ইসিএল আবাসনে জবরদখল
আলো-জল বন্ধের নির্দেশ কোর্টের
বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ ছিন্ন করে জবরদখল হয়ে থাকা ইসিএলের আবাসন দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৮ জুলাই হাইকোর্টের চিফ জাস্টিস জয়নারায়ণ পটেল এবং বিচারক অসীমকুমার রায়ের এজলাশ এই নির্দেশ দেয়। ইসিএলকে ১২ অগস্টের মধ্যে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী পার্থ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ইসিএলের অধিকাংশ কর্মী আবাসনই বেদখল হয়ে রয়েছে। ওই আবাসনগুলিতে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে কয়েক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এই ‘অপচয়’ বন্ধের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান তিনি।
২০১০ সালের ৫ মার্চ হাইকোর্ট এক মাসের মধ্যে ইসিএলকে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় হাইকোর্ট ইসিএলকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। ইসিএল হলফনামায় জানায়, রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট মাফিয়ারা কর্মী আবাসন দখল করে রেখেছে। রাজ্য প্রশাসন সহায়তা না করায় ওই সব আবাসন দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলাই রায় অবশ্য হাইকোর্টকে জানান, ইসিএলের এমন অভিযোগ অন্যায্য। সংস্থার তরফে রাজ্য সরকারের কাছে দখল উচ্ছেদের জন্য সহায়তাই চাওয়া হয়নি। তাছাড়া ইসিএলের সম্পত্তি রক্ষার জন্য তাদের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী এবং সিআইএসএফ রয়েছে। বলাইবাবু আদালতকে জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সাহায্যের আবেদন জানানো হলে রাজ্য প্রশাসন তা করতে প্রস্তুত। এর পরে ইসিএল এরিয়া ধরে বেদখল আবাসনের তালিকা তৈরি করে তা দখলমুক্ত করা হবে বলে হাইকোর্টকে জানায়।
আইনজীবী পার্থবাবু জানান, এ কথা জানিয়ে আদালতের থেকে সময় চেয়ে নিলেও কার্যক্ষেত্রে ইসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও উদ্যোগ হয়নি। অবশেষে গত ডিসেম্বরে হাইকোর্টকে সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আবাসন থেকে মাফিয়াদের তারা উচ্ছেদ করতে পারছে না। বেদখল আবাসনের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করতে গিয়েও প্রবল বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এর পরে জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী ইসিএলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোল ইন্ডিয়াকে মামলায় যুক্ত করেন।
গত ২৫ মার্চ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের কাছে এক মাস সময় চেয়ে নেন। এর পরে ২৯ এপ্রিল অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে কয়লা মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলে কোর্ট। চলতি মাসের ৮ তারিখ হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, জবরদখল হয়ে থাকা আবাসনে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিন্ন করে দখলমুক্ত করতে হবে। এ নিয়ে আদালত বর্ধমানের পুলিশ সুপার ও স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের ইসিএলকে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে। আইনজীবী পার্থ ঘোষ দাবি করেন, “মাফিয়ারা আবাসন দখল করে রেখেছে, ইসিএলের এমন অজুহাত আর চলবে না।”
ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, আদালত যেমন নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ীই কাজ করা হবে। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমরা আদালতের নির্দেশ এখনও হাতে পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Previous Story Bardhaman Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.