|
|
|
|
তৃণমূলে এলেন অগপ সাংসদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সংসদে শক্তি বাড়ল তৃণমূলের। জাতীয় রাজনীতিতে বাড়ল গুরুত্ব। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য অসম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরও শিকড় ছড়াল তৃণমূল।
লোকসভায় অসম গণপরিষদের একমাত্র সাংসদ জোসেফ টপ্পো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন। টপ্পোর আবেদন গ্রহণ করেছেন মমতা। দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় টপ্পোকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েও দিয়েছেন। এত দিন লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন ১৯ জন। তার সঙ্গে এসইউসি-র নেতা তরুণ মণ্ডলকে নিয়ে লোকসভায় তৃণমূলের শক্তি ছিল ২০। জোসেফ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এখন তা বেড়ে হল ২১। জোসেফ যেহেতু লোকসভায় অগপ-র একমাত্র সাংসদ, তাই তাঁর এই সিদ্ধান্ত দলত্যাগ-বিরোধী আইনে আটকাবে না। |
জোসেফ টপ্পো।
নিজস্ব চিত্র |
তৃণমূলের বক্তব্য, এর ফলে লোকসভায় আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে দলের অবস্থান। কারণ তৃণমূলের নিজস্ব সাংসদের হিসেবেই দল লোকসভায় ষষ্ঠ বৃহত্তম দল ছিল। এখন এক জন সাংসদ বেড়ে যাওয়ায় নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ)-এর সঙ্গে পঞ্চম স্থানে উঠে এল তৃণমূল। এর পাশাপাশি বিধানসভায় বিপুল আসনে জেতার সুবাদে রাজ্যসভাতেও সদস্য বাড়তে চলেছে তৃণমূলের। এত দিন ছিলেন মাত্র দু’জন। এ বার সেই জায়গায় পাঁচ জন আসতে চলেছেন। ভবিষ্যতে আরও আসন বাড়বে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় সদস্যসংখ্যার হিসেবে বিভিন্ন |
|
সংসদীয় কমিটিতে আরও বেশি গুরুত্ব পাবে দল। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে তৃণমূলের একাধিক সাংসদও সদস্য হতে পারবেন। জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কী অবস্থান নিচ্ছে, তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এ বার। আঞ্চলিক দল বা একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ হলেও জয়ললিতা, নবীন পট্টনায়ক, লালুপ্রসাদ বা মুলায়মের দল এত দিন যে রকম গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেই একই রকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চলে আসছে তৃণমূল।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। অসমের বিধানসভা নির্বাচনে তারা একটি আসনে জিতেছে। মণিপুরেও দল এক জন বিধায়ক পেয়েছে। এর আগে অরুণাচলের ভোটেও পাঁচ জন জিতেছেন তৃণমূলের। এ বার অসম থেকে এক জন সাংসদ বাড়ায় বিষয়টি আরও তাৎপর্য পেল। জোসেফ টপ্পো উজানি অসমের চা-জনজাতির নেতা। তেজপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের সাংসদ তিনি। এর আগে অসমে দীর্ঘদিন বিধায়ক ছিলেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছেন। কাজেই তাঁকে দলে পাওয়া তৃণমূলের পক্ষে যথেষ্ট লাভজনক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লাভজনক হলেও জোসেফ টপ্পোর তৃণমূলে যোগ দেওয়া অগপ-র কাছে যথেষ্ট বড় ধাক্কা। দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না। কারণ, টপ্পো দলকে এখনও কিছু জানাননি। দলের সঙ্গে তাঁর কোনও বিরোধ তৈরি হয়েছে বলেও মানতে রাজি নন অপূর্ব। জোসেফও এ বিষয়ে এখনই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি। সরকারি ভাবে গোটা ঘটনাটাই তিনি অস্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|