ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি করানোর নালিশ |
অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে সংরক্ষিত আসনে ভর্তি করানোর চেষ্টার অভিযোগে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়াল রামপুরহাট কলেজে। তফসিলি আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত না হয়েও এক ছাত্রীকে ইংরেজি অনার্সে সংরক্ষিত আসনে ভর্তি করানোর চেষ্টা হল বলে অভিযোগ ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। এই অভিযোগে দীর্ঘক্ষণ কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন ওই দু’টি সংগঠনের সদস্যরা। পরে অন্য দাবিতে এসএফআইও অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে। তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিলে অধ্যক্ষ ঘেরাও মুক্ত হন। |
|
যদিও ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদএই দু’টি ছাত্র সংগঠনের দাবি, এসএফআই সদস্যদের মদতে জাল শংসাপত্র নিয়ে এক ছাত্রীকে সংরক্ষিত আসনে ভর্তি করানোর চেষ্টা করছিলেন। ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুমন মণ্ডলের অভিযোগ, “ইংরেজি অনার্সের জন্য তফসিলি-আদিবাসী ও তফসিলিদের জন্য সাতটি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ১২ জুলাই কাউন্সেলিং-র দিন জাল শংসাপত্র নিয়ে এক ছাত্রীকে ভর্তি করানোর চেষ্টা করছিল এসএফআই।” তাঁর দাবি, “বৃহস্পতিবার সকালে দিয়ে দেখি ওই ছাত্রীর ভর্তির আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া শংসাপত্র কলেজের ফাইল থেকে কে বা কারা সরিয়ে নিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য অ্যাডমিশন কমিটির কাছে দাবি জানিয়েছি।”
বর্তমানে রামপুরহাট কলেজে ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় রয়েছে এসএফআই। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, “জাল শংসাপত্র নিয়ে ভর্তির আবেদনের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষের কাছে আবেদন জানাই। অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।” অধ্যক্ষ বলেন, “ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে এক ছাত্রীর ভর্তির ব্যাপারে এক ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ আসে। এ ব্যাপারে অ্যাডমিশন কমিটির কাছে জানতে চেয়েছি। তবে ওই ছাত্রীর শংসাপত্র ভুয়ো কি না প্রমাণিত হয়নি। তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি দেখা হবে।” |
|