বহরমপুর কলেজে ফের কাজিয়ায় কংগ্রেস-তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
গত কয়েক দিন ধরেই বচসা প্রায় নিত্য ঘটনায় দাঁনিয়েছিল। গত দিন দুই ধরে লেগেছিল ছোখাটো হাতাহাতিও। শুক্রবার সেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন জেলা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রীও।
বহরমপুর কলেজে এ দিন কলেজের ভর্তি নিয়ে ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে বিতণ্ডা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়াল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিও চালাতে হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অন্তত তিন জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। |
|
বিতণ্ডা থামাতে হিমশিম পুলিশ। নিজস্ব চিত্র। |
তবে হাতাহাতির পরে এ দিন মুর্শিদাবাদ জেলা ছাত্র পরিষদের দায়িত্বে থাকা মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসুমী বেগমের সঙ্গে প্রবল বাগ বিতণ্ডা শুরু হয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের। এই সময়ে প্রায় মারমুখী মৌসুমীকে কোনওরকমে সামলায় মহিলা পুলিশ। মৌসুমীর অভিযোগ, “প্রায়ই বাইরে থেকে ছেলে নিয়ে এসে কলেজে তান্ডব করছে তৃণমূল। কলেজ গেটেই নতুন ছেলে-মেয়েদের তারা শাসাচ্ছে তৃণমূল না করলে কলেজে পড়া যাবে না বলে।” তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা অবশ্য ওই অভিযোগ মানতে চাননি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নবকুমার পাল বলেন, “মৌসুমী কী ছাত্রী? উনিই তো ওখানে এসে উত্তেজনা ছড়িয়েছেন। বাইরে থেকে কংগ্রেস কর্মীদের ডেকে এনে আমাদের সমর্থকদের উপরে চড়াও হওয়ার পিছনেও তিনিই ছিলেন মূল উদ্যাক্তা!” কলেজের অধ্যক্ষ সমরেশ মণ্ডল বলেন, “কী করব বলুন, ছাত্র রাজনীতিতে ছাত্রেরা বাদে বহিরাগতদেরই দাপট এখন। আমি নিরুপায়।” প্রসঙ্গত ওই কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করেছিল এসএফআই। তবে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে ছাত্র ফেডারেশনের কাউকেই এখন আর কলেজের সংসদে দেখা যায় না। অভিযোগ, কলেজের ছাত্র সংসদের পদাধিকারীদের ঢুকতেই দেয় না তৃণমূল। এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি ভাস্করকান্তি গুপ্ত বলেন, “রাজ্যে পরিবর্তনের পরে আমাদের আর ওই কলেজে ঠাঁই-ই হচ্ছে না। গণতন্ত্রিক ভাবে সংসদ দখল করার পরেও ওখানে তৃণমূলের ছেলেরা আমাদের পদাধিকারী এমনকী সমর্থকদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না।” তৃণমূলের শহর কংগ্রেস সভাপতি পাল অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এসএফআই এত দিন ওই কলেজে নির্বাচনই করতে দেয়নি। এখন পরিবর্তনের ফলে ওরা নিজেরাই কলেজে ঢুকতে ভয় পাচ্ছে। আমরা কাউকে আটকাইনি।” |
|