|
|
|
|
|
|
কবির মধ্যে রবি, বারের মধ্যেও রবি
অমিতাভ চৌধুরি |
|
শিলচর শহরের কাছাড় জেলার অতি সুন্দর বড়থল চা-বাগানে আমার জন্ম। পিতা অবিনাশ চৌধুরি, মাতা শৈবলিনী চৌধুরির একমাত্র পুত্র। শনিবার বাজার আসত দূরের হাট থেকে। রাতে খেতে দেরি হত। ঘুমিয়ে পড়তাম। মা-কাকিমা রাঁধতেন। বাবা ঘুম থেকে উঠিয়ে কোলে নিয়ে খেতে বসতেন। দু’গ্রাস মুখে দেওয়ার পর নিজেই খেতাম। মা মুখ ধুয়ে শুইয়ে দিতেন। রবিবার সকালে জিজ্ঞেস করতাম, মা, রাতে আমি খেয়েছিলাম তো? স্কুল ছিল সিলেটের এক গ্রাম্য পাঠশালা।
এর পর সিলেটের অজ পাড়াগাঁ থেকে এক লাফে শান্তিনিকেতন চলে আসি। এর মূলে ‘প্রবাসী’ পত্রিকা এবং বাড়ির আবহাওয়া। শিলচরে এক বার উদয়শঙ্কর, আলাউদ্দিন খান প্রমুখরা গেছিলেন। বাবা আমাকে ওই নাচের অনুষ্ঠানে নিয়ে গেলেন। অনুষ্ঠান দেখার পর আমার জীবন কেমন যেন পাল্টে গেল। মন চাইল, ওই জগতে চলে যেতে। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় শান্তিনিকেতনে ভর্তি হওয়ার ঠিকানা দেখে, বাবার উদার প্রচেষ্টায় নতুন পাঠ শুরু হল ৪২ টাকা মাসিক খরচে। সে সময় রবিবারের ছুটির হিসেব গুলিয়ে হল বুধবার। |
|
১৯৪৪ সালে শান্তিনিকেতনে এসে নবজন্ম হল। প্রকৃতিকে ভালবাসলাম। পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির কোলে বড় হলেও তখন গুরুত্ব দিইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার তিন জন রুমমেট ছিল ভিন্ন ভাষাভাষীর নোয়াখালি, কেরল, বিহারের। ফলে সাম্প্রদায়িক উদারতা গড়ে উঠল। তৃতীয়ত, মেয়েদের সম্পর্কে আড়ষ্টতা কেটে গেল। মেয়েরা সেখানে খুব সহজ-স্বাভাবিক ভাবে মিশত। তখন বিশ্বভারতীতে ‘অসুর’ রাজত্ব চলছে। প্রিন্সিপাল অনিলকুমার চন্দ্রের ‘অ’, কর্মসচিব সুরেন্দ্রনাথ কর-এর ‘সু’ আর রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘র’। বাংলা পড়াতেন প্রবোধচন্দ্র সেন। ছুটির দিনে খুব দুষ্টুমি করতাম। আড্ডা, বেড়ানো মানে একেবারে হইহই তাণ্ডব। আমিই প্রথম মেয়েদের ‘তুই’ বলে সম্বোধন করি। অমর্ত্য সেন তখন শান্তিনিকেতন স্কুলে পড়ছে। সাইকেলে পা পেত না বলে হাফ পেডাল করে আসত।
কয়েক জন বন্ধু মিলে হাতে লেখা ‘বৃহস্পতি’ নামে কাগজ বার করি। বন্ধুদের প্রবল উৎসাহে প্রথম ছড়া লিখি মেয়েরা চালাক হয় ছেলেদের চেয়ে/ জানে কম বোঝে বেশি সবক’টি মেয়ে। ১৯৫০-এ ‘টরে টরে টক্কা’ বইটি প্রকাশিত হয়। ৪০টি ছড়া। দাম ৪০ পয়সা। দ্বিতীয় বইটা ‘মুখের ভাষা, বুকের রুধির’ অসম্ভব জনপ্রিয় হল। কাছাড়ের ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা।
|
রবি বন্দনা
সোম থেকে শনি
অকারণে গনি
সব বার হলে রবি
সুখ হত সবই
