|
|
|
|
রাতে দু’পাশে ট্রাকের লাইন,
আটকে জাতীয় সড়ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
সন্ধে নামতেই দখল হয়ে যায় ৩১ ডি জাতীয় সড়ক। দু’পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বড় বড় ট্রাক। দুটি ট্রাকের মাঝখানের সরু রাস্তা দিয়েই সন্ধ্যে থেকে রাতভর যানবাহন চলাচল করে। তার ফলে প্রতিদিনই সন্ধ্যের পরে যানজটের কবলে পড়ে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া জাতীয় সড়ক। রাস্তা জুড়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় সামনের রাস্তা পুরোপুরি দেখা যায় না, সে কারণে ছোট বড় দুর্ঘটনাও ঘটে গেলেও প্রশাসন নির্বিকার। দিনের পর দিন এভাবেই জাতীয় সড়কই ট্রাক স্টান্ডে পরিণত হয়েছে জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে। জাতীয় সড়কের ধারে ফাঁকা জমিতে জলপাইগুড়ি ট্রাক টার্মিনাস। ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় টার্মিনাসে স্থান সঙ্কুলান হয় না। বাধ্য হয়ে কিছু ট্রাককে জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে রেখে দেওযা ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছেন একাংশ ট্রাক চালক। জেলা ট্রাক ওনার্স আসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়কে সন্ধ্যার পরে যে ট্রাকগুলি দাঁড়িয়ে থাকে সেগুলি সংগঠনের তাদের সদস্য নয়। সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রশাসনকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। |
|
ছবি: সন্দীপ পাল। |
জলপাইগুড়ি সদরের ডিএসপি তথা শহর এবং লাগোয়া এলাকার ট্রাফিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হরিপদ শী বলেন, “জাতীয় সড়ক জুড়ে ট্রাক দাড়িয়ে থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েই যায়। এলাকায় অভিযান চালানো হবে। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি।” জলপাইগুড়ির পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “জাতীয় সড়কের ওপরে এভাবে পার্কিং নজির বিহীন ঘটনা। শহরে ঢোকার মুখেই এমন ঘটনার জেরে এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” শহর লাগোয়া গোশালা মোড়ে অস্থায়ী ভাবে ট্রাক টামির্নাস তৈরি করেছে প্রশাসন। বছর দুয়েক আগে সেই টামির্নাস সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বর্তমানে ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দেড়শো ছুঁয়েছে। টার্মিনাসের স্বল্প পরিসরে এত ট্রাক দাঁড়ানো সম্ভব নয়। এছাড়াও ডুয়ার্স বা অন্য এলাকা থেকে পণ্যবাহী যে ট্রাক জলপাইগুড়ি শহরে ঢোকে, সেগুলি টার্মিনাসে জায়গা না-পেয়ে জাতীয় সড়কের ধারে দাড়িয়ে থাকে। মূলত এই সমস্ত পণ্যবাহী ট্রাকের জন্যই সমস্যা তৈরি হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ট্রাক টামির্নাস পরিচালনা করে জেলা ট্রাক ওর্নাস আসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক মন্টু গুহ বলেন, “জাতীয় সড়কের ওপরেই সন্ধ্যা থেকে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। যে ট্রাকগুলি জাতীয় সড়কে দাড়িয়ে থাকে সেগুলি আমাদের সদস্য নয়। তবে দাড়ানোর জায়গা না পেয়েই চাসকেরা জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়। জেলা সদরে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের দাঁড়ানোর জায়গা করে দেওয়ার বিষয়টিও প্রশসানকে জানিয়েছি। কোনও ফল হয়নি।” সাধারণত সন্ধ্যার পর জাতীয় সড়কে যাতয়াতকারী যানবাহনের গতি বেশিই থাকে। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া অন্ধকারে ঢাকা জাতীয় সড়কের দু’ধারে যে সার দিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি অনেক সময় দূর থেকে ঠাওর করা যায় না। পাশাপাশি রাস্তার বড় অংশ ট্রাকে আটকে যাওয়ায় উল্টোদিক থেকে গাড়ি আসছে কি না তাও ভালভাবে বোঝা যায় না বলে অভিযোগ। শহর লাগোয়া জাতীয় সড়ক সন্ধের পরে বিপজ্জনক চেহারা নেয়। |
|
|
|
|
|