|
|
|
|
সিবিআই প্রধানের কাছে বিজেপি |
টু জি-সন্ত্রাস দুই অস্ত্রে চিদম্বরমকে আক্রমণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সন্ত্রাস মোকাবিলার প্রশ্নে সনিয়া-মনমোহনের নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করল বিজেপি।
বুধবারের মুম্বই-হামলার জেরে চিদম্বরম কাল আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, “দেশের কোনও শহরই সুরক্ষিত নয়।” বিজেপি আজ প্রশ্ন তুলেছে, “এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে কোনও শহরই যদি সুরক্ষিত না থাকে, তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে তাঁর গদি সুরক্ষিত থাকে কী করে?” পাশাপাশি এ দিনই বিজেপি-র এক প্রতিনিধিদল দেখা করে সিবিআই প্রধান এ পি সিংহের সঙ্গে। সেখানে টু-জি দুর্নীতিতে চিদম্বরমের ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি জানান তাঁরা।
খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আসছেন কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, আর সিবিআই-প্রধান তার জন্য সময় দিচ্ছেন এমন নজির বিরল। এ ব্যাপারে কংগ্রেসের মুখপাত্র সাকিল আহমেদ বলেছেন, “বিজেপি এত দিন সিবিআইয়ের উপর ভরসা রাখত না। বলত সিবিআইকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়। মন্দের ভাল, আজ সিবিআইয়ের উপর তাদের আস্থা ফিরেছে।”
মুম্বই হামলার পর থেকেই বিজেপি সমালোচনার অভিমুখ কেন্দ্রীভূত রেখেছে মূলত সনিয়া গাঁধী ও মনমোহন সিংহের দিকেই। কিন্তু তার সঙ্গে চিদম্বরমের বিরুদ্ধেও এ-হেন আক্রমণ ও তৎপরতার কারণ স্পষ্ট। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এ পর্যন্ত শরিক দলের মন্ত্রীদের সরতে বা বাদ পড়তে হলেও বিজেপি এখন কংগ্রেসের কোনও মন্ত্রীর অপসারণ চায়। এতেই সরকারকে দুর্বল করে ফেলা যাবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নয়তো জোট রাজনীতির দোহাই দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শরিকদের ঘাড়েই যাবতীয় দায় চাপিয়ে দিতে থাকবেন। এ রাজা, কানিমোঝি জেলে যাওয়ায় রক্তের স্বাদ পাওয়া বিজেপি তাই চিদম্বরম ও কপিল সিব্বলেরও অপসারণের দাবি করছে টু-জি নিয়ে। যে কারণে আজ সিবিআই-প্রধানের কাছেও গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা।
বুধবারের নাশকতা কেন্দ্রকে কোণঠাসা করার আরও একটি সুযোগ এনে দিয়েছে বিজেপি-র হাতে। এবং তাকে কাজে লাগাতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চিদম্বরমের বিভাজন উস্কে দিতেও তৎপর বিজেপি। তাদের বক্তব্য, নিজেদের মন্তব্যের মধ্য দিয়েই মনমোহন ও চিদম্বরম তাঁদের মতের ফারাকটা প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন। মুম্বইয়ে ফের জঙ্গি হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী যেখানে এ ধরনের ঘটনা রোখার দাবি করছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে আরও হামলার আশঙ্কা করছেন।
বিজেপি-র আরও অভিযোগ, সনিয়ার জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রোধ বিল এনে বিজেপি-শাসিত রাজ্যকে বিপাকে ফেলতে চায়। অথচ সন্ত্রাস-রোধে কোনও কঠোর বিল আনে না। রাহুল গাঁধী ও তাঁর ‘গুরু’ দিগ্বিজয় সিংহ হিন্দু সন্ত্রাস নিয়ে শোরগোল তুললেও সন্ত্রাস রুখতে ব্যবস্থা নেন না। দিগ্বিজয় বাটলা-কাণ্ডের পর ‘সন্ত্রাসবাদীদের বাড়িতে’ গিয়ে সন্ত্রাসকেই প্রশ্রয় দেন। আর মনমোহন ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য আফজল গুরুর ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার সাহস দেখাতে পারেন না। সন্ত্রাস মোকাবিলায়ও কড়া হতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী। বরং সন্ত্রাস বন্ধ না করা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। |
|
|
|
|
|