|
|
|
|
|
নীলের যুদ্ধে মেসি বনাম ফোরলান |
আমাদেরই জয় দেখছি
দিয়েগো মারাদোনা
|
|
আমাদের নক আউটের প্রথম ম্যাচটাই কিন্তু কোপার সত্যিকারের ‘ক্ল্যাসিক’ ম্যাচ। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্ট উরুগুয়ের সঙ্গে আমাদের খেলতে হবে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আমি কিন্তু বেশ আনন্দ পেয়েছি মেসিদের খেলা দেখে। এ রকম খেললে ওরা অনেক দূর যাবে। এখন থেকে প্রতিটা ম্যাচই খেলতে হবে ঠিক ও রকম ভাবেই।
বছর দুয়েক আগে আমি যখন কলকাতা গিয়েছিলাম তখনই দেখেছিলাম ফুটবল নিয়ে ভারতীয়দের উন্মাদনা। আমি নিশ্চিত আমার সঙ্গে আপনারাও এই এই ম্যাচটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন। প্রচুর সমালোচনা সামলে মেসি দারুণ ভাবে ফিরে এসেছে কোস্টা রিকা ম্যাচে। যে ভাবে ও খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করল আর বিপক্ষ ডিফেন্সকে বোকা বানাল তাতে পরিষ্কার ও নিজের টাচটা ফিরে পেয়েছে। আগুয়েরো, দি’মারিয়া আর হিগুয়াইন ওকে যথেষ্ট ভাল ভাবে সাহায্যও করেছে। মেসিকে পরের ম্যাচগুলোতেও এ রকমই খেলতে হবে। মেসির সঙ্গে কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এ রকম দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স ও আবার দেখাতেই পারে। পাশাপাশি আগুয়েরো আর হিগুয়াইনকেও আরও দায়িত্ব নিতে হবে। যদিও ওরা ভাল ফর্মে আছে তবু নক আউটে আরও এক ধাপ উন্নতি করতে হবে।
আমাদের মতো উরুগুয়েও কষ্ট করে শেষ আটে উঠেছে। গ্রুপে দ্বিতীয় হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোপায় ব্রাজিল ছাড়া উরুগুয়েই সবচেয়ে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে আমাদের। ওদের গত বিশ্বকাপে চতুর্থ হওয়া দলটা মোটামুটি একই আছে। সেই ফোরলান-ই দলের হৃৎপিণ্ড। যে এনার্জি নিয়ে ও খেলে সেটা টিমের বাকিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। স্ট্রাইকারদের লক্ষ্য করে ও এমন ডিফেন্স চেরা পাস বাড়ায়, যেগুলো ব্যপারে আমাদের ডিফেন্ডারদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
তবে দু’দলেই যে ধরনের ফরোয়ার্ডরা আছে তাতে আমার মনে হয় না কেউ রক্ষণাত্মক খেলতে চাইবে। বরং কিক-অফ থেকেই আক্রমণে ঝাঁপাবে। আমি অবশ্য আর্জেন্তিনার পক্ষেই বাজি ধরছি। ফুটবলে জেতার মূল চাবিকাঠি হল মাঝমাঠটাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা। বল পজেশন বেশি রাখা। কোনও সন্দেহ নেই উরুগুয়ে খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে আর্জেন্তিনার ফরোয়ার্ড লাইন এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা। আমার সব সময় মনে হয়, নিজেদের মাঠে এই দলটার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা আছে। |
কোপা কোয়ার্টার ফাইনালে |
কলম্বিয়া: পেরু
(শনিবার রাত ১২:৩০) |
আর্জেন্তিনা:উরুগুয়ে
(রবিবার ভোর ৩:৪৫) |
|
|
|
|
|
|