পেলে শুধু রবিবার
থাকে নাকো ভয়ডর
কিছু নাই করিবার
থাক শুধু রবিবার। |
|
বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনা চলাকালীন ‘দেশ’ পত্রিকায় আমার একটা লেখা বেরোয় পৌষ উৎসবে পানিক্কার। সেটি পড়ে আনন্দবাজার পত্রিকার অশোককুমার সরকার মহাশয় কলকাতায় ডেকে পাঠালেন। সাংবাদিক জীবন শুরু হল। সে সময় ছুটির দিন ছিল বৃহস্পতিবার। কলকাতা শহরের সবচেয়ে বড় আড্ডার ঠেক তখন আমার বাড়ি। আসতেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, নির্মলেন্দু চৌধুরী, বসন্ত চৌধুরী, তাপস সেন, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, কলাবতী দেবী প্রমুখ আরও অনেক গুণীজন। আমার স্ত্রী সুনন্দা চায়ের পর চা, জলখাবার দিয়ে আড্ডার মেজাজ বাড়িয়ে দিত। বিকেলে ওকে নিয়ে কখনওসখনও রেস্তোরাঁ বা আত্মীয়, বন্ধুদের বাড়ি উপস্থিত হতাম। হেমন্তদা আমাকে খুব ভালবাসতেন। যখন উনি অসুস্থ হয়ে গেলেন, একতলায় এসে ডাক দিতেন, ‘অমিতাভ, আমি এসে গেছি, উঠতে পারছি না।’ নীচে ছিল মন্ত্রী প্রশান্ত শূরের ঘর। ওঁর ড্রয়িং রুমে বসে গল্প করতাম হেমন্তদার সঙ্গে।
এক বার ইন্দিরা গাঁধীর সাক্ষাৎকার নিতে শান্তিনিকেতনে হাজির হয়েছি। ওঁর একদম সময় নেই। রাজি হলেন। ঠিক হল, উনি প্রতিমা দেবীকে দেখতে কোনার্ক বাড়ি যাবেন। কোনার্ক থেকে বিচিত্রা যাওয়ার পথে কথা বলা যাবে। পথচলতি দারুণ সাক্ষাৎকার হল। দিনটা রোববার।
একটা মজার গল্প মনে পড়ছে। ইন্দিরা গাঁধী ভোটের কাজে শান্তিনিকেতন গেছেন। আমি সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে গেছি। উদয়ন বাড়ির বারান্দায় বসে গল্প করছেন সুচিত্রা মিত্র এবং ইন্দিরা গাঁধী। আমি দেখামাত্র বললাম, ‘বাহ্, গান-ধী... গান-দি।’ দু’জনেই হেসে উঠলেন। খাওয়া পর্ব সেরে ইন্দিরা গাঁধী প্রচার কার্যে রওনা হওয়ার সময় আমার প্ররোচনায় সুচিত্রাদি গাইলেন, ‘জয়যাত্রায় যাও গো, ওঠো জয়রথে তব...’। সে দিনটাও ছিল রবিবার। তখন আমি যুগান্তরে কাজ করি। পর দিন কাগজে সে খবর বেরোতেই সুচিত্রাদি বিপদে পড়লেন। কেননা, উনি বামপন্থী। শেষে সংশোধনী দিয়ে তবে বিপদ-উদ্ধার হয়।
সুচিত্রা সেন আমার খুব ভাল বন্ধু। মধুর সম্পর্ক ছিল। তবে শুরুটা তিক্ত। উত্তমকুমার মারা যাওয়ার পর ওঁর প্রতিক্রিয়া জানতে সাংবাদিক পাঠাই। ফিরিয়ে দেন। অন্য পত্রিকায় সাড়া দিয়েছেন জেনে খুব রাগ হল। ফোনে সেক্রেটারিকে দিলাম দু’চার কথা শুনিয়ে। ঘণ্টাখানেক পর সুচিত্রা সেনের ফোন পেয়ে আমি তখন অপ্রস্তুত! উনি প্রচণ্ড বিনয়ী কণ্ঠে প্রতিক্রিয়া দিলেন।
