|
|
|
|
|
|
রাস্তা সারাই |
অভিনব উদ্যোগ |
শান্তনু ঘোষ |
রাস্তা সারাইয়ের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। কিন্তু দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি। ফলে প্রতি দিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটত। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে এলেন পুলিশকর্মীরা। রাস্তায় রাবিশ ফেলে প্রাথমিক সংস্কারের ব্যবস্থা করলেন। এ ছবি জিটি রোডের লিলুয়া ডনবস্কো মোড়ের।
জিটি রোডের এই অংশ দিয়ে অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে। কয়েক হাজার পড়ুয়া প্রতি দিন এই রাস্তা ব্যবহার করে। কিন্তু হুঁশ ছিল না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। শেষে পর্যন্ত রাবিশ ফেলে গর্ত মেরামত করালেন বালি ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা। এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর পরেও পূর্ত দফতরের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও জেলার পূর্ত কর্তারা জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হবে।
বালির দিক থেকে জিটি রোড ধরে সালকিয়ার দিকে সোজা এগোলেই লিলুয়া বড় গেটের পরেই চার রাস্তার ক্রসিং ডনবস্কো মোড়। এর কাছেই রয়েছে ছ’টি স্কুল ও একটি কলেজ। এ ছাড়াও রয়েছে ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন অফিস। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতি দিন গড়ে কয়েক হাজার গাড়ি ও কুড়ি থেকে বাইশ হাজার ছাত্র-ছাত্রী ওই মোড় ব্যবহার করে। |
|
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চার রাস্তার ওই মোড়ের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরেই রাস্তার খারাপ অবস্থা। পিচ উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির জল জমে তা আরও ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল। গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে সমস্যা হচ্ছিল। হচ্ছিল যানজটও। সম্প্রতি বালি ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে এ রকম কয়েকটি গর্তে রাবিশ ফেলা হয়। পূর্ত দফতরের কাজ পুলিশ করছে কেন? এক অফিসারের কথায়: “গর্ত না বোজালে যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত।” ট্রাফিক পুলিশের এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষও। যেমন, সালকিয়ার বাসিন্দা সর্বজিৎ ঘটক বললেন, “পুলিশ রাস্তার প্রাথমিক সংস্কার করিয়ে আমাদের উপকার করলেন।”
হাওড়ার পুলিশ সুপার রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আমরা রাবিশ জোগাড় করে কাজটি করিয়েছি।” পূর্ত দফতরের হাওড়া ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার দেবাশীষ দেবনাথ বলেন, “পুলিশ কাজ করিয়েছে শুনেছি। আমরাও খুব তাড়াতাড়ি ওই রাস্তা ও জিটি রোডের অন্যান্য জায়গায় মেরামতির কাজ শুরু করব।” |
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|