|
|
|
|
অতিবর্ষণে বহু জায়গাতেই নদীবাঁধ বিপজ্জনক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
বর্ষায় এ বার ভাল বর্ষণ বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় নদীবাঁধ সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। একে উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ বা সংস্কারের অভাবে নদীবাঁধগুলির অবস্থা ভাল নয়। তার উপর অতি বর্ষণে বাঁধগুলির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতির কাজ করা না হলে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ-সহ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দিনে ভাল বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছে। বেহাল হয়ে পড়েছে বসিরহাট শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইটিন্ডা রাস্তা। পিচ, পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিবর্ষণের জেরে বসিরহাটের হরিশপুর, চৌরচরে, ইছামতী নদীর বাঁধের অবস্থা রীতিমত বিপজ্জনক। সন্দেশখালি-২ ব্লকের মনিপুর পঞ্চায়েতের আতাপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ বসে যাওয়ায় আতঙ্কিত বাসন্দারা। ইতিমধ্যেই সেচ দফতরের কর্মীরা বাঁধে বাঁশ পাইলিংয়ের কাজ শুরু করলেও মাটি ফেলা নিয়ে টালবাহানার জেরে ক্রমাগত বাঁধের মাটি ধসে যাচ্ছে নদীগর্ভে। পাশপাশি বহু জায়গাতেই নদীবাঁধে ফাটল ও ধস নামার ঘটনা ঘটেছে। হিঙ্গলগঞ্জের সান্ডেলের বিল, সাহেবখালি, রমাপুর, জগন্নাথঘাট, দুলদুলি, সর্দারপাড়া, নটবরঘাট-সহ কয়েকটি জায়গায় কালিন্দী এবং রায়মঙ্গল নদীর বাঁধের অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। সন্দেশখালি ব্লকের মসজিদবাড়ি এলাকায় বেতনি নদীর বাঁধের অবস্থা বেশ খারাপ। খুলনাবাজার, দ্বারিকজঙ্গল, শীতলিয়া, ঝুপখালি, বেড়মজুর, দুর্গামণ্ডপ গ্রামে অনেক মানুষ মাটির বাড়ি ভেঙে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন এলাকার ৭৮১ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ২৩১টা স্লুইস গেট আছে। তার মধ্যে ১১৫টি খারাপ হয়ে পড়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিকাংশ এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, অনেক জায়গায় এখনও বাঁধ মেরমতির কাজ শুরুই হয়নি। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে মাটি ফেলে বাঁধ রক্ষায় নেমে পড়েছেন। |
|
|
|
|
|