এক রবিবার সন্ধেবেলা সুচিত্রা সেন আর বসন্ত চৌধুরীকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছি। ওরা ঘরে ঢোকার আগে আলো নিভিয়ে দিলাম। ঘরে প্রবেশ করতেই আলো জ্বেলে বললাম, ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই।’ সুচিত্রা বললেন, ‘আমার সবচেয়ে স্মরণীয় অভিনয় কোনটা জান? যেটা আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে, দ্যাট ইজ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য।’ রাত ১১টা অবধি গল্প চলল। তার পর অনেক রোববার এমন আড্ডা জমে উঠত। সুচিত্রা ভীষণ শিক্ষিত, কাল্টিভেটেড মাইন্ডের। নানা বিষয়ে আমাদের আলোচনা হত। এক দিন সাহিত্যিক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়কে সুচিত্রা টেবিলে রাখা আঙুর খেতে দিলেন। শ্যামল সেটি হাতে নিয়ে পকেটে রেখে দিল। সুচিত্রা বললেন, ‘এ কী খেলেন না যে?’ শ্যামল উত্তর দিল, ‘বাব্বা, সুচিত্রা সেন আঙুর দিয়েছেন আর আমি কিনা খেয়ে নেব!’ এই ঠাট্টাও চলত।
পাঁচ বছর হল স্ত্রী মারা গিয়েছে। মনের সঙ্গীটিকে খুঁজে বেড়াই। প্রাণ খুলে ঝগড়া করারও কেউ নেই। শূন্যতার মাঝে একটু আশা আমার চার বছরের ছোট্ট নাতনি সুনন্দনা। ওর সঙ্গে আমার দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্ক। রোজ রাতে সাজানো থালাটি সে ছোট ছোট দুটো বেসামাল হাতে আমার সামনে টেবিলে রাখে। খুব আনন্দ হয়। ওকে আমার দুটো প্রিয় জায়গা শান্তিনিকেতন আর জন্মস্থান চা-বাগান দেখাবার ভীষণ ইচ্ছে। রবিবারেই কেবল আমার এই ছোট্ট বান্ধবীকে একটু বেশি সময় পাই। এখন সপ্তাহে ছ’টা দিন বসে থাকি শুধুমাত্র তার অপেক্ষায়। |
সাক্ষাৎকার: রিনি দত্ত
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য্ |
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
l‘পরিবর্তন’ শুনলেই যারা আঁতকে উঠত, সেই বামেরা এখন পরিবর্তনে কিছুটা অভ্যস্ত হয়েছে দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের নাম পরিবর্তনে তাদের পূর্ণ সম্মতির পাশাপাশি জানাচ্ছে, এই পরিবর্তনটা তারাই প্রথম ভেবেছিল! জগৎ সত্যিই পরিবর্তনশীল!
অরূপ দত্ত। অশোকনগর
lআজি হতে কয়েক দিন পরে, কে তুমি কলকাতার মোড়ে, অফিস আওয়ারে, ঘাড়ে নিয়ে কাজের অসহ্য চাপ, লাল সিগনালে দাঁড়িয়ে, আমার গান শুনিতেছ, বিরক্তি ভরে!
গোপাল বাইন। বহরমপুর
lপ্রাক্তন মন্ত্রী এবং বাম রাজত্বে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডাকসাইটে নেতার বাড়ির অদূরে নরকঙ্কাল, খুলি ইত্যাদি উদ্ধারে বোঝা গেল তিনি দলের তাত্ত্বিক নন, তান্ত্রিক নেতা। ‘ঝাড়’ফুঁকে বিপক্ষ নামক ভূত তাড়াতে দল যাদের শরণাগত হয়। বলা বাহুল্য, এই মুহূর্তে পিঠ বাঁচাতে তিনি নিজেই আইনের শরণাপন্ন!
