|
|
|
|
কেন্দ্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নামল ত্রিপুরা সিপিএমও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিপিএমের ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হল আগরতলাও। গত ১২ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কর্মসূচি সারা রাজ্যে শুরু হলেও রাজধানী আগরতলায় তা শুরু করা যায়নি। গত কয়েক দিনের অশান্তি ও বন্ধের ফলে এই দেরি বলে জানিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর।
আজ শুক্রবার শহরের শকুন্তলা রোড ও সূর্য চৌমুহনির সংযোগস্থলে এক বিক্ষোভ জনসভায় সিপিএমের রাজ্য কমিটি সদস্য ছায়া বল-সহ উপস্থিত ছিলেন সমর আঢ্য, বিধায়ক শঙ্কর প্রসাদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন: টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি, কমনওয়েলথ গেমস, আদর্শ আবাসন, কে জি বেসিন কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বহু মন্ত্রী কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। দিল্লির তিহার জেলে কেউ কেউ আবার হাজত বাস করছেন। এক দিকে, ব্যাপক দুর্নীতি রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা, অন্য দিকে এ দেশের দুর্নীতিবাজরা বিদেশের ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা পাচার করে চলেছেন। এরই পাশাপাশি, দেশ জুড়ে চলছে লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। বক্তাদের কথায়, “ইউপিএ-২ সরকারের সামগ্রিক অক্ষমতা চোখে পড়ার মতন।” |
|
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদে ও রাজ্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে
ত্রিপুরা সিপিএমের প্রতিবাদ মিছিল। শুক্রবার আগরতলায় উমাশঙ্কর রায়চৌধুরীর তোলা ছবি। |
দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হলে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ করা জরুরি বলে দাবি করেন বিজনবাবুও।
তিনি বলেন, “একটি কার্যকর ও শক্তিশালী লোকপাল বিল সংসদে আনা প্রয়োজন। এবং এই লোকপালের অধীনে প্রধানমন্ত্রীকেও নিয়ে আসতে হবে।” বিচার বিভাগের দুর্নীতি ও নির্বাচনী পদ্ধতিতে দুর্নীতি রুখতে যেহেতু লোকপাল বিল অপারগ, তাই নতুন জাতীয় বিচার কমিশন তৈরির দাবিও বিজনবাবু তোলেন।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশোধন করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করাও জরুরি। বিশ্বের বহু দেশে এ ব্যবস্থা ভাল ভাবে কার্যকর হয়েছে।”
সিপিএমের রাজ্য কমিটির লক্ষ্য, ইউপিএ-২ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্য সিপিএম ত্রিপুরায় ১০০০টি পথসভা করবে। কেন্দ্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যের মানুষকে সচেতন করতে সিপিএমের তরফে ২১ জুলাই সারা রাজ্যে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন অফিসের সামনে ৪ ঘণ্টার ধর্না কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|