টুকরো খবর

মনোজের জেল হাজত
যে খুনের মামলায় জনগণের কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক মনোজ মাহাতোকে নতুন করে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই মামলারই অন্য অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দিল আদালত। ২০০৯ সালের অগস্ট মাসে লালগড়ের স্বরূপনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সিপিএমের লালগড় লোকাল কমিটির সদস্য নির্মল মাহাতোকে মাওবাদীরা বাড়ি থেকে টেনে বার করে কুপিয়ে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার ওই খুনের মামলার অন্যতম অভিযুক্ত লালগড়ের পূর্ণাপাণি গ্রামের বাসিন্দা অনাদি ভূঁঞ্যার জামিন মঞ্জুর করলেন ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম রোহন সিংহ। আগে থেকেই খুন ও রাষ্ট্রদ্রোহের দু’টি মামলায় জেলবন্দি অনাদি ভূঁঞ্যাকে চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল সিপিএম নেতা নির্মল মাহাতো খুনের মামলায় যুক্ত করেছিল পুলিশ। কিন্তু ৯০ দিন উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও এই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারেননি তদন্তকারী অফিসার। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী সুমন সিংহ এ দিন অনাদির জামিনের আবেদন করেন। চার্জশিট না হওয়ায় আগের দু’টি মামলাতেও ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন অনাদি। এ দিন জামিন পেলেন নির্মল মাহাতো খুনের মামলাতেও। এ বার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার অপেক্ষা। এই খুনের মামলাতেই কিন্তু নতুন করে জড়ানো হয়েছে মনোজকে। এই মামলার সূত্রেই ইতিমধ্যে ৫ দিন তাঁকে পুলিশি হেফাজতেও কাটাতে হয়েছে। পরে, গত ১১ জুলাই তাঁকে ৫ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। শুক্রবার মনোজকেও ফের আদালতে হাজির করা হয়। এ বার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। দু’বছর আগে লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে এক সিপিএম সমর্থককে অপহরণের মামলার সূত্রে মনোজের বিরুদ্ধে গত ২৭ জুন জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে গত ১ জুলাই লালগড়ের বীরকাঁড়ের লাগোয়া জামশোল গ্রামের বাড়ি থেকে মনোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলায় ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের নির্মল মাহাতো খুনের মামলায় মনোজকে অভিযুক্ত করা হয়।

বেহুঁশ করে লুঠ ট্রেনে
মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ফের রেলযাত্রীদের সর্বস্ব লুঠের ঘটনা ঘটল। শুক্রবার সকালে হাওড়াগামী নীলাচল এক্সপ্রেস থেকে তিন বেহুঁশ যাত্রীকে উদ্ধার করে জিআরপি। পরে খবর পেয়ে মেদিনীপুরে আসেন আত্মীয়রা। মেদিনীপুর স্টেশনেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। পরে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে যে যাঁর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। শেখ গোলাম, আরবিল্লা খান ও প্রদ্যোৎ মান্ডি নামে তিন যুবকই দিল্লি থেকে নীলাচল এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করেন। প্রথম দু’জনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কেশবপুরে। প্রদ্যোতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের আকুলায়। গোলাম-আরবিল্লাদের নামার কথা ছিল মেচেদায়। প্রদ্যোৎ মেদিনীপুরের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু যে যাঁর গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর আগেই ঘটে বিপত্তি। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খেয়ে বেঁহুশ হয়ে পড়েন গোলামরা। সেই সুযোগে সর্বস্ব লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। লুঠ হওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে মোবাইল, জামাকাপড় এবং নগদ টাকা। বেঁহুশ যাত্রীদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর স্টেশনে নামানো হয়। এখানেই শুরু হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা। কিছু পরে তাঁদের জ্ঞান ফেরে। রেল পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে আত্মীয়রাও শহরে আসেন।

