|
|
|
|
|
কাউন্সেলিংয়ের খুঁটিনাটি |
জয়েন্ট এন্ট্রান্সের কাউন্সেলিং নিয়ে ব্যস্ত পড়ুয়ারা। কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
সিদ্ধান্ত নিতে চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। লিখছেন কৌলিক ঘোষ। |
এখন যাবতীয় প্রস্তুতি জয়েন্ট এন্ট্রান্স-এর কাউন্সেলিং ঘিরেই। শেষ মুহূর্তে নিজেদের গোছাচ্ছেন মেধা তালিকাভুক্ত পড়ুয়ারা। আর এরই মধ্যে বদলে দেওয়া হল ই এবং কাউন্সেলিং-এর ঠিক আগেই বদলে দেওয়া হল আরও একটি বিষয়। ১০+২ স্তরে প্রাপ্ত নম্বরের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হল। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও অঙ্ক মিলিয়ে এখন আর ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলেও চলবে। ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতিদের ক্ষেত্রে তা নামিয়ে আনা হয়েছে ৪০ শতাংশে। ইংরেজিতে অবশ্য সকলকেই পেতে হবে ৩০ শতাংশ নম্বর। শুধু তাই নয়, ‘এ আই ট্রিপল ই’-তে উত্তীর্ণ ৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধা তালিকাভুক্ত ৯০ হাজার ছাত্রছাত্রী ও তার পরে জিলেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাউন্সেলিং শেষ হওয়ার পরও যদি সব আসন পূরণ না হয়, তা হলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি নিজস্ব পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে পারবে। এবং সে ক্ষেত্রেও ১০+২ স্তরে রসায়ন, অঙ্ক ও পদার্থবিজ্ঞান মিলিয়ে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকলেই চলবে, আর প্রয়োজন নেই ৫০ শতাংশ নম্বরের। এখানেও ইংরেজিতে পেতে হবে ৩০ শতাংশ নম্বর।
বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির আসন ভরানোর প্রচেষ্টা মূলত সর্বভারতীয় স্তরে বেসরকারি কারিগরি ও প্রযুক্তি কলেজে আসন খালি থাকারই ফলশ্রুতি। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অন্ধপ্রদেশ, ওড়িশা, কর্নাটক, কেরালা-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বেসরকারি কলেজগুলিকে গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রাভাবে ভুগতে হচ্ছে। সেই কারণেই এ বছর ভর্তির বিষয়টি অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে, মন্তব্য করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোজ মিত্র। তাঁর মতে, রাজ্যের মধ্যেই বেশ কিছু বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এখন ‘মরণ বাঁচন’ পরিস্থিতি। ছাত্র ভর্তি না করতে পারলে কলেজই উঠে যাবে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, ১০+২ স্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর চাকরির সুযোগ কতখানি? এ বিষয়ে ন্যাসকমের পূর্বাঞ্চলীয় ম্যানেজার সুপর্ণ মৈত্রের স্পষ্ট জবাব, এই যোগ্যতা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর বেশ কয়েকটি প্রথম শ্রেণির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় প্রবেশের পথ বন্ধ হতে পারে। বিশেষ করে প্রকল্পের কাজে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ একেবারেই কম থাকবে। ছোটখাটো মানের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে চাকরি পাওয়া যেতে পারে। |
|
অবশ্য এ ব্যাপারে বেশ কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেন দুর্গাপুরের
বেসরকারি কারিগরি ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দুর্গাপুর ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এর কর্ণধার রণীন্দ্রনাথ মজুমদার। তাঁর মতে, নম্বরে এই শিথিলতা আনায় কলকাতা বা সংলগ্ন অঞ্চলের কলেজগুলির যত না সুবিধা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা হয়েছে জেলার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির। দুর্গাপুর বা তার আশেপাশে বেশ কয়েকটি ভাল কলেজ গড়ে উঠেছে। এখানে তুলনামূলক কম মেধার ছাত্রছাত্রী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি সঠিক পদ্ধতিতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে পারে, তা হলে কিন্তু ভবিষ্যতে তাদের চাকরি না পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত পরিকাঠামো-সহ শিক্ষক এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিলে ভবিষ্যতে তারা প্রতিষ্ঠিত হবে না, এটা কখনওই মনে করা উচিত নয়।
