রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষকদের কর্মবিরতি, ফিরলেন পরীক্ষার্থীরা
ছাত্র আন্দোলন নয়। নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য কর্মবিরতি আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকেরা। তারই জেরে সোমবার বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্য ও চলচ্চিত্র শিক্ষার পরীক্ষা হল না। পরীক্ষা দিতে এসে ফিরে যেতে হল ছাত্রছাত্রীদের।
শিক্ষকদের অভিযোগ, তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ)-এ ঠিকমতো টাকা জমা হচ্ছে না, নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে, বিভিন্ন গবেষণাগারের হাল খারাপ, যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষক নেই। অবিলম্বে এই সব সমস্যা মেটানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ জন শিক্ষক এ দিন কর্মবিরতি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক নারায়ণ ঘড়ুই বলেন, “সমস্যা মেটানোর জন্য উপাচার্যের কাছে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু তিনি উদ্যোগী হচ্ছেন না।”
উপাচার্য অশোকরঞ্জন ঠাকুর শিক্ষকদের বেশ কিছু অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রভিডেন্ট ফান্ডে শিক্ষকদের টাকা জমা দেওয়া নিয়ে কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা হচ্ছে। পিএফ সংক্রান্ত কাগজপত্র এখন অর্থ দফতরে রয়েছে। সেটি চূড়ান্ত হয়ে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।”
তবে পঠনপাঠনে অসুবিধার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উপাচার্য জানিয়েছেন, এ দিন দু’টি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। সেই সব পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে, শীঘ্রই ছাত্রছাত্রীদের তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এ দিন অবশ্য কোনও ক্লাস ছিল না। শিক্ষকেরা এ দিন সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। উপাচার্য সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়ার পরে বিকেলে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়। নারায়ণবাবু বলেন, “আমাদের চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিকাঠামোর অভাবে পঠনপাঠন ঠিকমতো হচ্ছে না। সেই কারণেই আমাদের আন্দোলন।”
শিক্ষকদের এই আকস্মিক কর্মবিরতির জেরে ভুগতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বিশ্বরূপ দে নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, “কর্মবিরতি আন্দোলনে না-নেমে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেত। এখানে প্রায়ই গোলমাল হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে আমাদেরই।” পাপিয়া দাস নামে অন্য এক পরীক্ষার্থী বলেন, “পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়েছিলাম। এখানে এসে শুনলাম, পরীক্ষা হবে না।” পরীক্ষার্থীদের সমস্যায় ফেলে নিজেদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা কি শিক্ষকদের শোভা পায়? নারায়ণবাবুর জবাব, “এ দিন বড় কোনও পরীক্ষাও ছিল না। অন্য যে-কোনও দিন ওই সব পরীক্ষা নিলেই হবে। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার থেকে শিক্ষকদের চাকরির সুরক্ষা, শিক্ষকদের পারিবারিক আর্থিক ব্যাপারটা অনেক বেশি জরুরি।”
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.