মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্যদের জঙ্গলমহল-সফর অব্যাহত। এই সে দিনই নয়াগ্রাম-ঝাড়গ্রাম ঘুরে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ফের যুবকল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসও সেই নয়াগ্রামের খড়িকামাথানি ও ঝাড়গ্রামে ‘সরকারি সভা’ করলেন। দু’টি অনুষ্ঠানেই গরিব মানুষদের মধ্যে চাল-চিঁড়ে-গুড় বিলি করা হল। নয়াগ্রামের একটি স্কুল-সহ নয়াগ্রাম ও ঝাড়গ্রামের কয়েকটি ক্লাবকে এ দিন ক্রীড়া-সরঞ্জামও দেন মন্ত্রী। খড়িকামাথানিতে একটি মেয়েদের স্কুল প্রাঙ্গণে গাছের চারাও রোপণ করেন তিনি। দুপুরে খড়িকামাথানির মার্কেট কমপ্লেক্সে মন্ত্রীর প্রথম সরকারি অনুষ্ঠানটি হয়। উপস্থিত ছিলেন নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু। বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের স্টেডিয়ামে আয়োজিত সভায় উজ্জ্বলবাবুর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। নাম না-করে মাওবাদী-জনগণের কমিটির সমালোচনা করে যুবকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, “আদিবাসীরা গাছকে দেবতা-জ্ঞানে পুজো করেন। জঙ্গলের আড়ালে থাকা কিছু সশস্ত্র লোক গাছ কাটছেন, মানুষকে খুন করছেন। যাঁরা গাছ কাটেন, খুন-সন্ত্রাস করেন, তাঁরা কখনও মানুষের বন্ধু হতে পারেন না।” |
অরণ্য সপ্তাহে জঙ্গলমহলে ৫ লক্ষ গাছ লাগানো হবে বলে জানান তিনি। উজ্জ্বলবাবু জানান, জঙ্গলমহলের কোনও মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকেন, সে জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর ধারাবাহিক-নির্দেশ কার্যকর করতে তিনি এসেছেন। আগের সরকারের জমানায় যুবকল্যাণ দফতর জঙ্গলমহলের জন্য কোনও কাজই করেনি বলে অভিযোগ করেন উজ্জ্বলবাবু। তাঁর দাবি, এ দিন থেকে জঙ্গলমহলে ‘যুব উৎসব’ শুরু হল। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা বলেন, “মানুষকে উন্নয়নমূলক পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা সজাগ রয়েছি।” খড়িকামাথানি ও ঝাড়গ্রামের দু’জায়গাতেই স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। ঝাড়গ্রামে ‘কথাকৃতি’র পরিবেশনায় গ্রাম ও শহরের দ্বন্দ্ব নিয়ে ‘জলস্তর’ নাটকের অংশ বিশেষ পথ-নাটিকা আঙ্গিকে প্রদর্শিত হয়। |