অন্য দিকে, আবার টেকনো ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর অধিকর্তা সত্যম রায়চৌধুরীর গলায় অন্য সুর। বিদেশেও ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান গড়ার অভিজ্ঞতা শুনিয়ে তিনি বললেন, নজরকাড়া ঝাঁ চকচকে কলেজ তৈরি করলেই ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজ শেষ হয়ে যায় না। কলেজ কর্তৃপক্ষের আধুনিক মনস্কতা, হালফিল প্রযুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী কী ধরনের গবেষণা হচ্ছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। প্রয়োজনে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিকে শিক্ষার্থী বিনিময়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বাঁধাগতে চিরাচরিত পদ্ধতি আঁকড়ে পড়াশোনা করালে এবং ছাত্রছাত্রীদের শুধুমাত্র চাকরিমুখী করে তুললে, ভবিষ্যতে বেসরকারি কলেজগুলির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে বলে মনে করেন সত্যমবাবু।
রাজ্যে এ বার এখনও পর্যন্ত অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এ আই সি টি ই-এর অনুমোদনপ্রাপ্ত একমাত্র কলেজ ক্যামেলিয়া গোষ্ঠীর ক্যামেলিয়া ইনস্টটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। এই গোষ্ঠীর কর্ণধার নীলরতন দত্তের মতে, ভাল কলেজ গড়ার জন্য স্থায়ী এবং পূর্ণ সময়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক দরকার। যাঁদের ঝুলিতে অন্তত পি এইচ ডি ডিগ্রিটি আছে, এমন শিক্ষকদের নিয়োগের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সেই সমস্ত শিক্ষক স্বল্প মেধার ছাত্রছাত্রীদেরও গড়েপিটে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
অন্য দিকে, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গ্লোবসিন টেকনোলজিস-এর কর্ণধার বিক্রম দাশগুপ্তের মতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে ১০+২-এ ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া বা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিজ্ঞান বিভাগে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের বেসরকারি কলেজে ভর্তি করালে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বাড়তি নজরদারি করতে হবে। শিক্ষকদের ‘ক্লাসটাইম’-এর বাইরেও পড়াতে হবে। অর্থাৎ, দুর্বলতা কাটানোর জন্য যাবতীয় প্রচেষ্টা যদি নেওয়া হয়, তা হলে এক দিকে স্বল্প মেধার বিশেষ করে গ্রামবাংলার ছেলেমেয়েরা যাদের ইংরেজিতে অসুবিধা রয়েছে, তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সাধ মিটতে পারে। পাশাপাশি কলেজগুলিকেও আসন পূরণের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকতে হয় না। |
|
রাজ্যের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিকে নিয়ে গঠিত অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশনের সভাপতি তথা জেআইএস গোষ্ঠীর কর্ণধার তরণজিৎ সিংহের মতে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সংখ্যা বা আসনের সংখ্যা এ রাজ্যে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই কম। এ আই সি টি ই সমগ্র দেশকে আটটি অঞ্চলে ভাগ করেছে। এর মধ্যে শুধু দক্ষিণাঞ্চলেই নতুন ১৫টি কলেজ, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ১৪টি কলেজ, উত্তর অঞ্চলে ৩০টি কলেজ এ বছর ‘এ আই সি টি ই’-এর অনুমোদন পেল। এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র একটি নতুন কলেজ এখনও পর্যন্ত ‘এ আই সি টি ই’-এর অনুমোদন পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে আসন বাড়ছে আরও ১৬০০টি। জানালেন তরণজিৎবাবু।
আগের বছরই রাজ্যপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশনের অনুমোদন পেলেও, এ বছর চালু হচ্ছে কল্যাণীর আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। কলেজ কর্তৃপক্ষের মতে, ভাল ছাত্রছাত্রীদের প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে যে কৃতিত্ব আছে, তার থেকে বেশি গর্বের অপেক্ষাকৃত কম মেধার ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা।
|
যাদবপুরে নয়া কোর্স |
আর শুধুমাত্র রসায়নের স্নাতকদের জন্য নয়। এ বার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড টেকনোলজি পড়ার সুযোগ খুলে গেল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সফলদের জন্যও। এই বছর থেকেই মেধা তালিকাভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা এই সুযোগ পাবে। জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক উৎপল রায়চৌধুরী। পাঠ্যক্রমটির নাম ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। তাঁর মতে, এত দিন শুধু রসায়নে স্নাতকরাই তা পড়তে পারত। এ বার জয়েন্ট মারফত ফুড টেকনোলজিতে স্নাতক পড়ার সুযোগ খুলে যাওয়ায় বহু ভাল পড়ুয়াই তা পড়তে এগিয়ে আসবে। যার কারণ প্রথমত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ্যাতি ও দ্বিতীয়ত, ফুড টেকনোলজিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ দিনের গবেষণা ও উন্নয়ন। |
(চলবে) |
|
|
খেয়াল রাখুন
|
|
