টুকরো খবর

হড়পা বানে ভেসে গেলেন একই পরিবারের তিন জন
সপ্তাহের শেষে পিকনিকে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু তাঁদের এই বেড়াতে যাওয়ার পরিণতি এতটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি চন্দ্রশেখর রথি ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। রবিবার ইনদওরের বাসিন্দা ৫ জন পাতালপানিতে জলপ্রপাত দেখতে গিয়েছিলেন। হঠাৎই হড়পা বানে ভেসে গেলেন পাঁচ জনই। এঁদের মধ্যে দু’জন কোনও রকমে সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা পারেননি। বাইশ বছরের ছবির দেহ পরে দমকলকর্মীরা উদ্ধার করেন। চন্দ্রশেখর ও মুদিতা রথির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দাদের আশঙ্কা এঁদের কেউ বেঁচে নেই। ছবি ও মুদিতা ইনদওরের একটি কলেজে এমবিএ পড়ছিলেন। ভেরুলাল চৌধুরী এই ঘটনার এক জন প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানিয়েছেন, ছুটির দিন হওয়ায় ৩০০ ফুট উঁচু জলপ্রপাতের ধারে প্রায় ৫০ জন পর্যটক বসে ছিলেন। আশপাশের অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় জলপ্রপাতে জলের তোড় ক্রমশই বাড়ছিল। স্থানীয় গ্রামের লোকেরা পর্যটকদের সতর্ক করে দেন। সবাই নিরাপদ এলাকায় চলে এলেও ওই পাঁচ জন কর্ণপাত করেননি। হঠাৎই হড়পা বানের তোড়ে এঁরা ভেসে যান। প্রথমে একটি পাথরকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রবল স্রোতে জলপ্রপাতের উপর থেকে নীচে ভেসে যান। খবর পেয়েই পুলিশ ও দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। প্রচুর গ্রামবাসীও ভিড় করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

বিস্ফোরণের হুমকি দিল গারো জঙ্গিরা
যৌথবাহিনীর অভিযান অবিলম্বে বন্ধ না করলে মেঘালয়ের জনবহুল এলাকাগুলিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দিল গারো জঙ্গিরা। গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ-র সেনাধ্যক্ষ রবার্ট ডি সিরা নিজেই এই হুমকি দিয়েছেন। বর্তমানে রাজ্য পুলিশ কম্যান্ডোদের সঙ্গে দুই প্লেটুন ‘কোবরা’ বাহিনী জিএনএলএ-র বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান জোরদার করতে, কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত আধা-সেনাও চাওয়া হয়। শীঘ্রই ৫ কোম্পানি বিএসএফ রাজ্যে পৌঁছচ্ছে। জিএনএল-র বিরুদ্ধে লড়াই অবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য গারো পুর নির্বাচনও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। গারো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পুরোদমে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেঘালয় সরকার। এর প্রেক্ষিতেই রবার্টের বক্তব্য, “সরকার সবরকম অভিযান বন্ধ না করলে আমরা চরম পথ নিতে বাধ্য হব। সেক্ষেত্রে শিলং, তুরা, উইলিয়ামনগর, বাঘমারায় পরপর বিস্ফোরণ ঘটাব আমরা। মূল লক্ষ্য হবে বড় বাজার ও পুলিশ বাজারের মতো বাণিজ্য কেন্দ্রগুলি।” রবার্টের কথায়, “আমাদের কাছে সঙ্গীদের জীবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের হত্যা করলে, মেঘালয়বাসীকে হত্যা করতেও আমাদের হাত কাঁপবে না।” উল্লেখ্য, গারো জঙ্গিরা কোনওদিনই বিস্ফোরণ ঘটানোয় তেমন দড় নয়। তবে গোয়েন্দা ও সেনা রিপোর্ট অনুযায়ী গারো পাহাড়ে আলফা ও এনডিএফবি জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে আইইডি বানানো ও ফাটানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে গারো জঙ্গিরা। সম্প্রতি রবার্টের একটি ঘাঁটিতে হানা দিয়ে যৌথবাহিনী এমন দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আইইডি উদ্ধার করেছে। তাই হুমকিকে একেবারে ফাঁকা আওয়াজ হিসেবে পুলিশ দেখছে না।

