পরিষেবায় গাফিলতি
নার্সিংহোমের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ‘হাল’ ফেরাতে পদক্ষেপ শুরু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সরকারি স্তরে পরিকাঠামো উন্নতির পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। নার্সিংহোম ও প্যাথলজি সেন্টারের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে ডেবরার এক নার্সিংহোমের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। ওই নাসির্ংহোমের মালিক নবকান্ত বাকলিকে চিঠি দিয়ে নির্দেশের কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আপাতত এখানে রোগী ভর্তি করা যাবে না। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “শুধু ডেবরার ওই নার্সিংহোমই নয়, কয়েকটি প্যাথলজি সেন্টারের লাইসেন্সও সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি সেন্টার নিয়ে তদন্তও চলছে।”
জেলায় নার্সিংহোমগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। অভিযোগ, যাবতীয় নিয়ম অগ্রাহ্য করেই একাংশ নার্সিংহোম চলছে। পরিষেবা নয়, কর্তৃপক্ষ ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। চিকিৎসা বাবদ মোটা টাকা নেওয়া হলেও পরিষেবা মেলে না। রোগীরা দুর্ভোগে পড়েন। ডেবরার ওই নার্সিংহোমের ক্ষেত্রেও চিকিৎসা পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ করেছিলেন ঝর্না জানা নামে এক রোগীর পরিজন। এর প্রেক্ষিতে তিন দফায় নার্সিংহোমে তদন্তে যান এক স্বাস্থ্যকর্তা। পরে তদন্ত-রিপোর্ট দেখে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। জানা গিয়েছে, জেলার বেশ কয়েকটি প্যাথলজি সেন্টার নিয়েও স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তদন্তও শুরু হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য, “সব অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। গাফিলতি প্রমাণিত হওয়ায় কয়েকটি প্যাথলজি সেন্টারের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও কয়েকটি সেন্টারের ক্ষেত্রেও তদন্ত চলছে।”

হাসপাতালের নজরদার টিভি সারাতে নির্দেশ
নিরাপত্তা বাড়াতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিভিন্ন হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে সিসিটিভি বা নজরদার টিভি বসানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস কাটতে না-কাটতেই তার অধিকাংশই বিকল। অবিলম্বে ওই সব নজরদার টিভি-কে সারানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। শুধু সিসিটিভি নয়, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা বাড়াতে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসচিব যে-সব বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে আছে:
• ইমার্জেন্সিতে শয্যার সংখ্যা বাড়াতে হবে।
• আরও উন্নত করতে হবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটকে।
• প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষানিরীক্ষা দ্রুত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
• কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা যথাসময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট খাতে খরচ করতে হবে।
Previous Story Swasth First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.