মন্দিরের চাতালে প্রসব মনোরোগীর |
নার্সিংহোমে দিয়ে এলেন দুই যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
গত কয়েক দিন ধরে দুর্গাপুর পশ্চিম রেলগেটের পাশের একটি হনুমান মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা। কখনও একনাগাড়ে কথা বলেন কখনও বা একেবারে চুপচাপ। শুক্রবার সকালে সেই হনুমান মন্দিরের চাতালেই ভুমিষ্ঠ হল তাঁর কন্যা সন্তান। খবর রটতেই সোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। শেষ পর্যন্ত দুই যুবক সন্তান-সহ ওই মহিলাকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। ওই যুবক অবশ্য এলাকার বাসিন্দা নন। |
|
মা ও শিশু। দুর্গাপুর হাসপাতালে শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন বিশ্বনাথ মশান। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ খবর ছড়িয়ে পড়তেই সদ্যোজাত ও তার মাকে দেখতে মন্দিরে ভিড় জমে যায়। তবে ওই মহিলা ও তাঁর সন্তানকে কোথায় রাখা হবে তা ভেবে চিন্তায় পড়ে যান এলাকার বাসিন্দারা। তখনই মুশকিল আসান করেন রাতুরিয়ার অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষক প্রদীপ দে ও ডিপিএলের কর্মী অমল বেরা। তাঁরা দু’জনে মিলে একটি ভ্যান রিকশা জোগাড় করে মা ও সদ্যোজাতকে নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। খবর পেয়ে কোকওভেন থানা থেকে পুলিশ নার্সিংহোমে যায়। এর পরে মা ও সন্তানকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেই আপাতত সুস্থ। প্রদীপবাবু ও অমলবাবু বললেন, “আমাদের চেষ্টা সফল হল।” |
|