খেলার সময় আহত এক ছাত্রকে সময়মতো বাড়ি না পাঠানোয় বা চিকিৎসার ব্যবস্থা না করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর থানার ভাটরা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিভাবক তথা গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে শুক্রবার প্রধান শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ওই ছাত্রটিকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, স্কুলের টিফিন চলাকালীন খেলার সময় ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সূরজ সাহার সঙ্গে তার এক সহপাঠীর ধাক্কা লাগে। সুরজের মাথায় চোট লাগে। দাঁত ভেঙে যায়। ঠোঁট ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। অভিযোগ, ওই ঘটনার পরেও শিক্ষকেরা সুরজকে বাড়ি পাঠিয়ে দেননি বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। সুরজের বাবা হারাধন সাহা বলেন, “সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখি ছেলের চোখ ফুলে রয়েছে। রক্ত ঝরছে ঠোঁট থেকে। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। কিন্তু, কাজ হয়নি।” ভাটরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলমণি পাল বলেন, “আমি স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। বাকি দুই শিক্ষকের মধ্যে এক জন ছেলের অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যান। ঘটনার সময় একজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।” তিনি জানান, ঘটনার পরেই জখম ছাত্রটিকে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, সে নিজেই অভিভাবকদের ‘ভয়ে’ যেতে চায়নি। ঘটনার সময় স্কুলে উপস্থিত থাকা শিক্ষক পবিত্র কুণ্ডু বলেন, “স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তার পর ওকে স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শুভজিৎ সাহার সঙ্গে বাড়ি যেতে বলা হয়। কিন্তু, সূরজই যেতে চায়নি।” ছাত্রটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে কেন দেরি হল, কেনই বা ওই শিক্ষক নিজে গিয়ে সূরজকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়নি, তা তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) দীপায়ন দাস জানিয়েছেন। মহকুমা হাসপাতালের সুপার রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “ছাত্রটির চোট গুরুতর। দেরিতে হলেও আমরা তাকে শল্য বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করেছি। সময় নষ্ট না করে ঘটনার পরেই নিয়ে এলে সুবিধে হত।”
|
এক বাসকর্মীর অপমৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে খাতড়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাতড়া থানার খড়বোন মোড়ের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে দাঁড়ানো বেসরকারি বাসের ভিতের গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় স্বপন চক্রবর্তীর (৩৯) দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পাত্রসায়র থানার কান্তোর গ্রামের বাসিন্দা স্বপনবাবু খাতড়া-মেদিনীপুর রুটের একটি বেসরকারি বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন। সন্ধ্যায় খাতড়ায় যাত্রীদের নামিয়ে ওই পেট্রোল পাম্পের সামনে বাসটি রাখা হয়। ওই বাসের চালক মানিক খাঁ, দুই খালাসি মুন্না খাঁ ও রঞ্জন মহন্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, বাসটি দাঁড় করিয়ে তাঁরা চা খেতে গিয়েছিলেন। স্বপনবাবু বাসে ছিলেন। ফিরে এসে তাঁরা দেখেন স্বনবাবুর দেহ দড়ির ফাঁসে বাসের ভিতরের রডে ঝুলছে। ওই তিন জনের দাবি, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। যদিও তা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার কান্তোর থেকে খাতড়ায় আসেন স্বপনবাবুর বাড়ির লোকজন। মৃতের ভাই নিখিল চক্রবর্তী বলেন, “বাড়িতে দাদার সঙ্গে কারও কোনও গণ্ডগোল হয়নি। শুধু শুধু দাদা কেন আত্মহত্যা করতে যাবেন? দাদার যে ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা রহস্যজনক। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। সাত দিনের মধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।” মৃত বাসকর্মীর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও দুই নাবালক ছেলে আছে। এসডিপিও (খাতড়া) অলোক রাজোরিয়া বলেন, “বাঁকুড়া মেডিক্যাল থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটা আত্মহত্যা না খুন। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।”
|
পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালড্যাংরা থানার শালদহ গ্রামে। মৃতার নাম বীণাপানি পণ্ডিত (৪০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামী মধু পণ্ডিত শালদহ গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। এ দিন সকালে পারিবারিক কারণে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বচসা বাধে। বাড়ির লোকের অভিযোগ, রাগের বশে মধু তাঁর স্ত্রীর ঘাড়ে কাটারির কোপ মারেন। ঘটনাস্থলেই বীণাপানিদেবীর মৃত্যু হয়। এলাকার বাসিন্দারা পরে মধুকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, মধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
|
চলন্ত মালগাড়ির সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মঘাতী হলেন এক তরুণী। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বিষ্ণুপুর স্টেশনের কাছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরনে কালো রঙের জিনস ও খয়েরি রঙের টপ এবং কাঁধে ব্যাগ ও হাতে মোবাইল ফোন-সহ অজ্ঞাতপরিচয় ওই তরুণী বাঁকুড়া থেকে মেদিনীপুরগামী চলন্ত মালগাড়ির সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মালগাড়ি চলে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে ভিড় জমান যাত্রীরা। বিষ্ণুপুরের স্টেশন ম্যানেজার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, “বছর ২২-এর ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। রেল পুলিশ বাঁকুড়ায় দেহটি তুলে নিয়ে গিয়েছে।” |