বাঁধ কেটে রাস্তা বানিয়ে নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছে বলে সম্প্রতি জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, “ময়ূরাক্ষী নদীর উপরে দৈকোটা মৌজায় কোটি টাকা ব্যায়ে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি হয়েছিল। সেই বাঁধ কেটে কিছু ব্যবসায়ী নদী থেকে বালি নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “বিষয়টি সেচ দফতরকে দেখতে বলেছি। এরকম হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অনুব্রতবাবুর দাবি, “যেখানে বাঁধ কাটা হয়েছে তার কাছাকাছি দেড়িয়াপুর ও হরিসড়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম পড়ে। ১৯৭৮ ও ২০০১ সালে ওই সব এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। তবু বাঁধ কাটা হলেও প্রশাসন নীরব।” মহম্মদবাজারের সেচ দফতরের সাব ডিভিশনাল অফিসার সুকান্ত দাস বলেন, “প্রথমত ওখানে কোনও কংক্রিটের বাঁধ নেই। বোল্ডারপিচিং বাঁধ রয়েছে। নদীর দিকে আরও উঁচু মাটির বাঁধ আছে। ব্যবসায়ীরা বোল্ডার দেওয়া বাঁধ কাটেননি। ওই বাঁধের সমান করে মাটি ফেলে তাঁরা রাস্তা তৈরি করেছেন। বালি তোলার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তবে মাটির বাঁধও এখনও কাটা থাকার কথা নয়। মাস খানেক আগেই তা ভরাট করে দেওয়ার কথা ছিল।” তিনি জানান, ওই এলাকায় সেচ দফতরের কাজ চলছে। তাই ভরাট করা যায়নি। কাজ শেষ হলেই বোল্ডার দেওয়া বাঁধের সামনে মাটির উঁচু বাঁধ ভরাট করে দেওয়া হবে।
|
পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে। গত ৭ এপ্রিল শান্তিনিকেতনের অ্যান্ড্রুজপল্লি এলাকায় বিশ্বভারতী একটি রাস্তার উপরে পাঁচিল দিতে পারে এমন আশঙ্কা করে বোলপুর আদালতে সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশন ফার্স্ট কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় কোনও কিছু করা যাবে না বলে বিচারক সঙ্ঘমিত্রা পোদ্দার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দফায় দফায় মামলাটি ৩০ জুন পর্যন্ত গড়ায়। স্থিতাবস্থা বজায় থাকাকালীন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ২৪ জুন ওই রাস্তায় পাঁচিল দিয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে আদালতে মামলা করেন বাসিন্দারা। অভিযোগকারীদের আইনজীবী দিলীপ নায়েক বলেন, “আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে বিশ্বভারতী। এই মর্মে আমরা আদালতে মামলা করেছি। আবেদন মোতাবেক বিচারক পীযূষ ঘোষ অভিযোগের তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দিতে বলেছেন।” বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিশ্বভারতীর পক্ষের আইনজীবী সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনও কোনও কাগজপত্র হাতে পাইনি।”
|
ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানে আগুন লেগে যাওয়ায় মৃত্যু হল চালকের। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃত পিকআপভ্যান চালকের নাম অনিত মাল (২৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সব্জি বোঝাই পিকআপভ্যানটি সিউড়ি থেকে মুরারই যাচ্ছিল। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ফাঁকা ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন পিকআপ ভ্যানে আগুন লেগে যায়। কিন্তু গাড়ি থেকে নামতে না পারায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। দমকল এসে আগুন নেভায়। এই ঘটনার পরেই একটি ট্রেলার রাস্তার ধারে একটি গ্যারাজে ধাক্কা মারে। এর ফলে ওই রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।
|
সমবায় সমিতি পরিচালিত বোলপুরের একটি দোকানে বৃহস্পতিবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। |