প্যারাগুয়ে-০(২) (এস্তিগারিবিয়া, রিভেরোস)
ব্রাজিল-০ (০)
|
কেউ ভাবতে পারেনি, টাইব্রেকারে ব্রাজিলের চার জন ফুটবলার পেনাল্টি মিস করবে! ওরা যখন পেনাল্টি মারতে যাচ্ছে, তখনই মনে হচ্ছিল, পারবে না। সেই আত্মবিশ্বাসটাই ছিল না ওদের। সবাই বলের নীচের দিকে মারল।
পেনাল্টি মারার জন্য মানো মেনেজেস কেন এলানো, থিয়াগো, সান্তোস, ফ্রেডকে বাছলেন তার যুক্তি খুঁজে পেলাম না। কেউই খুব অভিজ্ঞ নয়। কেন লুসিও, রোবিনহো, মাইকনরা পেনাল্টি মারবে না? আসলে এই দলটাতে কাকা, রোনাল্ডিনহো, ক্লেবেরসন, গিলবার্তো, ফিলিপ মেলোদের মতো ফুটবলারদের দরকার ছিল।
|
দুই শিবির, দুই ছবি: গ্যালারিতে প্যারাগুয়ের সমর্থক, মডেল লারিসা।
মাঠে বিধ্বস্ত নেইমার।-এএফপি সেমিফাইনালে উঠে প্যারাগুয়ে। -এএফপি |
ইকুয়েডরকে ব্রাজিল ৪-২ হারানোর পর বলেছিলাম, মানো-র দলটার ছন্দে ফিরতে ফিরতে না কোপা আমেরিকা শেষ হয়ে যায়। কোপার সেমিফাইনালে উরুগুয়ে-পেরু, প্যারাগুয়ে-ভেনেজুয়েলা। ব্রাজিলের দৌড় আগেই শেষ। প্রথম ম্যাচের পর এও বলেছিলাম, আর্জেন্তিনা-ব্রাজিলের এই কোপায় ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, ফুটবলাররাও মানুষ। স্কিল, স্ট্যামিনা, শক্তির সঙ্গে জেতার মানসিকতাটাও জরুরি। তারই অভাব ছিল ব্রাজিল-আর্জেন্তিনার খেলায়।
আগের ম্যাচে ইকুয়েডরকে উড়িয়ে আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল রোবিনহো-পাতোদের। আত্মতুষ্টিও ফুটবলারদের দক্ষতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রচুর পাস খেলছিল গান্সো, রোবিনহো, নেইমাররা। সুযোগও তৈরি করেছে। কিন্তু কোনও আক্রমণাত্মক ড্রিবলিং বা নিখুঁত ফিনিশিং দেখলাম না। যা পেলে, জর্জিনহো, রোনাল্ডোরা করত।
ব্রাজিলকে হারালেও প্যারাগুয়েকে প্রশংসা করার কোনও জায়গাই নেই। কোনও ফুটবলার, কোনও পাস, কোনও বিশেষ স্ট্র্যাটেজি-কোনও দিক থেকেই মনে করার মতো কিছু নেই। ওরা কোনও ফুটবলই খেলেনি। কিন্তু খারাপ খেলেও সেমিফাইনালে চলে গেল। কারণ, প্যারাগুয়ের ফুটবলাররা যেটা দেখাতে পেরেছে সেটা হল দৌড়, দশ জনে ডিফেন্স করা এবং ড্র করার মানসিকতা। চিলিকে ২-১ হারিয়ে ভেনেজুয়েলা যে আর একটা অঘটন ঘটাল, তার পিছনেও ওই দৌড়। |
অঘটনের কোপায় ব্রাজিল ম্যাচটা অসাধারণ খেলল প্যারাগুয়ের গোলকিপার হুস্তো ভিলার। ভাগ্যের জন্য ব্রাজিল গোল পায়নি, এ কথা আমি মানতে চাই না।
ভিলার গোটা ম্যাচে যেমন পাতোদের আটকে দিয়েছিল, তেমনই টাইব্রেকারে থিয়াগোর কিকও বাঁচাল। এটা ওর কৃতিত্ব। আর রোবিনহোদের ব্যর্থতা। ভাগ্যের এখানে কোনও জায়গা নেই। |