|
|
|
|
|
নীলের যুদ্ধে মেসি বনাম ফোরলান |
আর্জেন্তিনা আর বার্সেলোনা এক নয়, বলে দিলেন লিও
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
লা সেলেস্তে বনাম আলবিসেলেস্তে।
লাতিন আমেরিকা এখন জমজমাট এই লড়াই নিয়ে। সেলেস্তে, যার মানে আকাশি নীল। উরুগুয়ের ডাক নাম। আলবিসেলেস্তে, আকাশি নীল ও সাদা, আর্জেন্তিনার। রবিবার ভারতীয় সময় ভোররাতে সান্তা ফে-তে মুখোমুখি মেসি ও ফোরলানের দেশ।
লা আলবিসেলেস্তের প্রধান ভরসা লিওনেল মেসি সাংবাদিকদের সামনে আসতেই সেলেস্তের প্রধান ভরসা দিয়েগো ফোরলান নিয়ে প্রশ্ন উড়ে এল। মেসি বললেন, “ফোরলান অসাধারণ ফুটবলার। ওর সামনে কোনও জায়গা ছাড়া যায় না। দুটি পা-ই সচল। মুভমেন্টও করে খুব ভাল।” মেসির চিন্তা অন্য জায়গায়, “সুয়ারেজের সঙ্গে ফোরলানের বোঝাপড়া খুব ভাল। এর আগেও দেখা গিয়েছে।”
দিয়েগো মারাদোনার আমলেও আর্জেন্তিনা ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে ফ্রাঞ্চিকোলির উরুগুয়ের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ১৯৮৭-তে। উরুগুয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছিল। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই আর্জেন্তিনাকে ফেভারিট ধরলেও মেসির ফর্মের উপর তাই অনেকটাই নির্ভর করছে ম্যাচের ফল। মারাদোনা পারেননি। এ বার কি মেসিরা পারবেন ফোরলানদের হারাতে? |
|
মেসির প্রতিজ্ঞা ফোরলানকে জায়গা দেবেন না। |
আর্জেন্তিনাকে কোপার আগে বলা হচ্ছিল আর্জেলোনা। যদি মেসির ক্লাবের মতো মেসির দেশ খেলে, এই আশায়। সেটা না হওয়ায় হতাশ অনেকেই। মেসি নিজে নন। উরুগুয়ের ম্যাচের এক দিন আগে মেসির মন্তব্য, “আর্জেন্তিনার সঙ্গে বার্সেলোনার তুলনা করা একদম ভুল। বার্সেলোনার ফুটবলাররা একসঙ্গে অনেক দিন ধরে প্র্যাক্টিস করছে। আমাদের জাতীয় দলে সে সুযোগ পাওয়া যায় না।” পাশাপাশি এও বলেছেন, “আমরা জাতীয় দলে বার্সার স্টাইলে বল ধরে খেলার চেষ্টা করি। খেলার গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু তার জন্য দু’দলের তুলনার মানে হয় না।”
এ দিকে আর্জেন্তিনা ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট হুলিও গ্রোন্দোনা একটি রেডিও সাক্ষাৎকারে আর্জেন্তিনাবাসীর কাছে আবেদন রেখেছেন, অযথা মেসির সমালোচনা করবেন না। মেসিকে বার্সার ফর্মে খেলার দাবি জানানো, গ্রোন্দোনার মতে অন্যায়। গ্রোন্দোনার কথায়, “এ রকম চলতে থাকলে হয়তো কোনও দিন মেসি বলে দিতে পারে, আর দেশের হয়ে নয়, এ বার বার্সেলোনার হয়েই শুধু খেলব”। আরও বলেছেন, “এখানকার লোকজন দেখে যে মেসি রোসারিওতে জন্ম থেকে ১২ বছর পর্যন্ত ছিল। তার পর ও চলে যায় বার্সেলোনা। এটাও দেখা উচিত, মেসি স্পেনকে ‘না’ বলে দিয়ে আর্জেন্তিনার হয়েই খেলছে।”
এত বিতর্কের মধ্যে ফের নতুন বিতর্ক তৈরি করেছেন আর্জেন্তিনা কোচ সের্জিও বাতিস্তা। বিশ্বের কোনও কোচ যা করার ভরসা পান না, তাই করে দেখিয়েছেন। তিনি কতটা আধুনিকমনস্ক, তা আর্জেন্তিনা ফুটবল মহল টের পেয়েছে আগেই। এ বার আগের সব কিছু ছাপিয়ে বাতিস্তা উরুগুয়ের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম দল ঘোষণা করে দিয়েছেন টুইটারে। আগের ম্যাচের জয়ী দল বদলাবেন না বলে শেষ ম্যাচের দলই রেখে দিয়েছেন। তাঁর টুইট দেখে আবার চটেছেন তেভেজ-ভক্তরা। কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে তেভেজকে খেলাননি বাতিস্তা। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে জিতে গেলে সেমিফাইনালেও তেভেজের প্রথম এগারোয় ফেরার সম্ভাবনা সে রকম নেই। মেসির চেয়েও দেশে জনপ্রিয় তেভেজ বেঞ্চে। মাথা গরম তেভেজ মাঝেমাঝেই কী করে ফেলেন, তার ঠিক নেই। বাদ পড়ার পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। আপাতত উরুগুয়ের বিরুদ্ধে তেভেজই বোধহয় বাতিস্তার প্রধান চিন্তা।
|
আর্জেন্তিনার আর কাদের দিকে নজর |
|
সের্জেই আগুয়েরো
ফোরলানের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে সঙ্গী স্ট্রাইকার। মারাদোনার জামাইয়ের জন্য কার্লোস তেভেজও প্রথম দলের বাইরে। |
|
|
|
আঞ্জেল দি’মারিয়া
তিনি মাঝমাঠে আসায় অনেক স্বচ্ছন্দে খেলতে পারছেন মেসি। রিয়াল মাদ্রিদের ভাল ফর্ম কোপাতে দেখালে বাতিস্তার চিন্তা নেই। |
|
|
|
জেভিয়ার জানেত্তি
আর্জেন্তিনায় তিনি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ইন্টার মিলানে ১৯৯৫ সাল থেকে ৫৩৯ ম্যাচ খেলেছেন। তিনি যেন ইন্টারের পাওলো মালদিনি। তিনি থাকায় আর্জেন্তিনা রক্ষণ অনেক জমাট। |
|
|
|
উরুগুয়ের আর কাদের দিকে নজর |
|
লুই সুয়ারেজ
নেদারল্যান্ডসে সাড়া ফেলেছেন ক্রুয়েফ, বাস্তেন, বার্গক্যাম্পদের মতো আয়াখসের হয়ে ১০০ গোল করে। ডাচ ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার এ বার লিভারপুলের অন্যতম নাম। ফোরলানের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া দারুণ। |
|
|
এডিনসন কাভানি
মারাদোনার ক্লাব নাপোলির ইতিহাসে এক মরসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। নাপোলির হয়ে এ বার সাড়া ফেলে দিয়েছেন ইতালি ফুটবলে। |
|
|
|
আলভারো পেরিরা
পোর্তোর উইংব্যাক। তবু কোপায় দলের তিনটে গোলের মধ্যে দুটো গোলই তাঁর। বিশ্বের অন্যতম আক্রমণাত্মক সাইডব্যাক। |
|
|
|
|
|
|
|