|
|
|
|
|
ওয়েক আপ অ্যান্টাসিড |
মন চাইছে গরগরে মশলাদার খাবারে কব্জিটা ডোবাতে, অথচ খেলেই পরের দিন শরীর
আনচান, অরুচি। ব্যালেন্স করবেন কী করে? জানালেন নিউট্রিশনিস্ট অর্পিতা ঘোষ দেব |
এ এক আজব আবহাওয়া। হয় তিন-চার দিন ধরে ঘ্যানঘেনে বৃষ্টি, নয়তো বিচ্ছিরি গুমোট গরম। আর ঠিক এই সময়ই ক্যালেন্ডার জুড়ে যত বিয়ে, পইতে, জন্মদিন আর অন্নপ্রাশনের তারিখ। তোফা যুগলবন্দি। ফলে গ্যাস-অম্বল আর পেটের অসুখে জেরবার হতে হতে দিন কাটানো। এই আবহাওয়া বা নেমন্তন্ন কোনওটাকেই তো আর পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। তা হলে ভাল থাকা যায় কী করে?
শুনতে যতটা কঠিন, আসলে ব্যাপারটা অত জটিল নয়। মোদ্দা কথাটা হল, শরীরের PH ব্যালান্স ঠিক রাখা। আমরা রোজ যে খাবার খাই, তার মধ্যে কিছু থাকে অ্যালকালাইন ফুড আর কিছু অ্যাসিডিক ফুড। শাকসবজি, ফল, দানাশস্য এই সবই অ্যালকালাইন ফুডের মধ্যে পড়ে, আর আমিষজাতীয় খাবার, পায়েস, ক্ষীর প্রভৃতি হল অ্যাসিডিক ফুড। অ্যালকালাইন আর অ্যাসিডিক ফুডের অনুপাত হওয়া উচিত ৮০:২০। যখনই অ্যাসিডিক ফুডের অনুপাতটা বেশি হয়ে যায়, তখনই শরীর আনচান করতে থাকে, নানান সমস্যা দেখা যায়। তাই আগের দিন অনেকটা পরিমাণে মশলাদার খাবার খেয়ে ফেললে পরের দিন খুব কম তেলে রান্না করুন, মাখন বা চিনির মতো যে সব জিনিস ক্যালরি বাড়ায়, তাদের বাদ দিন। মাছের একটা পাতলা ঝোল করতে পারেন, বা চিকেন স্টু বানিয়ে নিতে পারেন। এই ধরনের খাবার শরীর থেকে বর্জ্য বার করে শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে। আরও ভাল হয় যদি দৈহিক পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াতে পারেন।
রবিবারের ছুটি। ভালমন্দ খাওয়া-দাওয়া চলেছে। বিকেলে ঘুম থেকে উঠেই শরীর ম্যাজম্যাজ, মাথা ধরা, অম্বল। আসলে আমরা খাবারের ব্যালেন্সটাই ঠিক করতে পারি না। ধরুন, ব্রেকফাস্টটা লুচি-পরোটা দিয়ে করলেন, তার পরেই গরগরে লাঞ্চ একেবারেই নয়। অন্তত ঘণ্টা তিনেক পরে স্যুপ, স্যালাড, কম তেলে লাউ বা ঝিঙের মতো আনাজ দিয়ে তৈরি তরকারি বা সব্জি ডাল দিয়ে একটা হাল্কা মধ্যাহ্নভোজন সেরে নিন।
বাড়িতে অতিথি এলে বা বাচ্চাদের টিফিনের জন্য মুখরোচক খাবার বাড়িতেই বানিয়ে দিন। বিভিন্ন সবজি সেদ্ধ করে নিন। এতে পেঁয়াজ, আদার রস, ধনেপাতা, টমেটো পিউরি দিয়ে একটা পুর বানিয়ে ফেলুন। এ বার এটা অল্প তেলে ননস্টিকে ভেজে টিকিয়া বা স্যান্ডউইচ তৈরি করে ফেলতে পারেন। সবজির বদলে মাছ বা মুরগির মাংস সেদ্ধ করেও টিকিয়া বা কাটলেট বানাতে পারেন। স্বাদও বদলাবে, আবার শরীরে ক্ষতিও কম হবে।
আর একটা কথা মাথায় রাখবেন, ফ্রিজে খাবার বেশি দিন জমিয়ে রাখবেন না। বিশেষ করে আমিষ খাবার যেন কোনও ভাবেই তিন-চার দিনের বেশি না থাকে। এই ধরনের খাবারে খুব তাড়াতাড়ি ব্যাকটিরিয়া জন্মে যেতে পারে। যদি রাখতেই হয়, তা হলে আলাদা আলাদা পাউচে ভরে রাখুন। প্রয়োজন মতো পাউচটা বের করে রান্না করে নেবেন।
|
যোগাযোগ: ৯৮৩১২৯০১৯২ |
|
|
|
|
|