টুকরো খবর

বচসার জেরে ছেলের হাতে খুন বাবা
মেয়েকে নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বচসায় ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ভাস্কর গিরি (৪৮) নামে পেশায় ছিলেন হাতুড়ে চিকিৎসক। এই ঘটনায় মা এবং ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাস্করবাবুর স্ত্রী এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে সুরেন্দ্র কলকাতায় কলেজে পড়ে। স্ত্রী স্থানীয় শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষিকা। বুধবার রাতে চেম্বার থেকে বাড়ি ফিরে ভাস্করবাবু জানে পারেন যে মেয়ে সোমা (একাদশ শ্রেণির ছাত্রী) স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। স্ত্রী এবং বড় ছেলে এই ঘটনায় মদত দিয়েছে জেনে তাঁদের সঙ্গে ঝগড়া বেধে যায় ভাস্করবাবুর। বচসার মধ্যে হঠাৎই বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে মারে সুরেন্দ্র। ঘটনাস্থলেই পনে গিয়ে মারা যান ভাস্করবাবু। এর পরে তাঁরা মৃতদেহটি বাড়ির পিছনে বাগানে পুঁতে দেয়। পরদিন প্রতিবেশীরা ভাস্করবাবুর কথা জিজ্ঞাসা করলে কান্নায় ভেঙে পড়ে সমস্ত ঘটনাই জানান স্ত্রী শকুন্তলা দেবী। অবস্থা বেগতিক দেখে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সুরেন্দ্র। এর পরেই ভাস্করবাবুর ভাইপো শকুন্তলাদেবী ও সুরেন্দ্রর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাংলায় ডাকাতি, ধৃত ২ শ্রমিক তামিলনাড়ুতে
এ রাজ্যে ডাকাতির ঘটনার দুই অভিযুক্তকে তামিলনাড়ুর এক কারখানায় গ্রেফতার করল সিআইডি। ১ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার হেমনগর থানার দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই দু’জনের নাম স্বপন রায় ও বাঁশিরাম মণ্ডল। তাদের বাড়ি সুন্দরবন উপকূল থানা এলাকায়। সিআইডি সূত্রের খবর, ১ মার্চ হেমনগর থানা এলাকায় রাতে নিমাই ও দিলীপ দে নামে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাট চালায় এক দল দুষ্কৃতী। নিমাইয়ের ভাগ্নে শ্যামা দত্ত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা যান। মাসখানেক পরে জেলা পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। মাস দুয়েক আগে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দেবেন মণ্ডল নামে সুন্দরবন উপকূল থানার এলাকার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাকে জেরা করে স্বপন ও বাঁশিরামের হদিস পায় সিআইডি। তামিলনাড়ুর পেরুমদুরাইয়ের ইরোর এলাকার একটি বাঙালি মহল্লা থেকে শুক্রবার সকালে দু’জনকে ধরা হয়েছে। তারা একটি ঠিকা শ্রমিকের কাজ করছিল। ডাকাতির ঘটনার মাসখানেক পরে ওই দু’জন তামিলনাড়ু পালায়। জেরায় ধৃতেরা ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করেছে বলে সিআইডি-কর্তাদের দাবি। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যদের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জওয়ানের মৃত্যু ঘোজাডাঙায়
বিএসএফের এক জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বসিরহাটের ঘোজাডাঙায়। পুলিশ জানিয়েছে, বসির আহমেদ তাস (৩৭) নামে ওই জওয়ানের বাড়ি কাশ্মীরের কালারুসের লাড্ডা গ্রামে। শুক্রবার সকালে সীমান্ত-লাগোয়া একটি পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা বসিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়না-তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ৭টা নাগাদ পুকুরে জামা-কাপড় ধুতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। অনেক সময় পরেও চৌকিতে না ফেরায় তাঁর সঙ্গীরা খোঁজ করতে বেরোন। বেলা পৌনে ৯টা নাগাদ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে জওয়ানের ইউনিফর্ম পড়ে। সন্দেহ হওয়ায় জলে নেমে খোঁঁজাখুঁজি শুরু হলে বসিরের দেহ মেলে।

উচ্ছেদ পণ্ড
নোংরা জল ছিটিয়ে পুলিশ ও পুরসভার উচ্ছেদ অভিযান পণ্ড করল জবরদখলকারীরা। শুক্রবার, বারুইপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। এ দিন বারুইপুর পুরসভার উল্টোদিকে ২২টি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে পুলিশ ও পুরসভার ওই অভিযান হয়। পুলিশ জানায়, আচমকাই তাঁদের উপরে নোংরা জল ছেটালে বন্ধ করতে হয় অভিযান। বারুইপুর পুরসভা সূত্রে খবর, ওই এলাকাবাসীদের পুনর্বাসন সত্ত্বেও ২২টি পরিবার জোর করে ওই জমিতে বসবাস করছে। সেখানে জলপ্রকল্প হওয়ার কথা। জবরদখলকারীদের জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না, তাই উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। পুর-চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, “ওই জমি পুরসভার তরফে প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন উচ্ছেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “বারুইপুরের মহকুমা শাসকের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.