|
|
|
|
জমি-সংঘর্ষে গুলি, ধৃত ৮ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
‘খাস’ জমিতে চাষের দখল নিয়ে আরএসপি এবং তৃণমূল সমর্থক দু’দল চাষির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লক। রবিবার সকালে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তপন থেকে থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে দ্বীপখণ্ডা গ্রামে। সংঘর্ষের সময়ে এক তৃণমূল সমর্থক তিরবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে শূন্যে ৭ রাউন্ড গুলি চালাতে হয়, তবে শূন্যে গুলি চালানোর কথা পুলিশ অস্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আরএসপি’র ৮ সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সুপার স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ণপাত্র বলেন, “ওই জমির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ রয়েছে। সময়মতো পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোয় বড় গোলমাল হয়নি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘খাস’ ঘোষণা হওয়া ওই জমির পরিমাণ প্রায় ১২ একর। ১৯৯৩ সালে জমি খাস ঘোষণা হলে এলাকার সিপিএম ও আরএসপি সমর্থকেরা সেটির দখল নেন। অন্য দিকে, জমির মালিক নুরুল সরকার-সহ ৬ জন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন। ফলে ওই জমির পাট্টাও বিলি হয়নি। সম্প্রতি তাঁরা উচ্চ আদালতে জিতেছেন দাবি করে ওই জমির একাংশে লঙ্কা চাষ করেন। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে পালাবদল হলে নুরুলবাবু-সহ ৬ জন তৃণমূলে যোগ দিয়ে জমিটি দখল করতে সক্রিয় হন। এমন একটি ঘটনার আশঙ্কা করে বামফ্রন্টের তরফে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক নারায়ণ সরকার বলেন, “গত সপ্তাহেই বিবাদ এড়াতে ৬ সদস্যের কমিটি গড়া হয়। তারপরেও কেন এমন হল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” নুরুলবাবুর দাবি, সত্তরের দশকে তিনি এলাকার প্রয়াত জোতদার রাধাকৃষ্ণ খেরানির কাছ থেকে জমিটি কেনেন। তিনি বলেন, “মোট ৬ জনের নামে দলিল। চাষও করছি। ১৯৯৩ সালে রাতারাতি জমিটি দখল করে নেওয়া হয়।” এদিন সকালে ওই জমি থেকে লঙ্কা তোলা নিয়ে দখলদার কৃষকদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের গোলমাল বাধে। আরএসপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ওই জমি ভূমিহীন চাষিদের দখলে। তাঁদের উচ্ছেদ করা হলে জেলা জুড়ে প্রতিক্রিয়া হবে। প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|