|
|
|
|
হাইলাকান্দিতে ব্যবসায়ী খুন, অপহৃত তরুণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ব্যবসায়িক রেষারেষির জেরে খুন হয়েছেন হাইলাকান্দির এক কাঠের ব্যবসায়ী সফিক আহমেদ লস্কর। এরই পাশাপাশি, অপহৃত হয়েছে শামিম নামে এক তরুণ। শামিমের বাবা-মা উভয়েই শিক্ষক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, নুর ইসলাম বড়ভুইয়াঁ নামে এক কাঠের চোরাকারবারিই বাবুর আলি নামে এক ভাড়াটে গুন্ডাকে লাগিয়ে সফিককে খুন করিয়েছে। শামিম নামে ওই তরুণকে অপহরণের পিছনেও হাত আছে নুর ও বাবুরের। বৃহস্পতিবার খুন হওয়া সাফিকের মৃতদেহ আজ উদ্ধার হলেও এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেই শামিমের। এই দুই অপরাধের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাইলাকান্দি পুলিশ নুর-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করলেও বাবুর আলিকে ধরতে পারেনি। পুলিশ খুঁজছে মণি নামে একজনকেও।
হাইলাকান্দির এসপি হেমন্তকুমার ভট্টাচার্য জানান, তদন্ত চালিয়ে জানা গিয়েছে, নুর এই খুন করানোর জন্য সুপারি দেয় বাবুর আলি নামে এক দুষ্কৃতীকে। চুক্তি হয় ২ লক্ষ টাকার। বাবুর তার চেনা কয়েকজনকে লাগিয়ে সফিককে হত্যা করে। আজ সফিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ লালা থানায় নিয়ে আসে। কাল ধলছাড়ার পাহাড়চূড়ায় বাবুর আলির ডেরায় হানা দিয়ে পুলিশ দু’টি দেশি বন্দুক উদ্ধার করে। আটক করা হয় বাবুরের ছেলে গুলজার ও সইদুলকে। অপহৃত শামিমকে নিয়ে পালায় বাবুর। ব্যবসায়ী নুর ছাড়া বাবুরের দলের যাদেরকে ধরেছে পুলিশ তারা হল এক বার হোসেন, সাইদুল ইসলাম, গুলজার আহমেদও সইদুর রহমান। পুলিশের দাবি, নুর শুধু সফিককে হত্যার ভারই বাবুরকে দেয়নি, সে বাবুরকে টাকা আদায়ের জন্য শামিমকে অপহরণের পরামর্শও দিয়েছিল। জঙ্গলে সস্তায় ভাল কাঠের খোঁজ দেওয়ার অছিলায় বৃহস্পতিবার সাফিককে মোটরবাইকে চাপিয়ে নেয় একবার। পথে বাইকে তুলে নেয় শামিমকেও। শামিমও ইদানীং কাঠের কারবারে নেমেছিল। মণি নামে এক জন ফোনে শামিমকে ডেকে এনেছিল। ধৃতেরা জেরায় কবুল করেছে, জঙ্গলে ঢুকে সাফিককে খুন করে দেহটি পাথর চাপা দিয়ে রাখা হয়। তার পর শামিমকে পণবন্দি বানিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছিল। |
|
|
|
|
|