টুকরো খবর

বিক্ষোভ অঙ্গনওয়াড়িতে
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না খাওয়ার অযোগ্য। এই অভিযোগে, রান্না করা খাবার নিয়েই আইসিডিএস অফিসের চত্বরে এসে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। সোমবার এই ঘটনা ঘটে মানবাজার আইসিডিএস অফিসে। এ দিন দুপুরে অফিস চত্বরে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন পাত্রে রান্না করা খিচুড়ি নামানো রয়েছে অফিস-চত্বরে। পুঞ্চার শিমচাকা গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ রায়, শিশির রায়, কৃত্তিবাস রায়দের ক্ষোভ, “শিমচাকা-জয়সিংহপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পোকা ধরা চালকে হলুদের বদলে হলদে রঙ দিয়ে সেদ্ধ করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখেই তোলা যায় না। ওই খাবার খেয়ে শিশুরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে।” তাঁদের অভিযোগ, “ওই কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকারা আমাদের কথা কানেই তোলেন না। তাই বাধ্য হয়ে রান্না করা খাদ্যের নমুনা নিয়ে অফিসে এসেছি।” তাঁদের আরও অভিযোগ, এ দিন অফিসে বেলা বারোটাতেও দেখা মেলেনি কোনও কর্মীর। দফতরের পিওন বীরেন মুর্মু বলেন, “কর্মীরা কেন আসেননি বলতে পারব না।” শিমচাকা-জয়সিংহপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী রেখা রায়ের দাবি, “অফিস থেকে যা মাল পাই তাতে এর থেকে ভাল রান্না করা সম্ভব নয়।” মানবাজার শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক সন্দীপ পরামানিক বলেন, “আমি হুড়ার দায়িত্বে রয়েছি। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মানবাজারের অফিস সামলাই। কর্মীদের অফিসের না আসার ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।” খাবারের মান নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “এ নিয়ে বিশদে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।” এ দিন অফিসে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রভাত মাহাতো, দিলীপ পাত্র, মানবেন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ। তাঁদের বক্তব্য, “আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে বলব।”

পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা
শুক্রবার থেকে তালাবন্ধ রয়েছে মানবাজারের পঞ্চায়েত অফিস। সোমবার মানবাজারের বিডিও চাবি দিতে এলে তা নিতে অস্বীকার করেন প্রধান। শুক্রবার চাল বন্টনের সভায় কে থাকবে তা বিতন্ডায় পণ্ড হয়ে যায় সর্বদলীয় সভা। সিপিএম-তৃণমূলের বিবাদে আহত হন আশিস চক্রবর্তী নামে এক তৃণমূল কর্মী। ওই দিনই তৃণমূলকর্মীদেরই একাংশ পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে চাবি জমা দিয়ে দেন বিডিও’র হাতে। মানবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের অনুরূপা সেন বলেন, “তৃণমূলের যে কর্মী পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়েছিল তাকে গ্রেফতার করা না হলে আমরা চাবি ফেরত নেবো না।” তৃণমূলের মানবাজার ব্লক যুব সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “ওরা আমাদের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল। ওই কর্মীর আমরা আগাম জামিন নিয়েছি। এর পরেও গ্রেফতারের প্রশ্ন আসছে কেন?” মানবাজারের বিডিও কমলচন্দ্র দে বলেন, “প্রথমে পঞ্চায়েত অফিসার ও পরে আমি নিজে চাবি দিতে গিয়েছিলাম। প্রধান চাবি নিতে অস্বীকার করেন।” তৃণমূলের নেতাদের দাবি, “পঞ্চায়েতের নথি যাতে সুরক্ষিত থাকে সে জন্যই ওই দিনই বিডিও’র হাতে চাবি তুলে দেওয়া হয়।” এ দিনও বিডিও’র কাছে আসা অনেক বাসিন্দা পঞ্চায়েতে তালা দেখে ফিরে যান।

ফের সাসপেন্ড রেশন ডিলার
বিপিএল তালিকা ও রসিদে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় পুরুলিয়া জেলার আরও এক রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করল খাদ্য দফতর। জেলা খাদ্য নিয়ামক সুনয়কুমার গোস্বামী বলেন, “সম্প্রতি দফতরের আধিকারিকেরা বাঘমুণ্ডির চড়িদা গ্রামের রেশন ডিলারের দোকানে হানা দেন। রসিদে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। দোকানে যে বিপিএল তালিকা টাঙিয়ে রাখার কথা ছিল ততেও গণ্ডগোল ছিল। তাই ওই ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” এ দিকে, ওয়েস্টবেঙ্গল এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন মাহাতো বলেন, “আমরা সংগঠনের সদস্যদের বলেছি স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে।”

মারধরের অভিযোগ
ইন্দাসে ফের এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল সেই ইন্দাসের রোল গ্রাম। সোমবার সকালে ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ ফকু নামে এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির আহ্বায়ক অসীম দাস বলেন, “সকালে রোল বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন দলের সক্রিয় কর্মী শেখ ফকু। তখন দুষ্কৃতীরা তাঁর উপরে হামলা করে।” তাঁর অভিযোগ, “রাস্তার মধ্যে তাঁকে ফেলে লাঠি-রড দিয়ে মারে। ঘণ্টাখানেক রাস্তাতেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে।” অসীমবাবুর দাবি, “মার খেয়েও ভয়ে দলের কর্মী-সমর্থকেরা অভিযোগ জানাতে যেতে পারছেন না।” তৃণমূলের রোল অঞ্চল সভাপতি নিমাই মহন্তের দাবি, “দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় বহু মানুষের উপরে অত্যাচার করেছেন ওই সিপিএম কর্মী। সেই অত্যাচারিত মানুষদের একাংশ এ দিন সকালে তাঁকে হেনস্থা করেছেন বলে শুনেছি।” পুলিশ জানিয়েছে, মারধরের ঘটনায় কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি।

খুন, গ্রেফতার দুই
বধূ ও তাঁর ছেলেকে খুন করার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন মনোজ মজুমদার ও তাঁর মা রমণি মজুমদার। মেজিয়ার নামোমেজিয়া এলাকায় তাঁদের বাড়ি। সোমবার তাঁদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক জানান, আজ মঙ্গলবার তাঁদের জবানবন্দী গ্রহণ করা হবে। আপাতত তাঁরা জেল হয়েছে। রবিবার মনোজবাবুর স্ত্রী সান্ত্বনা ও তাঁর ছেলে মনতোষের গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ মিলেছিল।

দেহ উদ্ধার
রবিবার পুকুর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম রাঘব চট্টোপাধ্যায় (৫০)। বাড়ি কাশীপুর থানার কল্লোলী গ্রামে।
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.