|
|
|
|
শান্তি আলোচনা নিয়ে দ্বন্দ্ব তীব্র আলফায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
শান্তি আলোচনা ও সংঘর্ষবিরতি চালিয়ে যাওয়ার পথে অনড় আলফার সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়া। আবার, স্বাধীন অসমের দাবি ছাড়া শান্তি আলোচনা অর্থহীন বলে মনে করেন পরেশ বরুয়া। কার্যত, আলোচনা ও সংঘর্ষবিরতি নিয়ে সরাসরি বিভাজন দেখা দিয়েছে আলফা শিবিরে।
রাজখোয়া ও তাঁদের প্রচার সচিব মিথিঙ্গা দইমারি গত কালই বিবৃতি পাঠিয়ে বলেন, “অসমের সাধারণ মানুষের মত ও পথেই চলবে আলোচনা প্রক্রিয়া।” আজ আলফার পরেশপন্থীরা বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, “শত্রুপক্ষের হাতে বন্দী রাজখোয়ার মত মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ১৩ জুলাই আলফা সেনাধ্যক্ষ আপসহীন সশস্ত্র সংগ্রাম অব্যহত রাখবেন বলে যে ঘোষণা করেছেন সেটাই আলফার ঘোষিত নীতি।” মিথিঙ্গা দইমারি জানান, আলফার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সামরিক ও অসামরিক সদস্য এবং অসমের ৯৯ শতাংশ জনতা শান্তি চান। তাই আলফা শান্তি আলোচনার পথ নিয়েছে। মিথিঙ্গা জানান, দলীয় মত প্রকাশ করার সাংবিধানিক অধিকার কেবল সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়ার রয়েছে। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়। দলের সকলের মিলিত সিদ্ধান্ত।
কিন্তু পরেশ বরুয়া বলছেন, “রাজখোয়ারা শত্রুশিবিরে থেকে, আদর্শ বিসর্জন দিয়ে, সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটছেন। তা বৈধ নয়। আমরা সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাব।” রাজখোয়া পরেশকে শান্তি আলোচনায় আহ্বান করেছিলেন। এখন পরেশপন্থীরাই রাজখোয়াকে দলে ফিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাঁদের কথায়, “শত্রুশিবির ছেড়ে সংগ্রামের পথে এসে সভাপতি সিদ্ধান্ত নিন। আমরা জীবন দিয়ে তা মেনে নেব।”
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, “আলফার সঙ্গে আলোচনা সফল করতে আমরা সবরকম চেষ্টা করব। পরেশ বরুয়াকেও আলোচনায় ডাকা হয়েছিল। তবে, তাদের জন্য আর অপেক্ষা করা হবে না। পরেশরা যখনই আসবেন, আমাদের দরজা খোলা থাকবে।”
এ দিকে, আজ সোনারি-নামরূপের রাস্তায় শালকাঠনি সেতুর নীচে একটি আইইডি উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। বোমা বিশেষজ্ঞরা সেটিকে নিষ্ক্রিয় করেন। ঘটনার পিছনে পরেশপন্থীদের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ। |
|
|
|
|
|