|
|
|
|
পশ্চিমে দাবি কংগ্রেসের,
সদস্য হতে চেয়ে আবেদন আসছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যে শাসনক্ষমতায় তাঁরা নেহাতই ছোট শরিক। তা সত্ত্বেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলীয় সদস্য হওয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করছেন বলে দাবি জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের। দাঁতন, মেদিনীপুরের মতো এলাকা ছাড়াও আবেদন নাকি আসছে এমনকী জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়ি, শালবনি থেকেও। এতে যুগপৎ খুশি ও উদ্বিগ্ন কংগ্রেস নেতারা।
সদস্য বাড়ার সম্ভাবনায় ‘খুশি’টা না-হয় বোঝা গেল, কিন্তু ‘উদ্বিগ্ন’ কেন? কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বক্তব্য, এত দিন যারা সিপিএম করত, দাপিয়ে বেড়াতরাজ্যে পালাবদলের পরে স্রেফ পিঠ বাঁচাতে বা ক্ষমতাবৃত্তের কাছাকাছি থাকার আকর্ষণে তারা দলবদলের দলে নয় তো! সিপিএমের আগমার্কাদের তৃণমূল সহজে নেবে না, বুঝেই কি কংগ্রেসের দিকে হাত বাড়ানোসেটাও আর এক প্রশ্ন।
তাই কেউ আবেদন করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দলে নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। আবেদনকারীর ব্যাপারে খোঁজখবর চালানো হবে। সদস্যপদ সংগ্রহের জন্য একটি আবেদনপত্রও তৈরি করা হয়েছে। তাতে আবেদনকারীকে বিস্তারিত পরিচয় জানাতে হবে। এমনকী শেষ ৫ বছরে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তাও জানাতে হবে। কোনও অভিযোগ, মামলা রয়েছে কি না, তা-ও জানাতে হবে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবের সাফ কথা, “দলে লোক কম থাক, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু যে ক’জন থাকবেন তাঁরা যেন স্বচ্ছ ও সক্রিয় হোন, এটাই আমরা চাই। তাই অন্য দলে থেকে যাঁরা অতীতে অত্যাচারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন, কিংবা দুষ্কর্মে জড়িত থেকেছেন--তাঁদের কংগ্রেসে নেওয়া হবে না।”
কংগ্রেস সূত্রেরই খবর, অতীতে সিপিএম করেছেন এমন লোকজনই মূলত কংগ্রেসে যোগ দিতে ইদানীং আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সংগঠন বাড়ানোর তাড়নায় দরজা হাট করে খুলে দিলে যে বিপদ রয়েছে, তা আন্দাজ করতে পারছেন কংগ্রেস নেতারা। সে কারণেই বিশেষ আবেদনপত্র তৈরি করে, খোঁজখবর নিয়ে, রয়েসয়ে এগোতে চাইছেন নেতৃত্ব। স্বপনবাবুর কথায়, “আমাদের ঢাল করে কোনও দুষ্কৃতী বাঁচার চেষ্টা করবে, তা হবে না। তাই পূরণ করা আবেদনপত্র ব্লক সভাপতিদের খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আমরাও জেলাস্তর থেকে তদন্ত করে দেখব। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরই সদস্য করা হবে।” |
|
|
|
|
|