|
|
|
|
সুশান্তের আগাম জামিন হবে কি না, রায় সোমবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আড়ালে থেকেই আগাম জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিগত জমানার দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে সোমবার রায় দেবে হাইকোর্ট। শুক্রবার দু’পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত ও বিচারপতি রঘুনাথ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তারা সোমবার রায় দেবে।
বাম আমলে ওই মন্ত্রীর নির্দেশেই ২০০২ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিয়ারাশালা ও লাগোয়া এলাকায় সাত জনকে খুন করা হয় বলে রাজ্য সরকার আদালতে অভিযোগ করেছে। বলা হয়েছে, খুন করে সাত জনকে পুঁতে দেওয়া হয়। সম্প্রতি দু’টি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের গোপন জবানবন্দিতেও সুশান্তবাবুর নাম আছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী।
শুক্রবার রাজ্য সরকারের পক্ষে শেষ পর্বের সওয়াল শুরু করেন আইনজীবী শেখর বসু। তিনি বলেন, কঙ্কাল মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সন্দেহভাজনদের তালিকায় রাখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ২০০২ সালে যখন ওই ঘটনা ঘটে, তখন কোন রাজনৈতিক শক্তি শেষ কথা বলত মানুষ তা জানেন। সে-দিন প্রতিবাদের কোনও ভাষা ছিল না। জবানবন্দিতে অনেকেই বলেছেন, সিপিএমের নির্দেশেই কিছু লোক সে-দিন অজয় আচার্যের বাড়ির কাছে জড়ো হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, গরুর গাড়িতে মৃতদেহ পাচার করার কথা অনেকেই তাদের জানিয়েছেন। সম্প্রতি ওই জেলার বেনাচাপড়া গ্রামে দু’টি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। তার একটি তাঁর বাবার বলে শনাক্ত করেছেন নিখোঁজ অজয়বাবুর ছেলে শ্যামল আচার্য। ধুতি ও অন্তর্বাস দেখে তিনি বাবার কঙ্কাল চিনতে পেরেছেন। তার পরে তিনি এফআইআর করেন। তাতে সুশান্তবাবুর নামেও অভিযোগ করা হয়। সরকারি আইনজীবী শেখরবাবু আগাম জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, এই মামলার বিচার হবে। সেখানে অভিযুক্তেরা বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাবেন। আগাম জামিন না-পেলেই তো আর কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়ে যান না।
বিচারপতি গুপ্ত জানতে চান, সে-দিন যারা অজয় আচার্যের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিল, তারা কারা? সুশান্তবাবুর আইনজীবী বলাই রায় বলেন, এখানে ঘটনা ও কাহিনিকে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল পাওয়া গেল। আর সেই কঙ্কাল দেখেই নাকি বোঝা গেল যে, সেটা অজয় আচার্যের কঙ্কাল! বিশেষজ্ঞের মতামত ছাড়া এটা কি বলা সম্ভব? বলাইবাবু বলেন, ২০০২ সালের ওই মামলায় নিম্ন আদালত রায়ও দিয়েছে। অথচ ন’বছরেও সেই রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়নি। হঠাৎ কঙ্কাল জেগে উঠল। তাই এ-সব ঘটনা হতে পারে, আবার গল্পও হতেও পারে। ২০০২ সালে এফআইআরে যা রয়েছে আর এখন যা বলা হচ্ছে, তাতে কোনও মিল নেই বলেও মন্তব্য করেন বলাইবাবু। |
|
|
|
|
|