টুকরো খবর
|
পাকা রাস্তার দাবি, বৈঠক ফের নিষ্ফলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ফুলহার বাঁধে রাস্তা সংস্কারের কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন এবং নাগরিক মঞ্চের প্রতিনিধিদের দীর্ঘ বৈঠকের পরেও সমস্যা মিটল না। শুক্রবার মালদহের জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক হয়। প্রশাসনের তরফে রাস্তাটি মোরাম দিয়ে তৈরির কথা বলায় আপত্তি জানান বাসিন্দারা। পাকা রাস্তার দাবিতে মঞ্চ বেঁধে অবস্থানের পাশাপাশি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বন্ধ চলবেই বলে জানান নাগরিক মঞ্চের প্রতিনিধিরা। শুক্রবারও এলাকায় বন্ধ হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের দিল্লিদেওয়ানগঞ্জ থেকে মণিপুর পর্যন্ত ৩০ কিমি ফুলহার বাঁধের রাস্তা নতুন করে পাকা করার দাবিতে গত বুধবার থেকে মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন শুরু করেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দৌলতনগর, ইসলামপুর, ভালুকা-সহ তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি সমস্ত স্কুল, ব্যাঙ্ক, সরকারি দফতরে তালা ঝুলিয়ে দেন বাসিন্দারা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা না ঝোলানো হলেও পরিষেবা বয়কট করেন বাসিন্দারা। এর পরেই নাগরিক মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানায় প্রশাসন। এ দিন নাগরিক মঞ্চের ৫ প্রতিনিধির সঙ্গে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সেচ দফতরের কর্তা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত জেলশাসক সাধারণ তরুণ সিংহরায় বলেন, “জেলাশাসক নিজে সেচ দফতরের সচিবকে বিষয়টি জামান। বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। রাস্তা পাকা করতে সময় লাগবে। আপাতত রাস্তা সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল। এর পরেও বাসিন্দারা অনড় থাকলে কিছু করার নেই।” মঞ্চের অভিযোগ, গত জুলাইয়ে তৎকালিন জেলাশাসক মার্চ মাসে রাস্তা পাকা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। জনজাগরণ নাগরিক মঞ্চ সভাপতি শেখ মালিক, সহ সম্পাদক হরিপ্রসাদ মিত্র বলেন, “আমরা পাকা রাস্তা চাই। তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
|
অনশনের ঘোষণা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
ভারত ভুক্তির চুক্তি রূপায়ণ এবং তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা গঠনের দাবিতে দিল্লি এবং কোচবিহারে একই সঙ্গে অনশন আন্দোলনের কথা ঘোষণা করল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। ১৮ জুলাই থেকে ওই কর্মসূচি শুরুর কথা জানিয়েছে তারা। তাতে কোচবিহার শহরে সংগঠনের সমর্থকদের বিপুল জমায়েতের সম্ভবনা ঘিরে উদ্বেগ বেড়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসনের। কোচবিহারের জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি চালানোর কথা জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। তবে বিপুল সংখ্যক বাসিন্দার জমায়েতের সম্ভবনার কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” কোচবিহার পুলিশ সুপার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সংগঠনের নেতৃত্ব ১৮ জুলাই থেকে লাগাতার অনশন আন্দোলনের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আন্দোলন কর্মসূচি যাতে কেউ ব্যহত করতে না পারে তা যেমন দেখা হচ্ছে তেমনই তার জেরে যাতে আইন শৃঙ্খলার আবনতি না হয় সে ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।” জিসিপিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির যন্তরমন্তরে আমরণ অনশনের কর্মসূচি নিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা সেখানে অনশনে বসবেন। কোচবিহার শহরের সাগরদিঘি এবং লাগোয়া এলাকায় অনশনে বসার তোড়জোড় শুরু করেছেন। জিসিপিএ’র সম্পাদক নমিতা বর্মন বলেন, “লক্ষাধিক সমর্থক জমায়েত করে অনশন আন্দোলন শুরু হবে।”
|
গণনা হল ছিটমহলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
দুই দেশের ছিটমহলে গণনার কাজে নামল ভারত-বাংলাদেশের যৌথ দল। শুক্রবার বাংলাদেশি ছিটমহলগুলিতে জনগণনার কাজ হয়। আজ, শনিবার থেকে ভারতীয় ছিটমহলগুলিতে তা হবে। ভারত ভূখন্ড ঘেরা বাংলাদেশের ৫৫টি ছিটমহলে গণনা হবে। ১২৫টি দল দুই দেশের ছিটমহলে গণনার কাজ করবেন। প্রতি দলে দু’জন করে সদস্য থাকবেন। তিনদিনে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর এ বারই প্রথম সরকারি ভাবে দুই দেশের ছিটমহলে জনগণনা হচ্ছে। কোচবিহারের জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “আমাদের ছিটমহলগুলিতে আজ থেকে কাজ শুরু হবে। কোচবিহার থেকে ৯৬ জন সরকারি কর্মী বাংলাদেশে গিয়েছে। বাংলাদেশের ৬০ জন এই জেলায় এসেছেন।” ছিটমহল বিনিময় প্রক্রিয়া নিয়ে দুই দেশে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ছিটমহলগুলিতে জনগণনার সিদ্ধান্ত হয়। ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহকারী সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “দু’দেশের ছিটমহলবাসীর সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছাপিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। তবে শুধু গণনা নয়, দ্রুত ছিটমহল বিনিময় বাস্তবায়িত হতে দেখতে চাই।”
