উলুবেড়িয়া হাসপাতাল
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গরহাজির, বেতন বন্ধ করে দিলেন সুপার
নাক-কান-গলার (ইএনটি) একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গরহাজির প্রায় এক মাস ধরে। ফলে, এই সব রোগে আক্রান্তেরা উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না।
রোগীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও। হাসপাতালের সুপার গৌরাঙ্গসুন্দর জানার দাবি, ওই চিকিৎসক বেআইনি ভাবে হাসপাতালে গরহাজির রয়েছেন। তাই তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অবশ্য চেষ্টা করেও ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মহকুমার কোনও গ্রামীণ হাসপাতাল বা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে, মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাক, কান ও গলার সমস্যা নিয়ে রোগীরা উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে আসেন। এখানে প্রতি সপ্তাহে বুধ এবং শুক্রবার বহির্বিভাগে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা করেন। তা ছাড়াও, জরুরি বিভাগে কোনও রোগী এলে ওই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়। এমনকী, ওই চিকিৎসকের অধীনে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তিও করিয়ে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নাক-কান বা গলার সমস্যা নিয়ে বহির্বিভাগে এক-এক দিন গড়ে ৩০০ করে রোগী আসেন। আসনে পুরনো রোগীরাও। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না-থাকায় তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বহির্বিভাগের কর্মীরা জানান, ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না-আসায় রোগীদের কাছে তাঁদের কৈফিয়ত দিতে দিতে জেরবার হতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই চিকিৎসকের ঘর তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রোগীদের বক্তব্য, চিকিৎসক যে কবে আসবেন, কেউ তার সদুত্তর দিতে পারছেন না।
বাস্তবিকই, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেও এর কোনও সদুত্তর নেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ জুন থেকে ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসছেন না। ফলে, ওই দিন থেকেই হাসপাতালে নাক-কান-গলার চিকিৎসা বন্ধ। সুপার বলেন, “ওই চিকিৎসক মাত্র দু’দিন ছুটি নিয়েছিলেন। তার পরে ফ্যাক্স করে বার বার ছুটি বাড়িয়ে যাচ্ছেন। নিজেকে তিনি অসুস্থ বলে দাবি করছিলেন। এর মধ্যে এক দিন এলে আমি উদ্যোগী হয়ে হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাই। কিন্তু তাঁর অসুস্থতার কোনও চিহ্ন ধরা পড়েনি। ফলে, আমি তাঁর ছুটি মঞ্জুর করিনি। এ ভাবে গরহাজির হওয়ায় তাঁর বেতন বন্ধ করে দিয়েছি।” হাসপাতাল থেকে দেওয়া ওই চিকিৎসকের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাঁর বক্তব্য জানতে মোবাইল থেকে ‘মেসেজ’ করা হলেও উত্তর মেলেনি। উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা মহকুমাশাসক দেবকুমার নন্দন বলেন, “সমস্যাটি গুরুতর। হাপসাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাটি মেটানোর চেষ্টা করা হবে।”
Previous Story Swasth Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.