বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ কিছু হাসপাতাল কর্মীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
মাসের পর মাস বেতন না-পেয়ে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং সাফাইকর্মীরা আচমকা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় শুক্রবার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে সমস্যা দেখা দেয়। মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে এ দিন সকালে পরিষ্কার হয়নি। ফলে রোগীরা সমস্যায় পড়েন। ওয়ার্ডের চারিদিকে জঞ্জাল জমে যায়। রোগীর আত্মীয়েরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একই সঙ্গে এ দিন কাজ বন্ধ করে দেন চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরাও।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে কিছু টাকা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয় মহকুমা প্রশাসন। তারপরে দুপুর থেকে ফের কাজে যোগ দেন ওই কর্মীরা।
চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত এই সব সাফাইকর্মী এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা অবশ্য প্রতিদিন কাজ পান না। প্রয়োজনের ভিত্তিতে সুপার তাঁদের কাজে লাগান। এখানে রয়েছেন প্রায় ৩৫ জন চুক্তিভিত্তিক সাফাইকর্মী এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। প্রতিদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাঁদের মধ্য থেকে জনা পনের কর্মীকে কাজে লাগানো হয়। যে দিন তাঁরা কাজ করেন সে দিনের জন্য ৫০ টাকা পারিশ্রমিক পান। এই সব কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা প্রায় তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়েই কাজ বন্ধ করেছেন। |
|
কয়েক ঘণ্টা সাফাইয়ের কাজ বন্ধ থাকাতেই
এই হাল হয়েছিল হাসপাতালের। —নিজস্ব চিত্র। |
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই সব কর্মীকে আগে রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে বেতন দিয়ে দেওয়া হত। সুপার গৌরাঙ্গসুন্দর জানা বলেন, “রোগী কল্যাণ সমিতির কয়েকজন সদস্যের আপত্তিতে এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে সমিতির তহবিল থেকে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত সাফাইকর্মী এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের বেতন দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অন্য দিকে, স্বাস্থ্যভবনও শেষবার বেতন বাবদ টাকা দিয়েছিল গত মার্চ মাসে। তারপরে আর টাকা আসেনি।”
শুক্রবার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে এইসব কর্মীর বেতনের কিছু টাকা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুপার এবং উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক। সুপার বলেন, “আপাতত দেড় মাসের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য মহকুমাশাসককে অনুরোধ করেছি। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছেন।” মহকুমাশাসক দেবকুমার নন্দন বলেন, “স্বাস্থ্যভবন থেকে টাকা আসেনি। তবে মহকুমা প্রশাসনের নিজস্ব তহবিল থেকে কর্মীদের বকেয়া বেতনের দেড় মাসের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।” এ কথা জানার পরে দুপুর থেকে ফের কাজ শুরু করেন চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীরা। |
|