|
|
|
|
জেতা হল না বেঙ্গসরকরের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অনিল কুম্বলে-জাভাগাল শ্রীনাথরা জিতেছিলেন, কিন্তু জেতা হল না দিলীপ বেঙ্গসরকরের। সেই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদের হাতেই থেকে গেল মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ ভোটের ফলাফল বেরোতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের সমর্থকেরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩২৯টি ভোটের মধ্যে দেশমুখ পেয়েছেন ১৮১টি ভোট, বেঙ্গসরকর ১৩৬টি। অর্থাৎ জয় ৪৫ ভোটে। ১২টি ভোট বাতিল হয়। দেশমুখ গোষ্ঠীর হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রত্নাকর শেট্টি। তবে নির্দল প্রার্থী বিজয় পাতিলও নির্বাচিত হয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। |
|
দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। বিলাস রাও দেশমুখের সঙ্গে দিলীপ বেঙ্গসরকর।
শুক্রবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের বাইরে। -পিটিআই |
মুম্বইয়ে ফোন করে জানা গেল, গণনা কেন্দ্রে দু’পক্ষের প্রতিনিধিরাই অধীর আগ্রহে চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষায় ছিলেন। প্রথম রাউন্ড শেষেই পিছিয়ে পড়েন বেঙ্গসরকর। তার পর থেকে ক্রমশ ব্যবধান বাড়তেই থাকে। গত বুধবারের ভয়বাহ বিস্ফোরণের জের কাটিয়ে শহর স্বাভাবিক হওয়ার মুখে শুক্রবার বাণিজ্যনগরীর ক্রিকেটমহলের নজর ছিল মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এই হেভিওয়েট নির্বাচনের দিকে। শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর সমর্থন পাচ্ছিলেন দেশমুখ। এমনকী প্রাক্তন ক্রিকেটার লালচাঁদ রাজপুতের নেতৃত্বাধীন তৃতীয় শক্তির সমর্থনও দেশমুখের দিকে। শেষ বিচারে সেটাই দেশমুখের পক্ষে যায়। অন্য দিকে বেঙ্গসরকর পাশে পেয়েছিলেন কারসন ঘাউড়ি, বলবিন্দর সিংহ সাঁধু, চন্দ্রকান্ত পন্ডিত, মিলিন্দ রেগের মতো প্রাক্তনদের। রাজনীতিবিদের সঙ্গে লড়ে ১৩৬ ভোট পাওয়াকে যথেষ্ট কৃতিত্বের বলেই মনে করছে মুম্বই ক্রিকেটমহল।
সেই ’৯২ থেকে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন রাজনীতিবিদদের দখলে। ’৯২ থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর জোশী, ২০০১ থেকে শরদ পওয়ারের দখলে ছিল এই অ্যাসোসিয়েশন। সম্পদের পরিমাণ হাজার কোটি টাকারও বেশি, নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ছিল টানটান। |
|
|
|
|
|