|
|
|
|
ভাড়া বাড়ছে না তবে মন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত বাস-মালিকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিবহণ ধর্মঘটের পরে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই বাস-মালিকদের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ভাড়া বৃদ্ধি-সহ মালিকদের চার দফা দাবি নিয়ে শুক্রবার মহাকরণে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী সুব্রত বক্সী। তিনি সেই বৈঠকে জানিয়ে দেন, এখনই ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে বাস-মালিকদের বিভিন্ন দাবি বিবেচনা করবে সরকার। এ দিন বিকেলে বাস-মালিকদের দু’টি সংগঠনের তিন প্রতিনিধির সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে কথা বলেন পরিবহণমন্ত্রী।
মিনিবাস ও ট্যাক্সির সঙ্গে বেসরকারি বাসের মালিকদের একাংশও বৃহস্পতিবারের পরিবহণ ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। তাতে ভোগান্তি হয় যাত্রীদের। পরিবহণমন্ত্রী এ ব্যাপারে শুক্রবারের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি পরিষ্কার বলেন, ভাড়া বাড়ানো সত্যিই দরকার কি না, নিতান্তই বাড়াতে হলে কতটা বাড়াতে হবে, তা খতিয়ে না-দেখে সরকারের পক্ষে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। জ্বালানির সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি উঠেছে। বৃহস্পতিবার এক দিনের প্রতীকী ধর্মঘটের পরে দাবি না-মিটলে লাগাতার ধর্মঘটের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পরিবহণমন্ত্রীর এ দিনের বৈঠক ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
বাস-মালিকদের তরফে বৈঠকে লিখিত সবিস্তার হিসেব পেশ করা হয় মন্ত্রীর কাছে। তাতে বাসের দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক খরচ এবং আয়ের উল্লেখ করা হয়। সেই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ১০০ পয়সা আয় করলে খরচ হচ্ছে ২৮৩ পয়সা।
বৈঠকে উপস্থিত জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটসের যুগ্ম সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় পরে বলেন, “পরিবহণমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, শিল্পটা যাতে বাঁচে, বাস-মালিকেরা যাতে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নেবে সরকার। তবে ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে রাতারাতি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।”
ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়াও খুচরো পয়সার সমস্যা, পুলিশি জুলুমের অভিযোগ, চালকদের পথ-আইন ভাঙার জরিমানার টাকা কেন মালিকদের দিতে হবে এই তিনটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় এ দিনের বৈঠকে। বৈঠকে ছিলেন পরিবহণসচিব বি পি গোপালিকাও।
পরিবহণমন্ত্রী বলেন, খুচরো পয়সার সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে তিনি রিজাভর্র্ ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করবেন। নানান অজুহাতে বাসকর্মীদের কাছ থেকে রাস্তায় পুলিশের টাকা নেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে মন্ত্রী কথা বলবেন পুলিশ-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। বাসচালক পথ-আইন ভাঙলে মালিকেরা কেন জরিমানার টাকা দেবেন, ওই টাকা কার দেওয়া উচিত, সেই বিষয়ে তিনি শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার বদলে এ দিনের বৈঠকে ছিলেন ওই সংগঠনের সহ-সভাপতি দীপক সরকার। তিনি বলেন, “সরকারের সঙ্গে এই ধরনের একটা আলোচনার জন্য আমরা বেশ কয়েক দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। দেরিতে হলেও সেটা হল। আমরা আশাবাদী।” পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “নানা রকম আলোচনা হয়েছে। ওঁদের মূল সমস্যাগুলি বোঝার চেষ্টা করেছি। তবে এখনই বলার মতো কিছু নেই।” |
|
|
|
|
|