হৃদরোগেই মৃত্যু ফৈয়জের: রিপোর্ট
মুম্বইয়ে বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিশি জেরার পরে মৃত ফৈয়জ উসমানি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তার দেহের ময়না তদন্ত রিপোর্ট থেকে এ কথা জানা গিয়েছে। অসুস্থতার কারণেই ফৈয়জ মারা গিয়েছে বলেই ওই রিপোর্টে প্রকাশ। শনিবার ফৈয়জকে জেরা করে মুম্বই পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ ফৈয়জ মারা যায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি অত্যাচারের ফলে ফৈয়জের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ফৈয়জ ২০০৮-এ আমদাবাদ বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন আফজল উসমানির ভাই। ময়না তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ফৈয়জের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। রক্তচাপ বাড়ায় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়। রিপোর্টে অসুস্থতার কারণে মৃত্যুর কথা প্রকাশিত হওয়ায় মুম্বই পুলিশ কিছুটা স্বস্তিতে।

ধর্নায় ফের ব্যাহত পস্কো প্রকল্পের কাজ
আজ সোমবার নিয়ে টানা তিন দিন ব্যাহত ওড়িশার জগৎসিংপুরে পস্কো প্রকল্পে প্রাথমিক কাজ। গত শনিবার নুয়াগাঁও পঞ্চায়েত এলাকার মাথাশাহি অঞ্চলে গাছ কাটা নিয়ে প্রকল্প-বিরোধী গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। তাতে ৫ জন মহিলা আহত হন। তার পরই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাঁদের সম্মতি নিয়েই পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রকল্পের কাজ করা হবে বলে জানান জেলা কালেক্টর এন সি জেনা।
ঘটনার পর মহিলারা এখনও ওই অঞ্চলে অরণ্য সংলগ্ন এলাকা পাহারা দিচ্ছেন। পুরুষরা ভিটামাটি সুরক্ষা মঞ্চের অধীনে নুয়াগাঁও এলাকায় ধর্নায় বসেছেন। শনিবার মহিলাদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদও জানান সংযুক্ত সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অনাদি রাউত। তাঁর দাবি, প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে তাঁদের ছ’দফা দাবি পূরণ করতে হবে সরকারকে। ঢিনকিয়াতেও বন্ধ অধিগ্রহণের কাজ। প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের সঙ্গেই প্রায় ১০০ ডোঙ্গরিয়া কন্ধ উপজাতি মানুষ বিরোধে সামিল হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল চিরাচরিত অস্ত্রও। সংঘর্ষের আশঙ্কায় নুয়াগাঁও অঞ্চলে থাকা প্রায় ২০০ জন নিরাপত্তা কর্মীকে কুজঙ্গে পাঠানো হয়েছে। ঢিনকিয়াতেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রাঁচিতে নিখোঁজ আইআইটি-র ছাত্র
রাঁচিতে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলেন আইআইটি খড়্গপুরের এক ছাত্র। গত ১৫ জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে তিনি নিখোঁজ বলে তাঁর পরিবারের দাবি। বি-টেক চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র মিখাইল মুদুলি নামের ওই ছাত্রের বাবা ঈশ্বরচন্দ্র মুদুলি আজ দুপুরে লালপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করিয়েছেন। ছবি দেখে মিখাইলকে লালপুর অঞ্চলে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে। কিন্তু লালপুর থানার ওসি বলেন, “আমরা টহল দেওয়ার সময়ে যখন ওই যুবককে দেখি তখন তাঁর পায়ে চটি নেই। হাব-ভাব দেখে অপ্রকৃতিস্থ বলে মনে হয়েছিল।” কিন্তু মিখাইলের বাবা ছেলের কোনও অসুস্থতার উপসর্গ আছে বলে মানতে চাননি। ঈশ্বরচন্দ্রবাবু বলেন, “গত ১ জুলাই ওড়িশার ব্রহ্মপুরের বাড়িতে মিখাইল ফিরেছিল। সুস্থ ছিল সে। কখনও তার মানসিক রোগের বালাই নেই।” মিখাইলের বাবা জানিয়েছেন, রাঁচির অড়গোড়ায় এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তাঁর ছেলে। ওই বিকেলে বন্ধুর সঙ্গে লালপুরে ঘুরতে ঘুরতেই কাছেই গির্জায় প্রাথর্নায় যাবেন বলে মিখাইল একা বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ।