পরের বছর যারা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কেটারিং টেকনোলজি আয়োজিত সর্বভারতীয় হোটেল ম্যানেজমেন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসবে, তাদের জন্য প্রস্তুতি পাঠ্যক্রম শুরু করছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর টেকনোলজি স্টাডিজ। যারা ১০+২ উত্তীর্ণ বা ২০১২-এ বিজ্ঞান, কলা বা বাণিজ্য বিভাগে ১০+২ দেবে, তারা যোগ দিতে পারে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি চলবে। ফোন করে নিন ৯৬৭৪৪-৮৮০১৪ নম্বরে।
|
কলকাতার পৈলান গোষ্ঠীর পৈলান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (পি এফ টি আই)-এ চালু হল একগুচ্ছ পাঠ্যক্রম। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স ইন ফিল্ম ডিরেকশন; সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, অভিনয়, স্ক্রিপ্ট রাইটিং-এর প্রত্যেকটিতে ছ’মাসের ডিপ্লোমা; মেক-আপ ও নিউজ রিডিং অ্যান্ড অ্যাঙ্কারিং-এ তিন মাসের এবং মডেলিং ও মর্ডান ডান্সে চার মাসের সার্টিফিকেট কোর্স। দশম উত্তীর্ণ হলেই ভর্তি হওয়া যায়। পাশাপাশি চালু হচ্ছে ‘কমপ্লিট সিনেমা’ নামের একটি নয়া কোর্সও। এতে অভিনয়, পরিচালনা, এডিটিং, সিনেমাটোগ্রাফি ছাড়াও সাঁতার, ঘোড়ায় চড়া, গাড়ি চালানো, টেনিস খেলা ইত্যাদি শেখানো হবে। সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস। দেড় বছরের কোর্সে আসন সংখ্যা ১৫০। দরিদ্র অথচ মেধাবীরা ২৫% বৃত্তি পাবে। ফোন নম্বর ৯৮৩০০-৯৬৯২২/ ২৪৯৭-৮২৬৫।
|
স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল অনুমোদিত একাধিক প্যারামেডিক্যাল পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হচ্ছে। এগুলি হল, ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ল্যাবরেটারি টেকনোলজি, ডিপ্লোমা ইন রেডিওগ্রাফি, ডিপ্লোমা ইন ফিজিওথেরাপি, ডিপ্লোমা ইন রেডিওথেরাপিউটিক টেকনোলজি, ডিপ্লোমা ইন অটোমেট্রি অ্যান্ড অপথ্যালমিক টেকনিক, ডিপ্লোমা ইন নিউরো ইলেকট্রো ফিজিওলজি, ডিপ্লোমা ইন পারফিউশন টেকনোলজি, ডিপ্লোমা ইন ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান, ডিপ্লোমা ইন ডায়ালিসিস টেকনিক, ডিপ্লোমা ইন ক্রিটিক্যাল কেয়ার টেকনোলজি। মোট ২৯টি প্রতিষ্ঠানে এই পাঠ্যক্রম চালু আছে। ১০+২ স্তরে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি থাকলে আবেদন করা যায়। বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৭। উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছা হবে। আবেদনপত্র জমার শেষ দিন ২৯ জুলাই। দেখে নিন www.smfwb.in ওয়েবসাইটটি। |
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
|
প্রশ্ন: বেঙ্গালুরুতে বিবিএ পাঠরত। এর পর ইচ্ছে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে দুর্গাপুরের এমডিআই-তে এমবিএ পড়ার। এই কোর্সে ভর্তির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে আগ্রহী।
সুমন্ত জানা, বেঙ্গালুরু |
উত্তর: যে প্রতিষ্ঠানটির নাম উল্লেখ করেছেন, সেটি এমডিআই নয়, এমআইডি অর্থাৎ ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অফ দুর্গাপুর। এমডিআই অর্থাৎ ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট গুড়গাঁওতে অবস্থিত। যাই হোক, পশ্চিমবঙ্গের ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অফ দুর্গাপুর-এ ভর্তি হওয়ার জন্য ম্যাট বা জেইম্যাট পরীক্ষার বেড়া টপকানো জরুরি। এ ছাড়া, যে কোনও বিষয়ে ১০+২+৩ পাশ করলেই চলে। বিশদ জানতে ফোন করে নিতে পারেন ০৩৪ ৩২৫২০৮৮০ নম্বরে। এবং দেখে নিতে পারেন www.mid.rahul.ac.in ওয়েবসাইটটি।
প্রশ্ন: পরের বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেব। ছোট থেকেই ইচ্ছে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। স্নাতক স্তরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের কোন কোন বিষয় পড়ানো হয় জানালে উপকৃত হব। ভর্তির পদ্ধতিও জানাবেন।
ধীমান বসু, বর্ধমান |
উত্তর: ১০+২-এর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শাখায় যে সমস্ত বিষয়ে স্নাতক স্তরে পড়ার সুযোগ রয়েছে সেগুলি হল ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথমেটিক্স ও জিওলজিক্যাল সায়েন্সেস। এই প্রত্যেকটি বিষয়ে সাম্মানিক স্নাতক স্তরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথমেটিক্স নিয়ে ১০+২ উত্তীর্ণ হতে হবে। এবং গড়ে এই তিনটি বিষয়ে ৬৫ শতাংশ নম্বর থাকা জরুরি। প্রসঙ্গত, কেমিস্ট্রি অনার্সে ৫০টি, ফিজিক্স অনার্সে ৫৫টি, ম্যাথমেটিক্সে ৭৫টি এবং জিওলজিক্যাল সায়েন্সেসে ৩৫টি আসন রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়গুলি পড়ার জন্য কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয় না। দশম মান এবং দ্বাদশ মানের নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়। মেধা তালিকা প্রস্তুত করার পর প্রার্থীদের ডাকা হয় ইন্টারভিউ-এর জন্য। |
|
|
|
|
|