|
|
|
|
খালি আসনের দায় রাজ্যের, উড়ান শুরু হচ্ছে কোচবিহারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতা-কোচবিহার রুটে খুব শীঘ্রই উড়ান চালানো হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মহাকরণে তিনি বলেন, “এই উড়ানের জন্য এখন রাজ্য সরকার খালি আসন পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেবে।”
আগামী সোমবার, ১৮ জুলাই রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে চুক্তি হতে চলেছে ‘নর্থ-ইস্ট শাট্ল’ নামে বিমান সংস্থার। সে দিনই উত্তরবঙ্গে বসে মমতা কোচবিহার উড়ানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন। উত্তর-পূর্ব ভারতে নিয়মিত উড়ান চালায় ‘নর্থ-ইস্ট শাট্ল’। ১৮ আসনের একটি ডরনিয়ার বিমান তারা কলকাতায় নিয়ে আসছে। সংস্থার এমডি ক্যাপ্টেন শোভা মানি জানিয়েছেন, সপ্তাহে ছ’দিন এই উড়ান চালানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রতিটি উড়ানের ক্ষেত্রে ভর্তুকি হিসেবে বিমানের আটটি আসনের জন্য সর্বোচ্চ মোট চল্লিশ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। ফলে কোচবিহার যাতায়াতের জন্য প্রতি দিন রাজ্য সরকার দেবে সর্বাধিক আশি হাজার টাকা। চুক্তি অনুসারে, উড়ানে এক জনও যাত্রী না হলে তবেই চল্লিশ হাজার টাকা পাবে সংস্থাটি। উড়ানে তিন জন যাত্রী হলে বাকি পাঁচটি আসনের টাকা ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হবে। আট জন যাত্রী পেলে কোনও ভর্তুকি দেওয়া হবে না। এর আগে ‘ডেকান চার্টার্স’ সংস্থা যখন এই রুটে বিমান চালাবে বলেছিল, বাম সরকারের সঙ্গে তাদেরও এমন একটি চুক্তি হয়েছিল। সে বার সময় মতো কোচবিহার বিমানবন্দরের লাইসেন্স না আসায় ওই উড়ান চালু করা যায়নি। পরে বিমান ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় সংস্থাটি। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধরে নেওয়া হচ্ছে, উড়ান চালানোর জন্য প্রথম দিকে সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি কয়েক মাস পরে ভাল যাত্রী পেলে আর ভর্তুকি দিতে হবে না।” ক্যাপ্টেন মানির কথায়, “নাগাল্যান্ড এবং মিজোরাম সরকারের সঙ্গেও আমরা চুক্তি করে ওই রাজ্যে উড়ান চালিয়েছি।” ডিমাপুর-গুয়াহাটি রুটের উড়ানের জন্য নাগাল্যান্ড সরকারের কাছ থেকে এখনও ভর্তুকি পাচ্ছেন তাঁরা। তবে আইজল থেকে ইম্ফল, শিলচর ও আগরতলা রুটে উড়ানের জন্য মিজোরাম সরকারের ভর্তুকি আর লাগছে না। নিয়মিত যাত্রী পাচ্ছেন তাঁরা। ঠিক হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রথম ছ’মাস ভর্তুকি দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার ও বিমান সংস্থা দু’তরফেরই আশা, ছ’মাস পরে ওই ভর্তুকি আর লাগবে না। নিয়মিত যাত্রী পাওয়া যাবে।
দিল্লি থেকে ফোনে ক্যাপ্টেন মানি বলেন, “আমাদের হাতে তিনটি ডরনিয়ার বিমান রয়েছে। তার মধ্যে দু’টি উত্তর-পূর্বে চলবে। একটি কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। সেটি কলকাতা-কোচবিহার রুট ছাড়াও জামশেদপুর রুটে চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গেও একটি চুক্তি করা হতে পারে।” কোচবিহার বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের রিজিওনাল একজিকিউটিভ ডিরেক্টর গৌতম মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “চুক্তির পরে উড়ান চালু করতে আরও ১৫ দিন লাগবে। এখনও কোচবিহার বিমানবন্দরে কাউন্টার খোলেনি নর্থ-ইস্ট শাট্ল। তা ছাড়া টিকিট বিক্রি করার জন্য ন্যূনতম সময় তাঁদের দেওয়া উচিত।” কোচবিহার থেকে নিয়মিত উড়ান চালানোর জন্য বাকি সবই তৈরি বলে গৌতমবাবু জানান। |
|
|
|
|
|