আবাসন ও ইউনিয়ন অফিস খালি করে দেওয়া সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশের প্রতিবাদে শুক্রবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সামনে বিক্ষোভ দেখাল বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি। সেই সঙ্গে তাদের হুঁশিয়ারি, নির্দেশ প্রত্যাহার করা না-হলে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত হবে। সমিতির সম্পাদক নিরুপম খাঁড়ার বক্তব্য, “আগে কর্মচারীদের থাকার বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। না-হলে কেউই আবাসন ছাড়বে না। কর্তৃপক্ষ জোর করে উচ্ছেদ করতে এলে আন্দোলন হবে।” |
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বরে ভিজিটর্স রুম রয়েছে। কিন্তু বন্দিদের আত্মীয়রা সেখানে অপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ, জেল চত্বরের ঘরগুলির দখল নিয়েছে কারারক্ষী সংগঠন। ভিজিটর্স রুম রয়েছে দুই বামপন্থী সংগঠনের দখলে। অন্য দিকে, সরকারপন্থী বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি পাম্পহাউসের ঘরে তাদের কার্যালয় খুলেছে। তিনটি সংগঠনকেই ঘরগুলির দখল ছেড়ে দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জেল চত্বরে কারারক্ষীদের যে আবাসন রয়েছে, তাও খালি করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার কথা ভেবেই কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত।
শুক্রবার সকাল থেকেই সংশোধনাগারের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে সরকারপন্থী কারারক্ষী সংগঠনটি। রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট। সেই জোটের সমর্থক হয়েও সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পথে নামা কেন? সমিতির দাবি, তারা সরকারের পাশেই রয়েছে। রাজ্য সরকারও চাইছে না উচ্ছেদ হোক। কিন্তু সংশোধনাগারের সুপারই উচ্ছেদ করতে চাইছেন। এ দিন বেশ কয়েক দফা দাবির প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। দাবি জানানো হয়, যে নোটিস জারি করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। সমস্ত কাজে স্বচ্ছতা আনতে হবে। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, নিরাপত্তার স্বার্থেই ঘর ও আবাসন খালি করতে বলা হয়েছে। |