নাগা শান্তি আলোচনা
নাগা জঙ্গি সংগঠন ও ভারত সরকারের মধ্যে শান্তি আলোচনায় এ বারেও সমাধানের রাস্তা মিলল না। আজ দিল্লিতে, ভারত সরকারের তরফে মধ্যস্থতাকারী আর এস পান্ডে ও এনএসসিএন (আই এম)-এর সাধারণ সম্পাদক মুইভা শান্তি আলোচনায় মিলিত হন। ১৯৯৭ সাল থেকেই শান্তি আলোচনা চলছে। আজ আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, কয়েক মাস আলোচনা চালিয়ে, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কয়েক দফা প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। নাগা ঐতিহ্য ও একবিংশ শতকের দৃষ্টিভঙ্গীকে মিলিয়েই সমাধানের পথ খোঁজা হবে। দুই তরফে দূরত্ব কমেছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে মতানৈক্য রয়েছে। দুই তরফের সুবিধা-অসুবিধাকে মাথায় রেখেই নাগা সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা চালানো হবে।

বন্যাত্রাণে অসমে মোকাবিলা বাহিনী
বন্যাত্রাণের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০০ জন জওয়ানকে অসমে পাঠানো হল। ব্রহ্মপুত্র, ধুবুরি, দিসাং, জিয়াভরালি ও ধানসিরি নদীর জল বিপদসীমা ছাড়ানোয় ধেমাজির ৪৬টি গ্রাম, যোরহাটের ২৫টি গ্রাম, লখিমপুরের ৬৫টি গ্রাম ও শোণিতপুরের ৩টি ব্লক প্লাবিত হয়েছে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই কেন্দ্রের তরফে ৪০ জন সদস্যের এক একটি দল এই পাঁচটি জেলায় পাঠানো হয়েছে।

শিওহরে ধৃত আট মাওবাদী
এক মহিলা-সহ আট মাওবাদী ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে। কাল রাতে পুলিশ মাওবাদী এই স্কোয়াড সদস্যদের গ্রেফতার করে বিহারের শিওহর জেলার বশথপুর গ্রামে। কোনও হামলার ছক কষতেই মাওবাদীরা ওই গ্রামের একটি বাড়িতে এক জায়গায় হয়েছিল। গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে কাল রাতে এসটিএফ এবং বিহার পুলিশের একটি যৌথ বাহিনী ওই গ্রামে অভিযান চালায়। ওই অভিযানেই ধরা পড়ে আট জন। ধৃতদের সকলের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। গত কয়েক দিন ধরেই বিহারের শিওহর এবং পূর্ব চম্পারণ জেলায় পুলিশ মাওবাদী-দমনে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। ওই অভিযানের ফলেই কাল আট জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

ওসি-র বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক পুলিশ অফিসার। ঘটনাটি ঘটেছে ডিব্রুগড়ে। উমা দুয়োরি (নাম বদলানো) নামে এক মহিলা গত কাল পুলিশে অভিযোগ জানান, রৌমারিয়া থানার ওসি পবিত্রপ্রাণ বোরা তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। এসপি অরবিন্দ কলিতা প্রথমে পবিত্রবাবুকে সাসপেন্ড করেন। আজ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের একাংশের অভিযোগ, পবিত্রবাবুর সঙ্গে বিবাহিতা উমাদেবীর সম্পর্ক ছিল। উমাদেবী একটি দোকান চালান। কাল উমাদেবীর সঙ্গে পবিত্রবাবুকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখেন উমাদেবীর স্বামী গজেন দুয়োরি। পুলিশকর্মীদের বক্তব্য, পরিস্থিতি সামলাতেই পবিত্রবাবুর নামে ধর্ষণের অভিযোগ করেন উমাদেবী। তবে এসপি বলেন, “আইন নিজের পথে চলবে। দুলিয়াজানের সার্কল ইন্সপেক্টর ডি আর বোরাকে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।”

নতুন শিক্ষাবর্ষে কাউকে র‌্যাগিং করা হবে না বলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে হলফনামা চাইল কানপুর আইআইটি। আগামী কাল আইআইটি-তে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে। কানপুর আইআইটি-র রেজিস্ট্রার সঞ্জীব কশলকর জানিয়েছেন, কাউকে র্যাগিং করা হবে না বলে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে একটি হলফনামা চাওয়া হয়েছে। যদি কোনও র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে তবে ছাত্র ছাত্রীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হলফনামায় সেই বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে। ২৫ জুলাই আইআইটিতে ক্লাস শুরু।

শ্রীসারদা মঠের প্রবীণ সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা মেধাপ্রাণার জীবনাবসান হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১। শ্রীসারদা মঠ সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ত্রিশুর শাখা কেন্দ্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ত্রিশুর কেন্দ্রের অধ্যক্ষা ছিলেন প্রব্রাজিকা মেধাপ্রাণা। ১৯৩৯ সালে ত্রিশুর রামকৃষ্ণ মঠের বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন তিনি।
Previous Story Desh First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.