করিমপুর ব্যাঙ্ককাণ্ড
তাপস আগেও ব্যাঙ্কে গণ্ডগোল করেছেন
রিমপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে খুন ও ডাকাতির ঘটনায় শুক্রবার তেহট্ট ফাস্ট ট্রাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দিতে উঠেছিলেন করিমপুরের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তৎকালীন সিনিয়র ম্যানেজার নূরসিংহ রথ। গত বৃহস্পতিবার এজলাসে অভিযুক্ত তাপস ঘোষালকে শনাক্ত করেছিলেন নূরসিংহবাবু। সরকারপক্ষের আইনজীবী অনিকেত জোয়ারদার তাঁকে প্রশ্ন করেন এ দিন।
অনিকেতবাবু: তাপস ঘোষালকে আপনি চিনতেন?
নূরসিংহবাবু: হ্যা। তাপস করিমপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক। ব্যাঙ্কে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। গত ৬ জুলাই ২০০৯ সালে সে ব্যাঙ্কে একটা ঘটনা ঘটিয়েছিল। সে দিন সে ব্যাঙ্কে তার অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার টাকা জমা দিয়েছিল। কিন্তু দাবি করে যে, সে ৬ লক্ষ ৩ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। এই নিয়ে ব্যাঙ্কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এরপরে তাপস আমার কাছেও এসে জানায় যে, সে ৬ লক্ষ ৩ হাজার টাকাই জমা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের অফিসার মধুসূদন কর্মকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলি। মধুসূদনবাবু গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানান যে, তাপস সে দিন ৩ হাজার টাকাই জমা দিয়েছে।
অনিকেতবাবু: তাপসের এই ঘটনাটি আপনি তদন্তকারী অফিসারকে বলেছিলেন?
নূরসিংহবাবু: গত ৬ জানুয়ারি ২০১০ সিআইডি’র তদন্তকারী অফিসার মহম্মদ জামালুদ্দিনকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম।
অনিকেতবাবু: ব্যাঙ্কের কত টাকা ডাকাতি হয়?
নূরসিংহবাবু: ১৩,৫০ হাজার।
অনিকেতবাবু: ব্যাঙ্কে টাকা কোথায় কী ভাবে রাখা হয়?
নূরসিংহবাবু: টাকা ভাল করে গুণে, পাটের দড়ি দিয়ে বেঁধে বান্ডিল করে, ব্যাঙ্কের সিল দিয়ে, ক্যাশিয়ারের সই করার পরে সেফ বা আলমারির মধ্যে রাখা হয়।
অনিকেতবাবু: সেই সময় ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার কারা ছিলেন?
নূরসিংহবাবু: সন্তোষ হালদার, দীপ্তেন ভৌমিক, মানিকভূষণ ঘোষ এবং দীপেন্দ্রনাথ চৌধুরী।
অনিকেতবাবু: ব্যাঙ্কের সিল করা নোট দেখলে চিনতে পারবেন?
নূরসিংহবাবু: হ্যা। (এরপরে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় উদ্ধার করা টাকা শনাক্ত করেন তিনি) এই দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ এখানেই শেষ হয়।
Previous Story Murshidabad Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.