|
|
|
|
দিগ্বিজয়-মন্তব্য |
সনিয়াকে আক্রমণ বিজেপির, দু’দিক রক্ষা কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সন্ত্রাসের ঘটনায় সঙ্ঘ পরিবারের অনুগামী সংগঠনের যোগাযোগের সম্ভাবনার কথা বলে ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। আক্রমণাত্মক বিজেপি অভিযোগের তর্জনী তুলছে ‘দিগ্বিজয়ের অভিভাবক সনিয়া গাঁধীর’ দিকে। কিন্তু বরাবরের মতোই দু’নৌকোয় পা রেখে চলছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। এক দিকে দলের তরফে বলা হচ্ছে, দিগ্বিজয়ের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে পারবেন তিনিই বা ‘সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি’ সন্ত্রাস কবলিতের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো। আবার দিগ্বিজয়ের এই ঝাঁঝালো রাজনীতি নিয়েও তলে তলে তাঁরা খুশি। নেতৃত্বের আশা, উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে এই রাজনীতি কংগ্রেসের অনুকূলে সংখ্যালঘু ভোট টানবে। দিগ্বিজয় সিংহের আক্রমণে রাজনৈতিক ফায়দা দেখছে বিজেপিও। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “দিগ্বিজয় যতই সঙ্ঘ ও বিজেপিকে আক্রমণ করে মেরুকরণের চেষ্টা করুন, বিজেপির রাজনৈতিক লাভই হবে। কিন্তু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষেত্রে দিগ্বিজয়ের এই মন্তব্য ক্ষতিকারক।”
১৩/৭-এর সন্ত্রাসের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছিলেন, “সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” দিগ্বিজয় মূলত সে কথাটাই বলেন, তবে অন্য ভাবে। বলেন, “এই সন্ত্রাসের ঘটনায় আরএসএস অনুগামী সংগঠনগুলির যোগ থাকার প্রমাণ মেলেনি। তবে তদন্তকারী দল তা-ও খতিয়ে দেখছেন।”
বিতর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই। গতকাল মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে আবার দিগ্বিজয় বলেন, “আরএসএস বোমা তৈরির কারখানা। মুম্বইয়ের ঘটনায় এই ফাসিস্তদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” এই বক্তব্যে ক্ষিপ্ত সঙ্ঘ পরিবারের সমর্থকরা গতকাল তাঁকে উজ্জয়িনীর কাছে কালো পতাকা দেখায়। তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন দিগ্বিজয় সমর্থকরা। দিগ্বিজয়ও এক জনকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। আজ পুলিশ ওই ঘটনার জন্য মামলাও দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি আজ বলেন, “সঙ্কটের পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা অনুচিত।” তাঁর কথায়, দিগ্বিজয় যে মন্তব্য করেছেন, তার ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারবেন। মারধরের ঘটনা নিয়ে মণীশের বক্তব্য, “হয়তো উনি আত্মরক্ষা করছিলেন। হয়তো প্ররোচনার মুখে পুরনো মেজাজে ফিরে গিয়েছিলেন। দিগ্বিজয়ই বলতে পারবেন সত্যিটা কী?” |
|
|
|
|
|