|
ব্যবসায়ী গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
নিম্নমানের রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমাণ্ডি থানার জলট্যাঙ্ক মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত সার বিক্রেতার দোকানটি সিল করে ১৫ বস্তা সার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জাখিরউল ইসলামকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “সারের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
ডুবে মৃত্যু বালিকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
জলে ডুবে এক বালিকার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মাম্পি শিকদার (৮)। তার বাড়ি কালিয়াগঞ্জ সংলগ্ন কুশমন্ডি থানার দারখণ্ডা এলাকায়। স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। এ দিন বাড়ির পাশে একটি পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়। বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে সে মারা যায়।
|
বিয়ে রুখল পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দিনহাটা |
কিশোর-কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করল পুলিশ। শুক্রবার বিকালে দিনহাটা থানার মাতালহাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মাতালহাটের বাজেজামা পাখিহাগা গ্রামের বাসিন্দা পনেরো বছরের কিশোর-কিশোরীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন।
|
তোর্সা-গ্রাসে বসত, জমিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
জলের তোড়ে ভেসেছে যাতায়াতের জন্য তৈরি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড। তলিয়ে গিয়েছে ৩৫টি বসতবাড়ি, ৩০ একর আবাদি জমি। তারপরেও উদ্বেগের শেষ নেই। প্রতিদিন পাড় ভাঙছে তোর্সা। গ্রামের দিকে আরও এগিয়ে আসছে নদী। যা পরিস্থিতি তাতে ভরা বর্ষায় ফের তোর্সা ফুঁসে উঠলে গোটা গ্রামের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা কোচবিহার ২ ব্লকের মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পেটভাতা চন্দনচূড়ার বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেচ দফতর থেকে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু করলেও তাতে আখেরে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে সংশয়ে সেচ আধিকারিকেরাই। দফতরের কোচবিহারের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সমর সরকার বলেন, “ওই এলাকায় তোর্সার ভাঙন ঠেকাতে ১৩০০ মিটার স্থায়ী বাঁধ দরকার। এ জন্য পরিকল্পনা করে আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হবে। তবে ভরা বর্ষায় অস্থায়ী ভাবে পাথর দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। কোচবিহার-২ ব্লকের বিডিও প্রিতম লিম্বু বলেন, “পঞ্চায়েতের উদ্যোগে একশো দিনের প্রকল্পে বাঁশের খাঁচা বসানো হচ্ছে। সেচ দফতরও কাজ করছে। দেখা যাক কী দাঁড়ায়।”
|
ঋণ-বণ্টনে তদন্ত দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
বিধি ভেঙ্গে ৫ কোটি টাকা ঋণ বন্টন নিয়ে কোচবিহারের দুই সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলল তৃণমূল। শুক্রবার রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি কোচবিহারে এলে তাঁর কাছে ওই তদন্তের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেয় শহর তৃণমূল কংগ্রেস নের্তৃত্ব।
তাঁদের অভিযোগ, বাম জমানার কোচবিহার সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ থেকে তুফানগঞ্জ ও দিনহাটার দুটি সমবায় সমিতিকে বিধি ভেঙ্গে ৫ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছে। তুফানগঞ্জের সমবায় সমিতিকে ঋণ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্তও গত বছর জুন মাসে করা হয়। কোচবিহার শহর তৃণমূল নেতা রণজিৎ গুপ্তচৌধুরী বলেন, “দুটি সমবায় সমিতিই সিপিএমের নেত্রীদের তদারকির দায়িত্বে থাকায় সাধারণের টাকা ঋণ দেওয়া নিয়ে নিয়মনীতি মানা হয়নি। ওই ঘটনার জন্য তদন্তের আর্জি সমবায় মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।” সিপিএম নেতা তমসের আলি বলেন, “ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন। ব্যাঙ্ক কাকে ঋণ দিয়েছে তা দলের ব্যপার নয়।”
|
রাজ্যপালের কাছে |
রাজ্যের সমস্ত শিশুদের শিক্ষার বন্দোবস্তের দাবিতে এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন প্রতিবন্ধী এক যুবক। ডান পা না থাকায় এক পায়েই তিনি সাইকেল চালান। মালদহের নালাগোলার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম দুলাল সরকার। তিনি দাবি করেন, ৮ দিন আগে সিকিমের গ্যাংটক থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। শুক্রবার তিনি ইসলামপুরে পৌঁছন। প্রতিদিন ৩০ কিমি সাইকেল চালান। ডালখোলায় পৌঁছে বিশ্রাম নিয়ে ফের যাত্রা শুরু। দুলাল বলেন, “সমস্ত শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশফেল যেন তোলা না হয়, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ওই দাবি জানাব।” |
|