রতন মুখোপাধ্যায়। সুমিত্রা দেবী বলেন, “বাবার মৃত্যুর পরে খুব কষ্টে রয়েছি। রেলের অফিসে ঘোরাঘুরি করেও কিছু হয়নি। মনে হচ্ছে দুঃখের দিন শেষ হল।” সুভাষপল্লির বাসিন্দা দেবু চক্রবর্তী এবং মীনাক্ষী চক্রবর্তী কোলের বাচ্চা অনুস্মিতাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে। তা জানতে পেরে শিশু কোলে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবিও তোলান। মীনাক্ষী দেবী বলেন, “অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু সত্যিই মুখ্যমন্ত্রী আমার মেয়েকে কোলে তুলে নেবেন তা ভাবিনি। সারা জীবন এই দিনটা মনে রাখব।”
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.