|
|
|
|
স্কুল নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম তিন জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
স্কুল নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের দেউলি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতের গাঁথি জগন্নাথ বিদ্যামন্দিরে পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২৪ জুলাই। সেই উপলক্ষে এ দিন ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ক্যানিং-২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানিক পাইক তাঁর ৬ জন মনোনীত প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে স্কুলে পাঠান।
অন্য দিকে, ক্যানিং-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়িও তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের স্কুলে পাঠিয়ে দেন মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য। এই অবস্থায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা করে আগে থেকেই স্কুলে বাহিনী নিয়ে পৌঁছে যান জীবনতলা থানার ওসি ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি যখন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছিলেন সেই সময়েই মানিকবাবুর প্রার্থীরা মনোননয় জমা দিতে শৈবালবাবুর লোকজনের সঙ্গে গোলমাল বাধে। মানিকবাবুর অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবেই শৈবালবাবুর লোকজন হামলা করে বলে মানিকবাবুর অভিযোগ। তিনি জানান, হামলায় তাঁদের সইদ শেখ, সরিফুদ্দিন লস্কর ও গোকুল নস্কর নামে তিনজন কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, শৈবালবাবু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বিধানসভা এলাকায় এসে গণ্ডগোল বাধিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। অন্য দিকে, শৈবালাবুর বক্তব্য, তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি দলের মহকুমা সভাপতি হওয়ার সুবাদে দলের দায়িত্ব আমার উপরে রয়েছে। আসলে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই সব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, দলের কলেবর আগের চেয়ে বেড়েছে। নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সম্ভবত, এই ধরনের সমস্যা হয়েছে। তবে কোনও পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি। স্কুলের নির্বাচন ঘিরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়ে তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে ক্যানিংয়ে নারায়ণতলা অঞ্চলে অক্ষয় বিদ্যামন্দিরের নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এক জন আহত হন। |
|
|
|
|
|