|
|
|
|
সমস্যায় সিটিসি |
চালকের অভাব, ডিপোয় বসে বহু নতুন বাস |
আর্যভট্ট খান |
ডিপোয় পড়ে রয়েছে সারি সারি নতুন বাস। কিন্তু পথে নামতে পারছে না চালকের অভাবে। কন্ডাক্টরের সংখ্যাও বেশ কম। শহরের বিভিন্ন রুটে বাস চালাতে গিয়ে এমনই সমস্যায় পড়েছে সিটিসি। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের এখন বাসের কোনও অভাব নেই। বেশ কিছু নতুন বাস কেনা হয়েছে। কিন্তু মূলত চালকের অভাবে রুটে চলতে পারছে না প্রায় ১০০ বাস।” প্রদীপবাবু জানান, সমস্যার কথা তাঁরা নতুন সরকারের পরিবহণমন্ত্রী সুব্রত বক্সীকে জানিয়েছেন। তিনি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। |
 |
সিটিসি-র গুমটিতে পড়ে আছে নতুন বাস। নিজস্ব চিত্র |
সিটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে চালক থাকা সত্ত্বেও বাসের বেহাল অবস্থার জন্য সেগুলি পথে নামতে পারত না। রুটের মাঝখানে বাস খারাপ হয়ে গিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তির ঘটনা তো প্রায়ই ঘটত। বাসের বেহাল অবস্থা-সহ বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা থেকে কয়েকটি দূরপাল্লার বাসও। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন প্রায় সব বাসই নতুন। পুরনো বাস যা রয়েছে, সেগুলিও ২০০৪ সালে কেনা। ২০০৬ সালে কিছু নতুন বাস কেনা হয়েছে। নতুন বাস এসেছে জেএনএনইউআরএম প্রকল্পেও। কিন্তু নতুন বাসের অনেকগুলি চালকের অভাবে পড়ে রয়েছে ডিপোতেই। সিটিসি-র দাবি, তারা সমীক্ষা করে দেখেছে, বিভিন্ন রুটে সিটিসি-র বাসের ভাল চাহিদা রয়েছে। শহরে এই মুহূর্তে সিটিসি-র বাসের সংখ্যা ৩৪৫। এর মধ্যে বিভিন্ন রুটে প্রায় আড়াইশোর মতো বাস বেরোয় বলে সংস্থা সূত্রে খবর। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, বাসচালকের প্রায় ৭০টি পদ ফাঁকা। সেই অভাব দূর হলে আরও নতুন নতুন রুটে বাস চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সংস্থার কর্তারা আরও জানান, আগে এই সমস্যা এত প্রকট ছিল না। তখন যাঁরা বাস চালাতেন, তাঁদের একটা বড় অংশই ছিলেন অস্থায়ী কর্মী। ২০০৯ সালে ওই অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করা হয়। সমস্যার শুরু তার পর থেকেই। ওই চালকদের একাংশ যখন-তখন ছুটি নিতে শুরু করেন। ফলে চালকের অভাবও বাড়তে থাকে। সিটিসি-র আধিকারিকেরা এই সমস্যার কথা ইউনিয়নগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। এ ছাড়া, চালকদের অবসর নেওয়ার পরে নতুন করে চালক নিয়োগ না হওয়ার সমস্যা তো আছেই।
প্রদীপবাবু বলেন, “নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি পরিবহণমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে অর্থ দফতরে কথা বলবেন। আমরাও মন্ত্রীকে বলেছি, সরকার চাইলে ১০০ ভাগ সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।” |
|
|
 |
|
|