|
|
|
|
রক্তাল্পতায় ভুগছে কাঁথির ব্লাড ব্যাঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা• কাঁথি |
রক্ত সংরক্ষণ দূরের কথা, উল্টে রক্তাল্পতায় ভুগছে কাঁথি ব্লাডব্যাঙ্ক। প্রয়োজনের সময়ে রক্ত না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন রোগীর পরিবারের লোকজন। ব্লাডব্যাঙ্কের পরিকাঠামোগত সমস্যাও চরমে উঠেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই নেই কোনও চিকিৎসক। নেই নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও। অথচ, পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি মহকুমাকাঁথি ও এগরার কয়েক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল এই ব্লাডব্যাঙ্কের উপরেই।
কাঁথি ও এগরা মহকুমা হাসপাতাল ছাড়াও দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগীরা কাঁথি ব্লাডব্যাঙ্কের ভরসাতেই থাকেন। নিয়মিত রক্ত নেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীরা। এ ছাড়া, দিঘা-কলকাতা সড়কে নিত্য দুর্ঘটনার কারণেও কাঁথি ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের চাহিদা তুলনায় বেশি। অথচ, জোগান সেখানে নামমাত্র। বিরক্ত কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার তরুণ পালিত বলেন, “প্রতি দিন গড়ে ৭৫-৮০ পাউচ রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই তুলনায় জোগান নেই বললেই চলে। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীরাও খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। রক্ত না থাকায় হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করতে গিয়ে দ্বিধায় থাকেন চিকিৎসকেরা।”
আগে ব্লাড ব্যাঙ্কে এক জন চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর বদলি হয়ে যায়। স্বাস্থ্য দফতর ওই জায়গায় অমিত সাহা নামে আর এক জন চিকিৎসককে পাঠালেও তিনি এখনও কাজে যোগ দেননি। এই নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাকে বহু বার লিখিত আবেদন জানালেও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে তরুণবাবুর অভিযোগ। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারীর বলেন, “রক্তের জোগান বাড়াতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে।” অবিলম্বে ব্লাডব্যাঙ্কে চিকিৎসক পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলারও আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।
এ দিকে, ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত সংরক্ষণের জন্য দু’টি ফ্রিজ এলেও তা পড়েই রয়েছে। ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগের পরিকাঠামো তৈরি করতে দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ পড়বে বলে জানিয়েছে পূর্ত (বিদ্যুৎ) দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে সেই টাকা এসে না পৌঁছনোয় ফ্রিজ দু’টি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে জানান রোগীকল্যাণ পরিষদের তরফে হেরম্বকুমার দাস। |
|
|
|
|
|