বদলি নিয়ে বিরোধ জেলা হাসপাতালে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে এক কর্মীর বদলি ঘিরে তৃণমূল প্রভাবিত দুই কর্মী সংগঠনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীকান্ত নায়েক নামে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মী নন্দকুমার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিযুক্ত। তাঁকে এক বছর আগে শর্তসাপেক্ষে জেলা হাসপাতালের প্রতিবন্ধী বিভাগে নিয়োগ করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে লক্ষ্মীকান্তবাবুকে ‘রিলিজ’ করে দেন জেলা হাসপাতালের সুপার। এরপরে স্টেট হেলথ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ঘেরাও-বিক্ষোভ দেখিয়ে সুপারকে ওই ‘রিলিজ-অর্ডার’ বাতিল করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আবার সরব হয় তৃণমূল প্রভাবিত অপর সংগঠন নন-গেজেটেড হেলথ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। স্টেট হেলথ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের (কনফেডারেশন) জেলা সভাপতি বিষ্ণুপদ পণ্ডা বলেন, “আমরা সুপারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেই জন্য আমাদের সংগঠনের সমর্থক লক্ষ্মীকান্তবাবুকে জেলা হাসপাতাল থেকে সরানো হয়েছে। এর পেছনে অন্য একটি সংগঠনের প্ররোচনা আছে।” নন-গেজেটেড হেলথ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের (ইউনিফায়েড) জেলা কার্যকরী সভাপতি চন্দন বেরা অবশ্য বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা লক্ষ্মীকান্তবাবুকে তাঁর নিজস্ব কর্মস্থলে পাঠানোর দাবি জানিয়েছি।” এ দিকে, শুক্রবার নন্দকুমারের ঠেকুয়া বাজারে একটি প্রতিবন্ধী নির্ণয় শিবির ছিল। শিবিরের জন্য প্রতিবন্ধী বিভাগের অফিসে নথিপত্র নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন সুপার নিমাইচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “লক্ষ্মীকান্তবাবুকে অফিসের চাবি হস্তান্তর করতে বললেও তিনি প্রথমে তা দিতে চাননি। ফলে শিবিরে মেডিক্যাল টিম পাঠাতে দেরি হয়।” অযথা এই বিলম্বে ক্ষোভ ছড়ায় প্রতিবন্ধী শিবিরেও।

সহায়কের মাধ্যমে বয়ান দিলেন মূক-বধির তরুণী
পঙ্গু ও মূক-বধির এক তরুণী চরম শারীরিক নিগ্রহের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিলেন সহয়াকের মাধ্যমে। গোপন জবানবন্দির সময়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে শুধু বয়ানদানকারীই হাজির থাকতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তরুণীটি যেহেতু মূক ও বধির, কলকাতার একটি মূক-বধির প্রশিক্ষণ সংস্থার মহিলা প্রশিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে হাজির থাকতে পারার অনুমতি মিলেছিল মেয়েটির। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট রোহন সিংহ দেড় ঘণ্টা ধরে ২২ বছরের ওই তরুণীর জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। ওই তরুণীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়া থানার চোরচিতা অঞ্চলের এক গ্রামে। গত ৩০ জুন বিকেলে মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে গ্রামেরই এক যুবক সমীর বেরা ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওই সময় মেয়েটির মা বাড়ি ফিরে আসায় মেয়েটি রক্ষা পায়। সমীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বেলিয়াবেড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির মা। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই সমীর পলাতক। গত ১ জুলাই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মেয়েটির গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। গত ৫ জুলাই জবানবন্দি গ্রহণের দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক। কিন্তু ওই দিন খড়্গপুরের একটি মূক ও বধির সংস্থার যাঁকে পুলিশ নিয়ে এসেছিল তিনি ওই তরুণীর বক্তব্য যথাযথ ভাবে বিচারকের কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। এর পর অভিজ্ঞ কারও মাধ্যমে ওই তরুণীর জবানবন্দি নেওয়ার জন্য শুক্রবার দিনটি ধার্য করেছিলেন বিচারক। জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশেই এ দিন কলকাতা থেকে ওই অভিজ্ঞ মহিলা প্রশিক্ষককে আনা হয়।

টিএমসিপি-র সভা
রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হলেন নেতৃত্ব। শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে হল এক কর্মিসভা। উপস্থিত ছিলেন ছাত্র নেতা বৈশ্বান্বর চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী প্রমুখ। ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। সেই কর্মসূচি সফল করতেও কর্মীদের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলেন নেতারা। পাশাপাশি, পালাবদলের পর থেকেই জেলার কলেজগুলোতে বিক্ষিপ্ত অশান্তি শুরু হয়েছে। ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সংগঠন-বিরোধী কাজ করলে বরদাস্ত করা হবে না বলে এ দিন হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য নেতারা। টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি লোকেশ কর বলেন, “এ দিনের সভায় মূলত সাংগঠনিক আলোচনাই হয়েছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।”

পড়ুয়াদের সংবর্ধনা
কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিলেন ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার স্কুলের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র,পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদাও। ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান আধিকারী, সহকারী স্কুল-পরিদর্শক অমল মণ্ডল, পুরপ্রধান জগন্নাথ গোস্বামী। প্রধান শিক্ষক দুলাল কর বলেন, “বিগত বছর এবং এ বছরেও আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করে স্কুলের মান বাড়িয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের আরও উৎসাহিত করতেই সংবর্ধনার উদ্যোগ। ২০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

পঞ্চায়েত তৃণমূলের
একদা ‘লালদুর্গ’ পশ্চিম মেদিনীপুরে আরও দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল সিপিএমের। শুক্রবার নারায়ণগড়ের কুনারপুর ও গ্রামরাজ পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোট ছিল। দুই সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল তৃণমূল। কুনারপুরে ৯-০ ও গ্রামরাজে ৭-০ ভোটে জেতে তৃণমূল।
Previous Story Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.