|
|
|
|
পুণেতে কিশোরী-উদ্ধার, জনমত চান গুরুদাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তের হস্তক্ষেপে পুণে থেকে উদ্ধার হয়েছে পাচার হয়ে-যাওয়া এবং অপহৃত ১৪ কিশোরী। মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গরিব পরিবার থেকেই তারা নিখোঁজ হয়েছিল।
পুণের পুলিশ ও সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি-র সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা গিয়েছে। বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে তাদের পুনর্বাসন এবং শিক্ষার দায়িত্বও নিয়েছে এআইটিইউসি। এমন অপরাধ আটকানোর জন্য জনসচেতনতা তৈরি করতে সামাজিক আন্দোলনেও নামতে চলেছে এআইটিইউসি। উদ্ধার হওয়া কিশোরী এবং তাদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার কলকাতায় এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক গুরুদাসবাবুর দাবি, “অপরাধীদের চিহ্নিত করে এই চক্রগুলিকে শাস্তি দিতে হবে। পুলিশের বিশেষ সেল খুলতে হবে। এই অপরাধ বন্ধ করতে তীব্র জনমত গড়ে তুলতে হবে। যে শ্রেণির মানুষের দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে এই ধরনের চক্র চলছে, তাঁদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজের পরিকল্পনা দরকার।” সময়মতো হস্তক্ষেপ হওয়ায় ১৪ জন কিশোরী উদ্ধার পেলেও আরও অনেকে এই চক্রের ফাঁদে আটকে রয়েছে। তাদের উদ্ধারের জন্যও এআইটিইউসি এ বার থেকে বিষয়টিকে সামাজিক আন্দোলনের পর্যায়ে নিয়ে যাবে বলে গুরুদাসবাবু জানান।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট চলাকালীন নিখোঁজ এক কিশোরীর মা গুরুদাসবাবুর বাড়িতে যোগাযোগ করে মেয়ের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার কথা জানান। ঘটনাচক্রে, একটি ফোন নম্বর থেকে ওই কিশোরী বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। খোঁজ নিয়ে নম্বরটি পুণের বলে জানা গেলে গুরুদাসবাবু ওই শহরের পুলিশ কমিশনার মীরন চাড্ডা বড়োয়ানকরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সিপিআই সাংসদের কথায়, “কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুণের এক এলাকা থেকে চারটি মেয়ের খোঁজ পেয়ে পুলিশ কমিশনার ফোন করেন। ওখানকার শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে লিখিত মুচলেকা দিয়ে আমি মেয়েগুলিকে ছাড়িয়ে আনি। এখানে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় মুচলেকা নিয়ে। বাকিদেরও উদ্ধার সম্ভব হয়।” ওই কিশোরীদের পুনর্বাসনের বিষয়টি দেখভাল করছেন এআইটিইউসি-র স্বরাজ চক্রবর্তী। পুলিশের তৎপরতার জন্য পুণের মহিলা কমিশনারকে কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি
পাঠিয়েছেন গুরুদাসবাবু। |
|
|
|
|
|