|
|
|
|
ডেবরায় খুন তৃণমূল সমর্থক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক তৃণমূল সমর্থকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শুক্রবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল ডেবরার ভবানীপুরে। মৃতের নাম কার্তিক পুষ্টি (৪১)। বাড়ি ভবানীপুরের নৈহাটিতে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কার্তিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দলীয় সমর্থককে খুন করেছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই চক্রান্ত। অভিযোগ উড়িয়ে সিপিএমের বক্তব্য, দলের কেউ এ ঘটনায় জড়িত নয়। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। খড়গপুরের এসডিপিও দীপক সরকারের বক্তব্য, “উদ্দেশ্য কী, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। |
মৃত কার্তিক পুষ্টি।
ফাইল চিত্র। |
বাড়ির কিছু দূরেই জামা-কাপড় সেলাইয়ের দোকান রয়েছে কার্তিকের। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। এলাকায় তৃণমূল সমর্থক হিসেবেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে। কার্তিকের মা লক্ষ্মীদেবীরও অভিযোগ, ছেলেকে সিপিএমের লোকজনই খুন করেছে। তাঁর কথায়, “ভোটের আগে-পরে ওকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের লোকেরা মাঝেমধ্যেই শাসিয়েছে।” কেশপুর সংলগ্ন ডেবরার ভবানীপুর ‘উত্তেজনাপ্রবণ’ বলেই পরিচিত। রাজ্যে পালাবদলের পরেও অশান্তি হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় পণ্ডৎ গ্রামে পুলিশ ক্যাম্পও করা হয়েছে। তার পরেও অবশ্য প্রাণহানি এড়ানো গেল না। |
|
শুক্রবার সকালে গ্রামবাসীরাই খালের ধারে কার্তিকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। দেহে ধারালো অস্ত্রের দাগ ছিল। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতিও পৌঁছন। জেলা তৃণমূল নেতা বিবেক মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সিপিএমের লোকজনই কার্তিককে খুন করেছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির মতলবেই এই খুন।” তবে ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে সিপিএম। দলের ডেবরা জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক জাহাঙ্গির করিমের বক্তব্য, “অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ আছে বলেই মনে হয় না।” কার্তিককে কী ভাবে খুন করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এসডিপিও’র পাশাপাশি দুপুরে ভবানীপুরে পৌঁছন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরেজ খালেদও। পুলিশ জানিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। |
|
|
|
|
|