অঞ্জন দাস। হাবড়া
lশিলিগুড়ি পুরসভার রঞ্জন শীলশর্মার গান: থুতু ছেটানোর আগে ছিলেম শুধুই কাউন্সিলর, থুতু ছিটিয়ে হয়ে গেলেম ডেপুটি মেয়র। আমি রঞ্জনা-অ্যাঁ, কে বলে আমি আর আসব না?
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া
l(আমরা ‘ওয়ার্ক কালচার’ অবশ্যই চাই, ‘ওয়াক থু কালচার’ নয়!
কচি সরকার। শিলিগুড়ি
lক্ষমতা বদলের পর অনুপ্রবেশ এখন আর সীমান্তে নেই, তৃণমূল কংগ্রেসেই ঘটছে। তাই এ বার কি দল তৃণমূল কংগ্রেস (মার্ক্সবাদী) বলেই চিহ্নিত হবে?
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর
lরিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবেই সিকি পয়সাকে শিকেয় তুলে রাখল!
ছুটিক চক্রবর্তী। রবীন্দ্রপল্লি
lডাক ব্যবস্থার পর এ বার ক্রিকেটেও ‘রানার ছুটছে’ বলার উপায় থাকছে না!
দেবেন হেমব্রম। খড়্গপুর
lএলসি থেকে পার্টি ক্যাডার এই তোমাদের পৃথিবী, এর বাইরে মানুষ আছে তোমরা মানো না!
কপিল বাগচী। খাগড়া
lদুই বিমান, দুই চিত্র। এক জন বিধানসভা ভোটে জয়ের পর নতুন স্পিকার, আর অন্য জন বিধানসভা ভোটে দলের হারের পর ‘স্পিকটি নট’!
জগদীশ ভাওয়াল। হৃদয়পুর
lপ্রতিদিন দেখছি বহু লোক ভিক্টোরিয়ার বেঞ্চের প্রেম দেখার জন্য পাঁচিলের বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কী সাঙ্ঘাতিক তাঁদের উৎসাহ! এঁদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করলে সরকারি ভাণ্ডার উপচে উঠবে।
নেপাল পাইন। রামপুর হাট |
|
|
|
কত প্রাণ চলে গেছে, পড়ে আছে রেক।
নন্দ ঘোষ কে হবেন, ইমার্জেন্সি ব্রেক?
কত না কমিটি আছে, শত আমলাও।
একে ওকে ঠেলাঠেলি! হ্যাপা সামলাও।
গোটা মন্ত্রক যদি হয় বেওয়ারিশ,
কোন লাশ কার কাছে করবে নালিশ!
