মমতার দ্বারস্থ মৃতার পরিবার |
‘ঝুঁকি’র কথা না-জানিয়েই চিকিৎসা, অভিযোগ আবার |
সোমা মুখোপাধ্যায় • কলকাতা |
বিভিন্ন রোগের আধুনিক চিকিৎসা যেমন আছে, সেই সব চিকিৎসাপদ্ধতির নানা ঝুঁকিও আছে। নীতিগত ভাবে চিকিৎসকদের উচিত, তেমন কোনও পদ্ধতি প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট ‘ঝুঁকি’র কথা রোগী বা রোগীর পরিজনকে বিস্তারিত জানানো। বিপদ হতে পারে জেনেও তাঁরা যদি রাজি হন, তখনই চিকিৎসক ওই পথে এগোবেন। অন্যথায় নয়।
কিন্তু নীতিটি সর্বত্র গুরুত্ব দিয়ে মানা হচ্ছে কি? |
অমিতারানি বসাক |
প্রশ্নটা তুলে দিয়েছে পরের পর দু’টো ঘটনা। কিছু দিন আগে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ইআরসিপি (এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলানজিওপ্যাংক্রিয়াটোগ্রাফি) করাতে গিয়ে এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়। রুমা চক্রবর্তী নামে ওই মহিলার আত্মীয়দের অভিযোগ ছিল, চিকিৎসা পদ্ধতিটির এমন ‘মারণ’ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা চিকিৎসকেরা তাঁদের আদৌ জানানি। জানালে তাঁরা এতে আদৌ সম্মতি দিতেন না বলে পরিজনদের দাবি। |
|
এর রেশ না-কাটতেই ফের একই ধরনের অভিযোগ উঠল। এ বারের ঘটনাস্থল সল্টলেকেরই অন্য এক বেসরকারি হাসপাতাল। পিত্তনালীর পাথর বার করতে সম্প্রতি সেখানে একই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের শরৎপল্লির বাসিন্দা অমিতারানি বসাকের উপরে। অব্যবহিত পরে ৫৬ বছরের ওই প্রৌঢ়া প্যাংক্রিয়াটাইসে আক্রান্ত হন ও তিন দিনের মাথায় মারা যান। অমিতাদেবীর পরিজনেরও অভিযোগ, ইআরসিপি-র ঝুঁকির কথা ডাক্তারেরা তাঁদের আগাম জানাননি। চিকিৎসকদের এ হেন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’র প্রতিকার চেয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল, স্বাস্থ্য দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন অমিতাদেবীর মেয়ে। |
|