|
|
|
|
৪০ বছরে কর্তা বদল একান্ন বার |
অনির্বাণ রায় • জলপাইগুড়ি |
চল্লিশ বছরে ৫১ বার চেয়ারম্যান বদলেছে উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের। বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে এত বার চেয়ারম্যান পরিবর্তনে কমিশনের কাজের ধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির বন্যা প্রতিরোধের জন্য গঠিত কমিশনের শীর্ষ কর্তার পদে যাঁরাই এসেছেন কয়েকমাস পর তাঁদের বদলি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অথবা অবসরের মাত্র দু-তিন মাস আগে আধিকারিকদের চেয়ারম্যানের পদে নিয়োগ করা হয়েছে। ১৯৭১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৫১ জন কর্তা দায়িত্বে এসেছেন চেয়ারম্যান পদের। এক একজনের কার্যকালের মেয়াদ ছিল মাত্র কয়েক মাস, বা মাত্র কয়েকদিন। গত ৯ বছরে অর্থাৎ ২০০২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ বার চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। এক আধিকারিক চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরে তার দায়িত্বে থাকা জেলা বা বন্যাপ্রবণ নদীগুলি পরিদর্শন অথবা তাঁর কাজের দায়িত্ব বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যাঁরাই চেয়ারম্যান হয়ে এসেছেন তাদের রাজ্য সেচ দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই বরাবরই অভিভাবকহীনতায় ভুগেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সম্প্রতি রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর এই চিত্র বদলাবে বলেই বিভিন্ন মহলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশন সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে ১৮ নভেম্বর ৩৩তম চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেন। তার কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২২ দিন। তার পরে যিনি হন তিনি দায়িত্বে ছিলেন মাত্র ১৪ দিন। তার পরে ৩৫তম চেয়ারম্যান বছর খানেকের জন্য দায়িত্বে থাকলেও পরের ১০ জন চেয়ারম্যানের কেউ কয়েক দিন, কেউবা ৩-৪ মাস পরে বদলি হয়েছেন। ৩৯তম চেয়ারম্যান পদে যাকে নিয়োগ করা হয়েছিল তার কার্যকালের মেয়াদ ছিল মাত্র ৪ দিন। ২০০৭-এ ৪৬তম চেয়ারম্যান বছর দেড়েকের জন্য পদে ছিলেন। এ মাসে কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন বরুণ ঘোষ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে কাজের জন্য কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। সেচ দফতর সুত্রে জানা যায়, বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজের জন্যই তাকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|