ঘুঁটে মালা নাও ভারতীয় রেল,
আরও এক বার ফেল! |
|
|
|
মালবিকা নন্দী |
প্রথম দিকটাতে অবাকই লাগত। কারণ, এখন আমার দিকে তেমন কেউ আর তাকায় না। এ যেন, বয়স গিয়েছে চলে, আমাদের দুই-কুড়ি বছরের পার, এখন আমার দিকে কেন কেউ তাকাবে আবার।
তাই ছেলেটার আমার দিকে নজর দেওয়াটা আমারও নজরে পড়েছিল।
বছর একুশের ছেলেটা অফিসে কম্পিউটারের সামনে বসে মাঝে মাঝেই আড়চোখে আমাকে লক্ষ করছিল। বাবার অকাল মৃত্যুর সুবাদে কালই সে এ অফিসে জয়েন করেছে। নতুন ছেলে পরিচয় করা উচিত ভেবে কাছে ডাকলাম। ছেলেটির নাম জিজ্ঞাসা করে জানলাম শুভব্রত। আমার নাম শুনে ছেলেটি কী ভাবল, বললে আপনি কি প্রথম জীবনে আসানসোল অফিসে ছিলেন? কথাটা শুনে আমি অবাক হলাম, সে জানল কী ভাবে! এখন আমি মালদা অফিসে কর্মরত। মনে পড়ে গেল, প্রথম চাকরিতে এসে আসানসোল অফিসের সেই দিনগুলোর কথা। হঠাৎ যেন অনেকগুলো বছরের ধুলো মুছে গিয়ে আসানসোল, মুর্গাসোল, জিটি রোড, বাজার-হাট সব কেমন উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠল। ফেলে আসা অফিসটা, টেবিল-চেয়ারগুলোও কেমন অ্যালবামে বাঁধানো ছবির মতো সামনে চলে এল।
পর দিন ছেলেটি একটা পুরনো নীল রঙের ডায়েরি এনে আমার হাতে দিল, বললে দেখুন তো, কবিতাগুলো আপনার লেখা কি না? বাবার আলমারিতে তোলা ছিল।
ছাত্রজীবনে কবিতা লেখার হাত ছিল, পরে দশটা-পাঁচটা বাঁধা চাকরি জীবনে এলেও কবিতা লেখার হাতছানি দিত। তাই অফিসে কাজের শেষে একটি কবিতা লিখে রাখতাম আর রাফ লেখাটা ছিঁড়ে ফেলে দিতাম।
আজ ডায়েরির প্রথম পাতাটা খুলতেই দেখলাম মুক্তাক্ষরে আমার নাম। একটু নীচে লেখা ছিল কবিতাগুলি প্রকাশনার দাবিতে ঝড় তুলুক। সন ১৯৮০, দেবপ্রিয়। আমি অবাক হলাম, মনে পড়ে গেল অফিসের সেই ঘরে ডান দিকে জানলার পাশে বসা দেবপ্রিয়র লাজুক মুখটা।
আজকে আমার সামনে তার ছেলে, আমার কলিগ।
|
|
|
‘সহজপাঠ’-এর মতে প্রতি মঙ্গলবার
জঙ্গল সাফ করলে, হত না এত জঙ্গলমহল!
দীপংকর মান্না, চাকপোতা |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
সময়টা সত্তরের দশকের গোড়ার দিক। বর্ধমান শিবকুমার হরিজন বিদ্যালয়ের মাঝারি মাপের ছাত্র। আমরা ক’জন ছাত্র সেই স্কুলেরই ইতিহাস শিক্ষক মহাশয় মহম্মদ কুদ্দুস স্যরের কাছেই তাঁর পুরাতন চক-এর ভাড়া বাড়িতে টিউশন পড়া শুরু করি। সপ্তাহের ছ’দিনই তিনি পড়াতেন। মাত্র কুড়ি টাকার বিনিময়ে প্রতিটি বিষয় স্যর যত্নের সঙ্গে পড়াতেন। কোনও কারণে স্যর অনুপস্থিত হলে বা অসুস্থ হলে তাঁর ভাই আকবরদা আমাদের পড়াতেন সেই একই নিয়মনিষ্ঠায়। মাসান্তে মাত্র কুড়ি টাকার বিনিময়ে এত পাওনা, ভাবলেও আশ্চর্য লাগে! এতদসত্ত্বেও জীবনের মধ্য ভাগে এসে এক জন রাজ কর্মচারী হিসেবে সেই অন্যায়টাকে আজও ভুলতে পারি না, যখন স্কুল শেষ করার আগের মাসে বাবার দেওয়া সেই কুড়ি টাকা, যেটা স্যরের পারিশ্রমিক ছিল, ওঁকে না দিয়ে নিজে লুকিয়ে খরচ করেছিলাম। কুদ্দুস স্যর আপনি যেখানেই থাকুন বাল্যকালের এই ভুলকে আপনি ক্ষমা করুন।
চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়,
দক্ষিণেশ্বর |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।
২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|